Logo

জাতীয়

ডাক্তার পদবি নিয়ে করা রিটের রায় ১২ মার্চ

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:২৫

ডাক্তার পদবি নিয়ে করা রিটের রায় ১২ মার্চ

ডাক্তার পদবি নিয়ে করা রিটের বিষয়ে রায়ের জন্য আগামী ১২ মার্চ দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথিকা হোসেনের আদালত রিটের শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করে দেন।

এর আগে  মঙ্গলবার সকাল থেকে ডাক্তার পদবি সংক্রান্ত রিট নিষ্পত্তি ও স্বাস্থ্য খাতের মুক্তির পাঁচ দফা দাবিতে হাইকোর্ট অভিমুখে লং মার্চ ফর জাস্টিস করেন চিকিৎসক ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

লংমার্চের নেতৃত্ব দেয়া ডা. আদিব বলেন, এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে পারবে না। কিন্তু ডিপ্লোমা করা মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে চায়। তারা তো মেডিকেল অ্যাসিস্টেন্ট। তারাও ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে চায়। ডাক্তার পদবি কারা ব্যবহার করতে পারবে এ নিয়ে একটি রিট গত ১৩ বছর ধরে চলমান রয়েছে। ৯৩ বারের মত রিট শুনানি পিছিয়েছে। 

রায়ের তারিখের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সারাদেশের মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।

ডাক্তার ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো
১. ডাক্তার পদবি ব্যবহার সংক্রান্ত রিটটি প্রত্যাহার। মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করা। যা ২০১০ সালে গেল সরকার দিয়ে গেছে।

২. উন্নত বিশ্বের মান অনুযায়ী ওটিসি ড্রাগ আপডেট করা। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিতে ওষুধ ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা।

৩. স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসক সংকট নিরসনে দ্রুত শূন্যপদে ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ এবং আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠনপূর্বক ৬ষ্ঠ গ্রেডে চাকরি প্রবেশপথ তৈরি। প্রতিবছর চার থেকে পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করে চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখা। চিকিৎসকদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪-এ উন্নীত করা।

৪. বেকার তৈরির কারখানা সব ম্যাটস প্রতিষ্ঠান এবং মানহীন মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা। তবে এরই মধ্যে শিক্ষাধীন ম্যাটস শিক্ষার্থী এবং ডিএমএফ গণের প্যারামেডিকস হিসেবে পদায়নের ব্যবস্থা করা। এছাড়াও SACMO পদবি বাতিল করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদবি ব্যবহার চালু। এটি ডাক্তার শব্দের সমার্থক হিসেবে জনগণকে ধাঁধায় ফেলে দেয়।

৫. চিকিৎসকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তায় চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও দ্রুত বাস্তবায়ন করা। এ ক্ষেত্রে দ্রষ্টব্য যে ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে ডাক্তার সমাজের প্রতিবাদের মুখে ৭ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। যা আজ ৭ মাস পেরিয়েও কোনো আলোর মুখ দেখেনি।

এসআইবি/এমএইচএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর