বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
জুলাই গণহত্যায় র্যাবের ‘অপারেশন ক্লিনডাউন’
ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১১
আ. লীগের পতনের আগে করা ৩৫ মামলা সাজানো
প্রথম আলোর প্রধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজধানীতে অন্তত ৩৫টি মামলা করেছিল তৎকালীন পুলিশ। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা ওই সব সাজানো মামলায় হত্যার দায় চাপানো হয়েছিল বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের ওপর। এখন পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, হত্যার ঘটনার সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা জড়িত নন।
অবশ্য ৩৫ মামলায় উঠে আসা ৬২ জন হত্যায় কারা জড়িত, তা পুলিশ বের করতে পারেনি। খুনিদের শনাক্ত করতে না পেরে সম্প্রতি সেই সব মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
জুলাই গণহত্যায় র্যাবের ‘অপারেশন ক্লিনডাউন’
আমার দেশ পত্রিকার প্রথম প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, র্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ করে আন্দোলনকারীদের দমনের পরিকল্পনা হয় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ধানমন্ডির শংকরের বাসায়। র্যাবের সাবেক ডিজি ব্যারিস্টার হারুন-অর-রশীদের মাথা থেকে আসে এই পরিকল্পনা। এর সঙ্গে একমত হয়ে পরিকল্পনায় জড়িত হন ডিএমপির ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনের সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার খন্দকার মহিদ উদ্দিন।
তৎকালীন আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন পরিকল্পনার ব্যাপারে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উৎসাহিত করেন। হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর এই অভিযানের নামকরণ করা হয় ‘অপারেশন ক্লিনডাউন’। শেখ হাসিনাকে এমন পরিকল্পনার কথা জানানো হলে তিনি তা লুফে নেন। এরপরই জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর হেলিকপ্টার দিয়ে চালানো হয় গুলি।
নিত্যপণ্যে ভয় ধরাচ্ছে ডলার
কালের কন্ঠের প্রধান এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রমজানের আগেই নতুন করে ডলারের দর বৃদ্ধি আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম বাড়ানোর ঝুঁকি তৈরি করছে। এখন আমদানিকারকদের বাড়তি দরেই এলসি বা ঋণপত্র খুলতে হচ্ছে। এছাড়া পণ্য আমদানির এলসি খোলাও খুব একটা বাড়েনি, বরং তথ্য বলছে নভেম্বর পর্যন্ত এলসি খোলা কমেছে। ফলে রমজান ঘিরে ভোক্তার ঘাড়ে বাড়তি দামের বোঝা আরো ভারী হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অগ্রগতি কম ঢাকঢোল বেশি
বাংলাদেশ প্রতিবেদনের এ সংবাদে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সময় দেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে অনেক ঢাকঢোল পেটালেও কাজ এগিয়েছে খুবই সামান্য। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, জিএফআই, এডিবিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা সহায়তার কথা জানালেও বাস্তবে এসবের অগ্রগতি উল্লেখ করার মতো নয়। এমন কি উল্লেখ করার মতো অগ্রগতি বলতে, চিঠি চালাচালি আর বৈঠকই সীমাবদ্ধ।
গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এ সংক্রান্ত গঠিত কেন্দ্রীয় টাস্কফোর্স পুনর্গঠন করা হয় গত ২৯ সেপ্টেম্বর। যার প্রধান করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে। এরপর দুটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ ১৯ নভেম্বর একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে আজ বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ ব্যাংকে এই টাস্কফোর্সের তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ভোট ডিসেম্বরে অথবা আগামী বছরের মাঝে
বাংলাদেশ প্রতিদিনের এ সংবাদে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছরের মাঝামাঝি পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বাংলাদেশ সফররত ব্রিটিশ সংসদ সদস্য রূপা হককে নির্বাচনের এ সম্ভাব্য সময় জানান তিনি। এ সময় আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ এবং সুষ্ঠু হবে বলেও ব্রিটিশ ওই এমপিকে আশ্বস্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
পাঠ্যবইয়ে বড় পরিবর্তন
সমকালের প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, নতুন পাঠ্যবই পেতে শুরু করেছে সারাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম প্রকাশিত এসব বইয়ে বিষয়বস্তুর পাশাপাশি বড় পরিবর্তন এসেছে আধেয়তে (কনটেন্ট)। শিক্ষার্থীদের হাতে যাওয়া পাঠ্যবই বিশ্লেষণে দেখা যায়, নতুন নতুন গল্প-কবিতা যুক্ত করায় বাদ পড়েছে অনেক কিছু। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার লেখাও বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে ইতিহাস বর্ণনায়। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের জীবনী ও কর্মকাণ্ড নিয়ে আধেয় থেকে ঝেড়ে ফেলা হয়েছে অতিরঞ্জিত ইতিহাস। রাজনীতিকদের সম্মান দেওয়া হয়েছে ব্যক্তি-বন্দনা কমিয়ে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানায়, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের নতুন শিক্ষাক্রম স্থগিত করে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের আলোকে পরিমার্জিত বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছে সরকার। এ ক্ষেত্রে এনসিটিবির ৪১ বিশেষজ্ঞ ৪৪১টি পাঠ্যবই পরিমার্জন করেছেন।
সরকারের ঋণ গ্রহণে বড় বিশৃঙ্খলা
যুগান্তরের প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, রাজস্ব আয় কম হওয়ায় চলতি ব্যয় মেটাতে সরকারকে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে বড় অঙ্কের ঋণ গ্রহণ করতে হচ্ছে। সরকারের বড় অঙ্কের ঋণের জোগান আসে ব্যাংক খাত থেকে। কিন্তু এবার তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংক খাত চাহিদা অনুযায়ী সরকারকে বড় অঙ্কের ঋণের জোগান নিশ্চিত করতে পারছে না।
উলটো ব্যাংকে তারল্যের জোগান বাড়াতে সরকার এ খাত থেকে নেওয়া আগের ঋণ কিছুটা পরিশোধ করছে। ফলে সরকার বাধ্য হয়েই ঋণের জন্য হাত দিচ্ছে নন-ব্যাংক খাতের ওপর। এর মধ্যে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান (ফাইন্যান্স কোম্পানি), বিমা কোম্পানি ও সরকারি খাতের সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ঋণ নিতে হচ্ছে।
এ খাত থেকে চলতি অর্থবছরে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই ৫ মাসেই নেওয়া হয়েছে ২৩ হাজার কোটি টাকা। যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৯৮ শতাংশ। ফলে এ খাত থেকে সরকারকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি ঋণ গ্রহণ করতে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এসবি