-67a0be97b8ed0.jpg)
‘কমিউনিস্ট বাহিনীর’ হাত থেকে দেশকে রক্ষার নামে গেল বছরের ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় জরুরি ভিত্তিতে সামরিক আইন জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। গণতন্ত্রকে হত্যা করে সেদিন রাতে টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ ঘোষণা দেন তিনি। একই সঙ্গে নিষিদ্ধ করা হয় সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। স্থগিত করা হয় বাক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি নিয়ন্ত্রিত জাতীয় পরিষদ বন্ধের নির্দেশ দেন সেনাপ্রধানকে। সেখানে আইন প্রণেতাদের প্রবেশে বাধা দিতে পাঠানো হয় পুলিশ ও বিশেষ বাহিনী। ইউন সুক-ইওল দাবি করে বলেন, ‘উদারপন্থি দক্ষিণ কোরিয়াকে উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট বাহিনীর হুমকি থেকে সুরক্ষা দিতে এবং রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন শক্তি নির্মূল করতে আমি জরুরি ভিত্তিতে সামরিক আইন জারি করছি।’
তার ভাষ্য, উদার গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য তার এই উদ্যোগ।
কিন্তু কোরীয় নাগরিকরা প্রেসিডেন্টের এই ক্ষমতা দখলকে ভালোভাবে নেয়নি। বিক্ষুব্ধ জনতা ছুটে আসে পার্লামেন্টে। আসেন আইন প্রণেতারাও। সেনারা তাদের বাধা দেয়। শুরু হয় এক নাটকীয়তা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে রাতে অধিবেশন বসে। সেখানে প্রেসিডেন্টের আদেশ প্রত্যাহারের পক্ষে ভোট পড়ে। আপাতত পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, মেয়াদ পূর্ণ হতে আরও দুই বছর বাকি থাকতেই তাকে অভিশংসনের জল্পনা শুরু হয়। ভোটে দেখা যায়, পার্লামেন্টের ৩০০ সংসদ সদস্যের মধ্যে ২০৪ জন তাকে অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট ইউনের নিজের দলের অন্তত ১২ জন এমপি তাকে অভিশংসনের পক্ষে মত দেন।
অভিশংসনের ভোটের আগেই হাজার হাজার মানুষ দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টের সামনে জড়ো হন। ভোটের ফলাফল জানার পর তাদের উল্লাস মিছিল করতে দেখা যায়। অভিশংসনের পর তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। যদিও তিনি স্থায়ীভাবে পদ থেকে অপসারিত হবেন কিনা তা নির্ভর করছে সাংবিধানিক আদালতের ওপর। তবে এরমধ্যেই আরও চাপে পড়েছেন ইউন সুক-ইওল। ঘটনার ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল সামরিক আইন জারি করার মধ্য দিয়ে বিদ্রোহ করেছেন। এরমধ্যেই তাকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্য দিয়ে দেশটির ইতিহাসে ক্ষমতাসীন কোনো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত হলেন।
কয়েক দশকের স্বৈরতন্ত্রের পরে ১৯৮০’র দশকের শেষ দিকে গণতন্ত্রে উত্তরণ হয় দক্ষিণ কোরিয়ায়। গেল দুই মাসের ঘটনায় সেই গণতন্ত্র এক বড় ঝুঁকির মুখে পড়ে যায়। যদিও ৩ ডিসেম্বরের রাতের সবশেষ ফলে গণতন্ত্রের বিজয় ঘটে। তবে যে ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে দেখা যায়, যতটা শক্তিশালী গণতন্ত্রের চর্চার কথা বলা হয়, সেখানেও ফাঁকফোকর রয়েছে।
ইউনের ব্যর্থ স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা চেষ্টার পরও গণতন্ত্র মজবুতে দক্ষিণ কোরীয়দের সামনে বড় লড়াই অপেক্ষমাণ। প্রেসিডেন্টের দল রক্ষণশীল পিপলস পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) দীর্ঘ দিন ধরেই দেশের অভ্যন্তরে চরমপন্থি নানা উপাদানকে রসদ যুগিয়েছে। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি গণতন্ত্রের জন্য যে লড়াই করেছে, তাতে সাধারণ নাগরিকরা কতটা সায় দেয়, সমর্থন যোগায় সেই পরীক্ষা এখনও বাকি।
ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনীতিতে চাপ আসছে
যুদ্ধ পরিস্থিতি কিংবা কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার আইন প্রেসিডেন্টকে সামরিক আইন ঘোষণা করার অনুমতি দেয়। কিন্তু ইউন যে সময় ঘোষণা দেন, সেই সময় এমন কোনো পরিস্থিতিই ছিল না। তিনি ভাষণে দাবি করে বলেন, উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট শক্তি থেকে মুক্ত গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়ার স্বাধীনতা এবং সাংবিধানিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আমি এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি।
পার্লামেন্টের বিরোধী দলের সদস্যদের প্রতি ইঙ্গিত করে ইউন সুক-ইওল বলেন, ‘আমাদের জাতীয় পরিষদ অপরাধীদের স্বর্গে পরিণত হয়েছে। এটি আইনি একনায়কতন্ত্রের আবাসস্থল হয়ে উঠেছে। তারা বিচারিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দিতে চাইছে। একই সঙ্গে আমাদের উদারপন্থি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে পাল্টে দিতে চাইছে।’
তার মতে, বিরোধী দলের সদস্যরা ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি’। ভাষণে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি থেকে দেশকে যত দ্রুত সম্ভব মুক্তি দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করব আমি।’
কিন্তু বেশিরভাগ কোরীয় নাগরিকই এই ঘোষণাকে অজুহাত হিসেবে চিহ্নিত করেন। যদিও উগ্র কোরীয়রা মনে করেন, উত্তর কোরিয়া তাদের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, উগ্র কোরীয়রা নানাভাবে ভুয়া তথ্য, গুজব ও অপপ্রচারের মাধ্যমে প্রভাবিত হচ্ছেন। এদের অনেকেই বয়সে তরুণ।
কিন্তু কোরিয়ার, মূলধারার সাংবাদিক, সুশীল সমাজসহ বেশিরভাগ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি অবৈধ উপায়ে ঘোষণা করা সামরিক আইন জারির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার অতি ডানপন্থিরা ইউনের রাজনৈতিক পাটাতন হয়ে উঠছে। এই দল হয়ে উগ্রবাদীদের ঘাটি হয়ে উঠছে। পার্লামেন্টে গণতান্ত্রিকভাবে ইউন অভিশংসিত হলেও তার অনুসারীরা এই সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে উল্লেখ করে সিউলে ব্যাপক বিক্ষোভ করেন। ইউনের উগ্র সমর্থকরা প্রেসিডেন্ট ভবনের সামনে মার্কিন পতাকা নেড়ে তার পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করেন। এমনকি এই সমর্থকদের কারণে আগের সপ্তাহে তাকে গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ইওলের সমর্থক অনেকের ভাষ্য, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের সামরিক আইন জারির বৈধ কারণ ছিল। রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে সরিয়ে দিতেই তিনি তা করেছিলেন। ইওল জনগণ দ্বারা নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছিলেন। ইওলকে রক্ষা করা মানে দেশকে রক্ষা করা।
একপর্যায়ে ইউনের দল পিপল পাওয়ার পার্টিও (পিপিপি) তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। দলের প্রধান হান ডং-হুন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট পদে ইউনের থেকে যাওয়া ‘অসম্ভব’ ব্যাপার হবে।
ইউন সুক-ইওল অভিশংসিত হওয়ার পর দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে আসেন প্রধানমন্ত্রী হ্যান ডাক-সু। তবে বহু চ্যালেঞ্জের মুখে তিনি।
বিশ্বের অন্যতম গতিশীল অর্থনীতি ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দেশটি ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উভয় সংকটের মধ্যেই রয়েছে। ২০০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের পর থেকে সবচেয়ে নিম্নপর্যায়ে নেমেছে কোরিয়ান ইউয়ানের মূল্য। দেশটির শেয়ার বাজার এশিয়ার সবচেয়ে নিম্ন হিসেবে বছর শেষ করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরায় চ্যালেঞ্জ আরও কিছুটা বাড়তে পারে। চীনের সঙ্গে ফের যদি মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়, মিত্র হিসেবে মার্কিনিদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে পিষ্ট হতে হবে দক্ষিণ কোরিয়াকে।
এক দিকে উত্তর কোরিয়া যখন রাশিয়ার সাথে তার সামরিক সম্পর্ক জোরদার করছে, তখন ট্রাম্প মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়ার জোটকে আরও সক্রিয় করার প্রয়োজন অনুভব করতে পারেন। সেজন্য উপদ্বীপে আমেরিকান সৈন্যদের আবাসনের জন্য সিউলকে আরও বেশি খরচ করতে হতে পারে।
নতুন সরকারের সামনেও ঝুঁকি
দক্ষিণ কোরিয়ার চলমান সংকট সামনের মাসগুলোতে হয়ত কমে আসবে। সাংবিধানিক আদালত ইউনের অভিশংসনকে বহাল রাখবে বলেই ধারণা করা যায়। যদি তাই হয়, তাহলে সেখানে সরকার মেয়াদ পূরণের আগেই আগাম নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। এমন রায় এলে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেখানে উদারপন্থি দল জিততে হলে হারাতে হবে উগ্রপন্থি ডেমোক্র্যাটদের, যারা কয়েক বছর আগেই জিতে এসে ইউনের নেতৃত্বে সরকার গঠন করেছিল। নতুন সরকারকে আইনসভায় বড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আসতে হবে। না হয় তারাও ইউনের মতো সংকটের মুখে পড়তে পারেন। ইউনের সামরিক শাসন জারি যেসব ভীতি থেকে তারমধ্যে অন্যতম ছিল, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ইউনের বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল ১৯২ আসন। এছাড়াও এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে। সবমিলিয়ে ইউনের দল পিপিপিকেও ভোটের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। উদারপন্থিদের ভোট টানতে তাদের নয়া উদারনীতি চিন্তার বিকাশ ঘটাতে হবে। সেই বার্তা নিয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে।
কোরিয়ায় দিন দিন বাড়ছে রক্ষণশীলদের আস্ফালন। দেশটির সংখ্যাগুরু উদারপন্থিরা আরও হুমকির মুখে পড়ছেন। বিরোধী দলের নেতা ও আইনপ্রণেতা লি জায়ে-মিউং এর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সিটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় বিতর্কিত উন্নয়ন প্রকল্পের জেরে সমালোচিত হন। এমনকি গেল বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকালে নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করে নির্বাচনের প্রচারণায় মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার জন্যও তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। তবে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ থাকলেও অনেক উদারপন্থি এখনও তাকে দেশের জন্য প্রয়োজন বলে মনে করেন। বিশেষ করে দারিদ্র্য থেকে উঠে আসা শ্রম আইনজীবী ও প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ হিসেবে তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি প্রগতিশীল মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সের মতো চিন্তা ধারণ করেন। নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে তার দাবি, এসব অভিযোগ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে ভোটের আগে এসব অভিযোগ থেকে মুক্তি না পেলে তিনি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অযোগ্য হয়ে যাবেন। এতে ডেমোক্র্যাটরা সুবিধা পাবে।
তবে শুধু নতুন প্রেসিডেন্টই গণতন্ত্রের ভাগ্য গড়ে দিতে পারেন, এই বাক্যকে কোরীয়রা ৩ ডিসেম্বর মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়েছেন। সেখানে দেখা গেল, সাধারণ দক্ষিণ কোরিয়ানরা একত্রিত হয়ে গণতন্ত্রের হত্যা ঠেকিয়ে দিলেন। তারা ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন সৈন্যদের সামনে। আইনপ্রণেতাদের পার্লামেন্টে ঢোকার পথ করে দিলেন। ভয়, হুমকি সত্ত্বেও সাংবাদিকরা রিপোর্ট করলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রথমে শক্ত অবস্থান নিলেও তারা জনগণের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগের সাহস পায়নি।
তবে লড়াই শেষ হয়নি। ৩ ডিসেম্বর সবাই যেভাবে এক কাতারে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন, একইভাবে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সুশীল সমাজকে আরও নেতৃত্ব দিতে হবে।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এরিক মোব্রান্ড যেমন তার প্রসিস্ট বই টপ-ডাউন ডেমোক্রেসি ইন সাউথ কোরিয়াতে যুক্তি দিয়েছেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশটির তরুণ নাগরিকদের আরও ভূমিকা রাখতে হবে। কেবল গণ-বিক্ষোভের মাধ্যমেই নয়, ধারাবাহিকভাবে ব্যালটেও সেই প্রক্রিয়ার প্রতিফলন করতে হবে।
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নাগরিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে সংবাদপত্রগুলোকে ভূমিকা রাখতে হবে। তরুণদের গণতন্ত্র শিক্ষা দিতে ভূমিকা রাখতে হবে সবাইকে। দেশটিকে তার আর্থ-রাজনৈতিক বিভাজন বিশেষত যুবক-বৃদ্ধ, পুরুষ-নারীদের মধ্যে সেতুবন্ধনে আরও কাজ করতে হবে। সেই লক্ষ্যে, পরবর্তী প্রশাসন, উদার বা রক্ষণশীলতাকে মাথায় না নিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের ডাক দিতে হবে। ১৯৪৮ সালে মার্কিন সামরিক দখলের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ স্বৈরতন্ত্রের মধ্যে পড়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। তবে ১৯৮৭ সালে সামরিক একনায়কত্বকে বিদায় জানায় কোরীয়রা। এরপর গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করে দেশটি। তবে হোঁচট খাওয়ার যে সম্ভাবনা রয়েছে সেটি দেখা গেল ফের। তাই সচেতন হতে হবে।
গণতন্ত্রের পথে যাত্রা লাল গালিচায় হাঁটা নয়, বরং এব্রোথেব্রো পথে ছুটে চলা। ইউনের সামরিক আইনের রাতটি কেবল একটি খারাপ স্মৃতি হয়ে থাকুক। এরমধ্য দিয়ে গণতন্ত্র সংগ্রাম আরও একবার উজ্জীবিত করে তোলাই ওই রাতের শিক্ষা। দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকরা কাজটি করতে প্রস্তুত। তারা যেভাবে রাতারাতি সামরিক একনায়কত্ব বন্ধ করে দিল, ঠিক যেমন তারা আগের প্রজন্মের স্বৈরাচারীদের পদচ্যুত করেছিল তেমনই আগামী দিনগুলোতে তারা গণতন্ত্রের যাত্রাপথকে আরও সুগম করে তুলবে সেটাই সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামীদের প্রত্যাশা।
ফরেন অ্যাফেয়ার্স ডটকম-এ প্রকাশিত কলামটি অনুবাদ করেছেন আরিফুল ইসলাম সাব্বির
- বাংলাদেশের খবরের মতামত বিভাগে লেখা পাঠান এই মেইলে- bkeditorial247@gmail.com