পিলখানা হত্যাকাণ্ড
সন্দেহভাজনদের বিদেশ গমনে আসছে নিষেধাজ্ঞা

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:৫৭
-67b734cf7d578.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশন সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিডিআর সদস্য এবং শহীদ পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট ৩৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে।
এ পর্যায়ে কমিশনের সামনে চ্যালেঞ্জ আকারে দাঁড়িয়েছে পলাতক কিংবা বিদেশে অবস্থানরতদের সাক্ষ্য আদায়। এরমধ্যে অনেক সাক্ষী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন। যে কারণে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণও কঠিন হয়ে পড়েছে।
এক্ষেত্রে বিদেশি সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তদন্তের জন্য একাধিক দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। একইসাথে সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিদেশ গমনেও কমিশনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরির বিআরআইসিএম ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান।
তিনি জানান, পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ‘রাজনৈতিক ও বিদেশি সংশ্লিষ্টতা’, পাশাপাশি ‘সেনা আইন ভঙ্গের’ বিষয়টি পর্যালোচনাও করছে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন।
তিনি আরও জানান, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সেনা সদস্যসহ ৩৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
তদন্ত কমিশনের প্রধান ও তৎকালীন বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক আ ল ম ফজলুর রহমান বলেন, তদন্ত কমিশন ঘটনাটির ‘প্রকৃত স্বরূপ উন্মোচন’, ‘হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তি ও সংগঠন চিহ্নিতকরণ’, ‘প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থদের শনাক্ত করা’, ‘বিদ্যমান মামলায় প্রকৃত অপরাধীদের অন্তর্ভুক্ত করা’ এবং ‘দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও সংশ্লিষ্টতা’ খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
কমিশন বলছে, দীর্ঘ ১৬ বছর আগের ঘটনার তথ্য সংগ্রহ জটিল হলেও তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তদন্ত এগিয়ে নিচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক ব্যক্তি ও কর্মকর্তার সংরক্ষিত দলিল ও আলামত কমিশনের হাতে এসেছে, যা সত্য উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এনএমএম/এমআই