ছবি : সংগৃহীত
একটি অভ্যুত্থানের সফলতার পেছনে থাকে নানা গল্প। ২০২৪ সালে জুলাইয়ের ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানেরও অনেক গল্প আছে। সেগুলোরই একটি- দেশজুড়ে তরুণ প্রজন্মের দেয়ালগ্রফিতি। রঙতুলি দিয়ে অত্যন্ত কোমলভাবে দেয়ালে দেয়ালে তারা তাদের মনের কঠোর ভাব প্রকাশ করেছে।
রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভারে দেখা গেছে এমনই একটি গ্রাফিতি। তবে সেটি একটু ব্যতিক্রম; লেখা হয়েছে আরবি ভাষায়। এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ আলোচনা হয়েছে।
নেটিজেনরা বলছেন, দেশের মাদ্রাসা-সংশ্লিষ্টরাও যে জুলাই অভ্যুত্থানে সামনের কাতারে অংশ নিয়েছেন, এটি তারই প্রমাণ। তাদের দাবি- মাদ্রাসা পড়ুয়ারা ছাড়া এরকম আরবি সাধারণত অন্য কেউ লিখবে না। এ কারণে সাধারণ মানুষ এর বাংলা অর্থও বুঝতে পারছে না।
এজন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ এর বাংলা অনুবাদ তুলে ধরেছেন। গ্রফিতির লেখাটির বাংলা উচ্চারণ হলো- উখরুজ মিন বাংলা ইয়া হাসিনা! মানে- হে হাসিনা! তুমি বাংলাদেশ থেকে বের হও।
তবে লেখাটিতে স্ত্রী লিঙ্গের স্থলে পুরুষ লিঙ্গের ক্রিয়া ব্যবহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে একজন সমালোচনাকারীর উত্তরে বলা হয়েছে, এখানে লিঙ্গ ব্যাপারটি বিবেচ্য নয়; বরং মনের ভাবটা দেখুন।
আরেকজন এর উত্তরে লিখেছেন, নারী হওয়া সত্ত্বেও আমাদের দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে তার অনুসারীরা ‘বিশ্বনেতা’ আখ্যায়িত করতেন। সেদিক বিবেচনায় স্ত্রী লিঙ্গের চেয়ে পুরুষ লিঙ্গের ক্রিয়ার ব্যবহারই উপযুক্ত।
লেখাটি নিয়ে এরকম আরও নানারকম হাস্যরসাত্মক কথাবার্তা চালাচালি হচ্ছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর কমেন্টবক্সে।
আরবি এই গ্রাফিতিটি বনানী থেকে মহাখালীর দিকে যেতে আমতলীর একটু আগে ফ্লাইওভারের ওপরে লেখা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী বেশ কয়েকজন তাদের পোস্টে জানিয়েছেন, শুধু লেখাটি স্বচক্ষে দেখতে অনেকেই আমতলীর ওই স্থানটিতে ঘুরতে গিয়েছেন।
বিএইচ/