Logo
Logo

অন্যান্য

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

গোয়েন্দা জালে নৈশভোটের কুশীলব ১১৬ ডিসি-এসপি

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২৭

গোয়েন্দা জালে নৈশভোটের কুশীলব ১১৬ ডিসি-এসপি

ছবি : সংগৃহীত

আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ছে 

প্রথম আলোর প্রধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমনের ভরা মৌসুম চলছে। নতুন ধানের চাল পুরোদমে বাজারে আসছে। কিন্তু দাম কমেনি, বরং বেড়েছে। যদিও অন্তর্বর্তী সরকার আশা করেছিল, আমন উঠলে চালের দাম কমবে। 

বেশি বেড়েছে মোটা চালের দাম। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, মোটা চালের দাম বেড়েছে মূলত সর্বশেষ এক সপ্তাহে—কেজিতে তিন থেকে চার টাকা। এ সময়ে মাঝারি চালের দাম বেড়েছে কেজিতে দুই টাকা। সরু চালের দাম এক সপ্তাহে বাড়েনি। কিন্তু এক মাসের হিসাবে বেড়েছে দুই থেকে চার টাকা। 

গ্যাসের ব্যবস্থা ছাড়াই রূপসা বিদ্যুৎকেন্দ্র 

আমার দেশ পত্রিকার প্রথম প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্যাসের সংস্থান নেই, সহসা সরবরাহের নিশ্চয়তাও নেই, তবু বৈদেশিক ঋণে নির্মাণ করা হয়েছে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। রাষ্ট্রীয় খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে বসিয়ে রেখে পরে স্থাপিত বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রে দেওয়া হয়েছে গ্যাস। 

ফলে সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন পর্যায়ে গিয়েও এখন গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে। আগামী তিন বছরেও কেন্দ্রটির উৎপাদনে যাওয়া অনিশ্চিত। বাড়ছে ঋণের বোঝা। বিপাকে পড়েছে সরকার। অবিশ্বাস্য এ চিত্র সরকারি মালিকানার রূপসা বিদ্যুৎকেন্দ্রের। 

রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (নওপাজেকো) অধীনে ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পতিত শেখ হাসিনা সরকারের বিদ্যুৎ খাতে লুটপাট ও নৈরাজ্যের অন্যতম প্রতীক। সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকায় নির্মিত কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়ে ২০২৭ সাল পর্যন্ত বসিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছে আরেক রাষ্ট্রীয় সংস্থা পেট্রোবাংলা।

গোয়েন্দা জালে নৈশভোটের কুশীলব ১১৬ ডিসি-এসপি 

কালের কণ্ঠের প্রধান এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোটের মাঠের ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলে তাঁদের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ। কখনো কখনো এমন অভিযোগ যে তাঁরা পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ভোটের আগের রাতেই ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’-এ নেতৃত্ব দিয়েছিলেন! গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী সরকারদলীয় প্রার্থীদের জিতিয়ে দিতে তাঁদের ভূমিকা নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হয়। বিশেষ করে ২০১৮ সালের নির্বাচনই আলোচনার কেন্দ্রে। ওই সময় তাঁরা প্রার্থীদের কাছ থেকে ‘হ্যান্ডসাম অ্যামাউন্ট’ কামিয়েছিলেন বলেও প্রচার রয়েছে। 

বিগত নির্বাচনে তৎকালীন সরকারদলীয় প্রার্থীদের জিতিয়ে দেওয়ার নেপথ্যের আলোচিত-সমালোচিত ওই ডিসি-এসপিরা আবারও আলোচনায়। এবার তাঁদের ফাইল ধরে টান দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের কর গোয়েন্দারা। রাতের ভোটের কারিগর বলে পরিচিত এসব ডিসি-এসপির বিপুল অঙ্কের অবৈধ আয়ের কর ফাঁকি অনুসন্ধানে সংস্থাটির আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট ব্যাপক আয়োজনে মাঠে নেমেছে। তাদের তৈরি ১১৬ ডিসি-এসপির তালিকা এখন কালের কণ্ঠের কাছে।

আসছে আরও ১৩ দল 

বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান এ সংবাদে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ১৩টি নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পেতে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে। সংশ্লিষ্ট শাখা এ-সংক্রান্ত ফাইল নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করেছে। এ ছাড়া রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন আলোচনা চলছে ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ ও ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ তথা এ দুই প্ল্যাটফর্মের নেতাদের উদ্যোগে ভিন্ন কোনো নামে রাজনৈতিক দল গঠন নিয়েও। ৩১ ডিসেম্বর ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ সমাবেশ শেষ করেই তারা এখন রাজনৈতিক দল গোছানোর কাজে মনোযোগ দিয়েছে। সূত্র জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারিতে তারুণ্যনির্ভর এ নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে।

গণপূর্ত ও তদন্ত কমিটি দুই মেরুতে, নানা প্রশ্ন 

সমকালের প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ষষ্ঠ থেকে নবম তলায় মিলেছিল সাদা পাউডার। সরকারের প্রশাসনিক সদরদপ্তরের মতো স্পর্শকাতর ভবনের করিডোরে কীভাবে সাদা পাউডার এলো! কলাপসিবল গেটে তালা থাকার পরও কীভাবে ষষ্ঠ তলায় আগুনে পুড়ে কুকুর অঙ্গার হলো– এসব রহস্যের উত্তর নেই সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদনে। 

এদিকে সচিবালয়ের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত অধিদপ্তরের ইলেকট্রো মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের (গণপূর্ত ই/এম বিভাগ-৪) ভাষ্য, যে স্থানে বৈদ্যুতিক ত্রুটির কথা বলা হয়েছে, সেখানে ছিল টেলিফোনের তার। এই তার থেকে বৈদ্যুতিক স্পার্ক হওয়ার সুযোগ একদম নেই। তবে তদন্ত কমিটি বলছে, বৈদ্যুতিক স্পার্ক থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। আগুন লাগার সূত্র নিয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তর ও তদন্ত কমিটি এখনও দুই মেরুতে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিভেদ। 

নতুন শিল্পে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে ক্ষোভ

যুগান্তরের প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, শিল্পকারখানা ও ক্যাপটিভে নতুন সংযোগে গ্যাসের দাম দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রণালয়। জ্বালানি বিভাগ জানিয়েছে, আমদানিকৃত এলএনজির খরচ যা পড়বে, সেই দর আদায় করতে চায় তারা। পুরোনো শিল্পকারখানায় লোড বাড়াতে চাইলেও গুনতে হবে দ্বিগুণ মূল্য। সরকারের এ সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে পেট্রোবাংলা। বিতরণ কোম্পানিগুলো ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে প্রস্তাব পাঠাবে পেট্রোবাংলা। বিইআরসি এই প্রস্তাবের ওপর শুনানি করবে। এরপর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিইআরসি দাম বাড়ানোর বিষয়ে অনুমোদন দেবে অথবা বাতিল করবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এসবি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর