Logo

মতামত

সুষমা দাশ : লোকসুরের ধারক থেকে রক্ষক

Icon

মামুন পারভেজ

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৫, ১৭:১৫

সুষমা দাশ : লোকসুরের ধারক থেকে রক্ষক

‘যখন থাইক্যা কথা কইতে পারি তখন থাইক্যা গানের শুরু। আমার বাবা রসিকলাল দাশ ও মা দিব্যময়ী দাশ গান করতেন। বাড়িতে একটা গানের পরিবেশ আছিল। বাড়ির উঠানে প্রায়ওই গানের আসর বইত। গানটা মূলত শুইন্যা শুইন্যা শেখা। ৬/৭ বছর বয়স থাইক্যা আমি গান গাই। বাড়ির উঠানেই প্রথম গান পরিবেশন করি। আগে আমাদের অঞ্চলে বেশিরভাগ গানই অইত লাউ (একতারা) আর ঢোলক দিয়া। কেউ কেউ আবার ঢপকি বাজাইয়া গান করত। মাঝেমধ্যে একতারা, দোতারা, বাঁশি দেখা যাইত। তিন চারটা গ্রাম খুঁইজ্যাও একটা হারমোনিয়াম পাওয়া যাইত না। আগে তো তেমন মঞ্চ ছিল না। বাড়ির উঠানে দাড়া (পাটি), নৌকার পাল বিছাইয়্যা গানের আসর বসত। আমাদের এই অত্র অঞ্চলের বড় বড় গাইন আর বাইন এভাবেই গান পরিবেশন করতেন। রাইত কা রাইত পাড় হইয়া যাইত।’ 

২০২২ সালের জুলাই মাসের কোনো এক পড়ন্ত বিকেলে সদ্যপ্রয়াত বরেণ্য লোকসংগীতশিল্পী সুষমা দাশ একান্ত আলাপচারিতায় কথাগুলো বলেছিলেন। গত ২৬ মার্চ ২০২৫ বিকেল সাড়ে ৪টায় সুরের অমৃতলোকে পাড়ি জমিয়েছেন ভাটির কন্যা আমাদের সুরেরপাখি সুষমা দাশ। আমাদের সবার প্রিয় সুষমা মাসি। আমৃত্যু লোকগানের সেবা করে গেছেন তিনি। 

গুরুজি পণ্ডিত রামকানাই দাশের অগ্রজা সুষমা দাশ ছিলেন লোকগানের আধার। শত শত লোকগানের সমৃদ্ধ ভাণ্ডার তিনি আত্মস্থ ও কন্ঠস্থ করেছিলেন। ২০১২ সালে গুরুজির সান্নিধ্যে যাবার সুবাদে পরিচয় সুষমা দাশের সঙ্গে। সেই পরিচয় থেকে শুরু– গানের শিক্ষা, আড্ডা এবং একসময় ভরসার সর্ম্পক তৈরি হয় এই ক্ষণজন্মা শিল্পীর সঙ্গে। 

২০১৪ সালে গুরুজির প্রয়াণের পর গুরুজির তনয়া বিশিষ্ট নজরুল সংগীতশিল্পী কাবেরী দাশের উদ্যোগে বাসায় নিয়মিত গানের তালিম ও আসর বসত। সেখানে আমাদের কয়েকজনের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। সেই আসরগুলোয় প্রাণ ছিলেন সুষমা দাশ ও প্রবীণ তবলাশিল্পী ক্ষীতিশ দাশ। একেরপর এক লোকসংগীত গেয়ে চলছেন তিনি। আমরা মুগ্ধ হয়ে শুনছি এসব গান। গানের ফাঁকে চলে ওনার লোকগান নিয়ে যুক্তিনির্ভর বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা। গানের কোন কথার সঙ্গে কোন কথার চলন কেমন হবে, অসামঞ্জস্য এবং সর্বোপরি বিকৃতি নিয়ে চলত এসব আলোচনা। সেই সব আলোচনায় উঠে আসত ভাটি অঞ্চলের লোকগানের নাম না জানা অনেক মহাজনের কথা, তাদের সৃজনকর্মের কথা। স্বনামধন্য এই পরিবারের সংগীত ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বিচরণের ক্ষেত্র ও অবদানের কথা অনস্বীকার্য। 

সুষমা দাশের বাবা রসিক লাল দাশ গান লিখতেন, গান গাইতেন, সুর দিতেন। বিশেষ করে কবিগানে তার বেশ নাম ছিল। ওনার সমসাময়িক ছিলেন, শরৎ চন্দ্র দাস, নবলাল দাস বাইন, সুখলাল দাস, বিশ্বের দাস বাইন, শ্রীধর প্রমুখ। 

এ বিষয়ে সুষমা দাশ বলেছেন, ‘আমার বাবা বলে কইতাছি না, এদের সবার মাঝে আমার বাবা টান (সমৃদ্ধ) আছিল। বাবা গানে টান দিলে এক্করে সবাই নইড়া চইড়া বইত।’ 

বাবা রসিক লাল দাশের সঙ্গে গানের আসরে যেতেন সুষমা। খুব অল্প বয়সে এসব গানের আসরে গান গাইতে শুরু করেন তিনি। এ বিষয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বাবা রসিক লাল দাশের সঙ্গে অনেক আসরে গান করেছি। তবে প্রথম গান করি ৯ বছর বয়সে। শীতের সময় জলমহাল দেওয়া হয় জানো তো বাবা। এই জলমহালের পরে কাজকাম নাই। এই সময়টাতে ভাটি অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামে আয়োজন করা অইত গানের অনুষ্ঠান। বিভিন্ন এলাকা থাইক্যা শিল্পীদের নিমন্ত্রণ দেওয়া অইত। আমরা কইতাম ‘পান’ দিছে। এই পানের মাধ্যমে নিমন্ত্রণ দেওয়া অইত। আমরার হাটিত (গ্রামে) এই আয়োজন করতেন বাবা। অনেক শিল্পীরা আসতেন। তাদের মধ্যে কামিনী সরকার, শরৎ চন্দ্র দাস, নবলাল দাস বাইন, সুখলাল দাস, বিশ্বের দাস বাইন এরা আইত। এ ছাড়া আজমেরীগঞ্জের বিতলং থাইক্যা মজিদ ঢুলিকেও বায়না করে আনা অইত।’ 

গ্রামের আসরে বাবা মায়ের সঙ্গে গান গেয়েই একসময় কিশোরী সুষমা হয়ে ওঠেন পেশাদার শিল্পী। মাত্র ১৪ বছর বয়সে গ্রামের এক আসরে গান গেয়ে তিনি প্রথম সম্মানী উপার্জন করেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘গান গেয়ে জীবনের প্রথম সম্মানী পাই ১৪ বছর বয়সে। নয়াহাটি গ্রামের সুখলাল ভাবুর মেয়ের বর্তে মা’র সঙ্গে যাই। আর যারা ছিল তারা কেউ গাইছে মানভঞ্জন কেউ গোষ্ঠ। আমি তো সুযোগ খুঁজতাছি আমি গাইমু ‘কলঙ্ক ভঞ্জন’। এই সময় সুখলাল বাবু কইলো সুষমা একটা গাওতো। আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম এগারো অন্তরা/ স্তবকের একটা গান। পুরাটা তো গাওয়া সম্ভব না। আবার না গাইলে বুঝতও না। তারপরে কিছু অংশ বাদ দিয়ে ছয়টা অন্তরা (স্তবক) গাইলাম। গানটা ছিল, ”কুঞ্জবনে কানুর সনে বইসে বিনোদিনী, কহিতে লাগিলো যত দুঃখের কাহিনী। তব সনে প্রেম করিয়া আমি অভাগিনী, গোকুল জুড়িয়া সবে বলে কলঙ্কিনী।” গানটা গাওয়ার পরে সুখলাল বাবু আমারে ৫শ টাকা উপহার দেন। এই খবর তখন সারা গ্রামে ছড়াইয়া পড়লে হুলস্থল পইড়া যায়।’

অনুজ রামকানাই দাশের উদ্যোগে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্রে একটি দলীয় গানের অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন তিনি। এরপর গুরুজির (পণ্ডিত রামকানাই দাশ) প্রচেষ্টায় দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও অনুষ্ঠানে তিনি লোকসংগীত পরিবেশন করেন। এমনকি গুরুজি হারিয়ে যাওয়া লোকগানের একটি পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করেন। এ পাণ্ডুলিপির সিংহভাগ গানই সুষমা দাশ থেকে সংগৃহীত ছিল। এ ছাড়া, তিনি ভাটি অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেশ কিছু গান সংগ্রহ করেন। গুরুজির প্রয়াণে পাণ্ডুলিপিটি আর আলোর মুখ দেখেনি। 

আমৃত্যু লোকগানের সেবায় ব্রতী ছিলেন সুষমা দাশ। তাই তো কোথাও কোনো লোকগানের বিকৃতি দেখলে কষ্ট পেতেন তিনি। কন্ঠে বেজে উঠত করুণ আর্তনাদ। তিনি প্রায়ই বলতেন, ‘গানটা একজন লেখকের কাছে সন্তানের মতো। এখন কারো সন্তানকে নিয়ে যদি কেউ ব্যঙ্গ করে তাইলে কি তার ভালো লাগব? এখনকার অনেকেই গান করে। অনেকে খুব ভালো গায়। আবার অনেকেই গানের কথা বদলে ফেলে। খুবই দুঃখজনক।’ 

এ সময় তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘যেমন রাধারমন দত্তের একটা সাক্ষাৎ গান, “আমার বন্ধু দয়াময় তোমারে দেখিবার মনে লয়....” এই গানে ভনিতায় অনেকে গায়, “ভাইবে রাধারমন বলে মনেতে ভাবিয়া, নিইব্যা ছিল মনের আগুন কে দিলো জ্বালাইয়া।” আমরা ছোট বেলা থাইক্যা রাধারমণের গান শুনতাছি, গাইতাছি। আমরা এরকম শুনছি না। আমরা শুনছি “ভাইবে রাধারমণ কয় শুনো কৃষ্ণ দয়াময়, আমার জ্বালাপোড়া কত প্রাণে সয়, তোমারে দেখিবার মনে লয়।” এরকম অসংখ্য লোকগানের তুলনামূলক সঠিক বাণী ও সুরের জন্য অনেক প্রখ্যাত শিল্পী-গবেষক দ্বারস্থ হতেন সুষমা দাশের।  

২০১৭ সালে সংগীত ও সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এই গুণী সংগীতশিল্পীকে একুশে পদকে ভূষিত করে। এ পদকপ্রাপ্তির অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি তখন বলেন, ‘আমরা আসলে মানুষকে মূল্যায়ন করি তার স্বীকৃতির উপরে। কাজের মূল্যায়ন না অইলে মানুষের মূল্যায়ন হয় না। এটা আমাদের এই সমাজের অলিখিত নিয়ম অই গেছেগা। তয় বাবা পদক পাওয়ার ব্যাপারে কইতে অয়, আমার বিয়ার পর প্রথম ছয় বছর আমার কোনো সন্তান আছিল না। ছয় বছর পর প্রথম যে সন্তানটা হয়। সেই সন্তান কোলে নিয়ে যেরকম আনন্দ পাইছি, ঠিক সেরকম আনন্দ পাইছি একুশে পদকটা পাওয়ার পরে। আর এই পদকের চেয়ে বড় যে পদক আমি পাইছি তা অইলো মানুষের ভালোবাসা। আমার গান মানুষের ভালো লাগে, মানুষ আমারে ভালাপায় (ভালোবাসে) এটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া। ভালোবেসে মাসেমা, পীসিমা বলে ডাকে, আর কি লাগে কও বাবা!‘ 

সুষমা দাশ চলে গেলন না ফেরার দেশে। সেই সঙ্গে আমরা হারালাম লোকগানের দরদী এক শিল্পী ও সংগ্রাহককে। তাকে নিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু কাজ হয়েছে। তাদের মধ্যে কলকাতার বিশিষ্ট কন্ঠশিল্পী ও গবেষক মৌসুমী ভৌমিক, বাংলা একাডেমির পুরস্কার প্রাপ্ত লোকসংস্কৃতি গবেষক ও প্রাবন্ধিক সুমনকুমার দাশ অন্যতম। 

এ ছাড়া, তার সংগ্রহে থাকা শত শত গানের মধ্যে মাত্র দুই শতাধিক গানের একটি সংকলন করেছেন সংগ্রাহক আজিমুল রাজা চৌধুরী ‘সুষমা দাশ ও প্রাচীন লোকগীতি’ গ্রন্থে। এ ছাড়া বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী অনিমেষ বিজয় চৌধুরীর উদ্যোগে ‘অনিন্দ্য সুষমার রাধারমন’ ও ‘গীতিসুধার সুষমা ও জীবনপথের গান’ দুটি গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। এ ছাড়াও তিনি কিছু গান ও সুর সংগ্রহ করেছেন। তবে এ সবই ব্যক্তি উদ্যোগে হয়েছে। 

সরকারি উদ্যোগে আরও বড় পরিসরে গানগুলো সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা যেত। জীবন সায়াহ্নে এসে তার শেষ ইচ্ছাই ছিল তার কণ্ঠস্থ লোকসংগীতগুলো যেন সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হয়। সেটা আর হলো কই? বেশিরভাগ গানই চলে গেল ওনার মহাপ্রয়াণের মধ্য দিয়ে। সুষমা দাশের আত্মস্থ করা গান সংগ্রহ–সংরক্ষণ করতে না পারার দায় আমাদের আজীবন তাড়া করে বেড়াবে। ওপারে ভালো থাকুন মাসি (সুষমা দাশ)। 

সুষমা দাস ১ মে ১৯৩০ সালে সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লার পুটকা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে পারিবারিকভাবে স্থানান্তরিত হয়ে দিরাইয়ের পেরুয়া গ্রামে বসবাস করেন। পিতা- রসিকলাল দাস, মাতা- দিব্যময়ী দাস। পিতা রসিকলাল দাস গান লিখতেন এবং গাইতেন। তিনি পিতার সঙ্গে ৭ বছর বয়স থেকে গান করেন। 

মাত্র ১৭ বছর বয়সে শাল্লার চাকুয়া গ্রামে প্রাণনাথ দাসের সাথে তার বিয়ে হয়। গ্রামীণ আসরে ধামাইল, কবিগান ও বাউল গানের পাশাপাশি হরি জাগরের গান, গোপিনী কীর্তনসহ ভাটি অঞ্চলের প্রচলিত লোকজ ধারার সকল অঙ্গের গানে নন্দিত শিল্পী হিসেবে এলাকায় খ্যাতি অর্জন করেন। এ ছাড়াও তিনি গোষ্ঠ, বাল্যলিলা, বিয়ের গান, রাখাল বনের খেলা, বকবধ, কালিদ্বয়, মুক্তালতাবলী, কলঙ্কঞ্জন, উত্তরাগোষ্ঠ, সুবল-মিলন ইত্যাদি বিভিন্ন সময় পরিবেশন করেন।

লোকগান সংগ্রহে সুষমা দাশের বিশেষ অবদান রয়েছে। নৌকার মাঝি, পাহারাদার এবং পথেঘাটে যখনই কারো গান শুনে তার ভালো লাগত তিনি তা সংগ্রহ করতেন। এভাবে প্রায় চারশ লোককবির গান সংগ্রহ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি সিলেট বেতারে গান শুরু করেন এবং পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মঞ্চে গান করারও সুযোগ সৃষ্টি হয়। 

বর্ষবরণ বসন্ত উৎসবসহ বৃহত্তর সিলেটের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অনুষ্ঠানে গান করেন। বাংলাদেশ বেতারে তিনি প্রায় সহস্রাধিক গান পরিবেশন করেন। সুষমা দাস রাধারমন দত্তের গান, বাউল শাহ আবদুল করিমের গান, কালাশাহ, দুর্বিন শাহ, গীতিকবি গিয়াস উদ্দিন আহমদ, হাসন রাজাসহ বহু মরমিকবি ও সাধকের গান গেয়েছেন। 

২০১০ সালে ভারতের কলকাতায় ‘বাউল ফকির উৎসব’ এবং পরবর্তীতে কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন এবং দর্শকের অনুরোধে পরপর কয়েকটি রাধারমণের গান পরিবেশন করেন। ঢাকা শিল্পকলা কর্তৃক আয়োজিত ‘লোকসংগীত উৎসব’, অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।

২০১১-এর ১৬ মার্চ ছায়ানট কর্তৃক আয়োজিত ওয়াহিদুল হক স্মারক ‘দেশ ঘরের গান’ অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন ছাড়াও অনুষ্ঠানে পিতা- রসিকলাল দাস ও রাধা রমনের গান পরিবেশন করেন। জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের সভাপতি বেগম সুফিয়া কামালের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় রবীন্দ্র সম্মেলনের অষ্টম বার্ষিক অনুষ্ঠানে রাধারমণ দত্তের গান পরিবেশন করেন। 

লেখক : নজরুলসংগীত শিল্পী

এমজে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর