Logo

জাতীয়

অ্যাটর্নি জেনারেল

সংকটকালে ড. ইউনূস জাতিকে পথ দেখাচ্ছেন

Icon

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:৪২

সংকটকালে ড. ইউনূস জাতিকে পথ দেখাচ্ছেন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংকটময় সময়ে আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো এমন একজন কাণ্ডারি পেয়েছি যিনি শুধু বাংলাদেশেই নয়, গোটা বিশ্বে সম্মানিত। তিনি আজকে এ অথৈ সাগরের মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া এক পালতোলা নৌকার মাঝি। যিনি এ সংকটকালীন সময়ে গোটা জাতিকে সঠিক পথ দেখাচ্ছেন।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নিজ এলাকা ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় মেধা মনন উৎসব ২০২৫-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শৈলকুপা উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ‘মেধা ও মনন মঞ্চ শৈলকুপা’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গোটা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অঙ্গীকার করেছেন। তিনি শহীদদের স্মৃতি ধারণ করে বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক দেশ উপহার দেওয়ার জন্য নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। সেই যাত্রায় আমরা তার সহযোগী, একেকজন সৈনিক হিসেবে কাজ করছি।

আসাদুজ্জামান বলেন, ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা একটি নির্বাচন পেয়েছিলাম, গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা পেয়েছিলাম। কিন্তু রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের কারণে আমাদের সেই স্বপ্ন ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল। 

তিনি বলেন, আপনারা জানেন ২০০৮ সালের পর থেকে বাংলাদেশের মানুষের জীবনে ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক শক্তির নীলনকশা জেঁকে বসেছিল। বিগত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্টরা আমাদের মাঝ থেকে সাতশোর বেশি কারো ভাই, কারো বোন, কারো মা, কারো স্বামী, কারো বাবাকে গুম করেছিল। সাড়ে চার হাজারের ওপরে মানুষকে বিনা বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তাদের অপরাধ ছিল তারা কথা বলতে চেয়েছিল, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার চেয়েছিল। এমন সাড়ে চার হাজারের বেশি আমাদের সহযোদ্ধাকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে। শুধু এক বিএনপিই দাবি করছে, বিগত ১৫ বছরে তাদের ৬০ লক্ষের বেশি মানুষের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা করা হয়েছিল।

আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা সেই অবস্থার পরিবর্তন চেয়ে বিগত ১৫ বছরে অতন্দ্র প্রহরীর মতো রাজপথ পাহারা দিয়েছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আমাদের সেই নির্যাতন, নিপীড়ন, নির্যাতিত মানুষের মুখের ছবি ধারণ করে বৈষম্যের বিরুদ্ধে যখন রুখে দাঁড়িয়েছে। তখন পাখির মতো গুলি করে প্রায় দুই হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। অগণিত, অসংখ্য মানুষকে আহত করা হয়েছে। বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে আমরা জুলাই বিপ্লব সংগঠিত করেছি। এ দেশের মানুষ শিক্ষার্থীদের পেছনে অবস্থান নিয়েছিল, তারা আমাদেরই ভাই-বোন ছিল। তাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা জুলাই বিপ্লব পেয়েছি। সেই জুলাই বিপ্লব কোনোভাবেই আমরা ভূলুণ্ঠিত হতে দিতে পারি না।

মেধা ও মনন মঞ্চ, শৈলকুপার সভাপতি সাদিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

এম বুরহান উদ্দীন/এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর