Logo
Logo

অন্যান্য

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

ভারতের আবদারে রামগড়ে স্থলবন্দর

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:১২

প্রিয় পাঠক, চায়ের চুমুকে রাঙাসকাল মাড়িয়ে আপনার দুপুর,সন্ধ্যা শুভ হোক। দুধে ধোয়া চাঁদের মতো আলোকিত হোক রাতও। একগুচ্ছ সুখসংবাদ নিয়ে হাজির হোক আগামী দিনের সকাল। সেই প্রত্যাশায় চলুন জেনে নিই আজকের বাংলাদেশকে—

শতাধিক পণ্যে শুল্ক-কর বাড়ল
প্রথম আলোর প্রধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। তাতে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ আরেক দফা বেড়ে যেতে পারে সাধারণ মানুষের। যেমন মুঠোফোন সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বাড়বে। আবার পোশাক–আশাকের দামও বাড়তে পারে ভ্যাট বৃদ্ধির কারণে। বাড়তে পারে রেস্তোরাঁয় খাওয়ার খরচও।

এ ছাড়া মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে মিষ্টি, ওষুধ, এলপি গ্যাস, ফলের রস, ড্রিংক, বিস্কুট, চশমার ফ্রেম, সিগারেটসহ নানা পণ্যের। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ–সংক্রান্ত দুটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। অধ্যাদেশ দুটি হলো মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দি এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫। এই দুটি অধ্যাদেশ জারির প্রেক্ষাপটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ গতকাল এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। এর ফলে এই অধ্যাদেশের পরিবর্তনগুলো সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়ে গেছে।

ভারতের আবদারে রামগড়ে স্থলবন্দর
দৈনিক আমার দেশের লিড প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ির শেষপ্রান্তে রামগড় উপজেলা। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ পেরিয়ে সীমান্তের এই উপজেলাটি ক’বছর আগেও ছিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। পাহাড়ের পাদদেশে ফেনী নদী ভাগ করেছে দুই দেশের সীমানা। সীমান্তের ওপারে ভারতের সেভেন সিস্টার হিসেবে পরিচিত সিকিম, আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম, মণিপুর, অরুণাচল এবং নাগাল্যান্ডের অবস্থান।

তবে রামগড় সীমান্ত লাগোয়া এলাকাটির নাম ত্রিপুরা রাজ্যের সাবরুম। এই সাবরুমকে কেন্দ্র ধরে সাম্প্রতি সেভেন সিস্টারের রাজ্যগুলোর সঙ্গে সড়ক ও রেলপথে কানেক্টিভিটি বাড়িয়েছে ভারত। তাদেরই আগ্রহে রামগড়ে বন্দর তৈরি করে দিচ্ছে বাংলাদেশ। ফেনী নদীর ওপর তৈরি মৈত্রী সেতু সংযোগ ঘটিয়েছে দুই দেশের। এই সেতু দিয়েই বাণিজ্যিক ও প্যাসেঞ্জার পারাপার হবে বন্দরের কার্যক্রম চালু হলে।

ভারত প্রান্তে সবকিছু প্রস্তুত হলেও এখনো গুছিয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। বন্দর ভবন, কাস্টমস শেড, প্যাসেঞ্জার ও পরিবহন টার্মিনালসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নের ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে এরই মধ্যে। বাকি ৩০ শতাংশের কাজও চলমান রয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুনে প্যাসেঞ্জার ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হবে স্থলবন্দরটি।

দুর্নীতি অনুসন্ধানে যৌথ দল
যুগান্তরের প্রধান খবরে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান ও পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে ১০টি বিশেষ যৌথ তদন্ত দল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে এসব দল সাবেক সরকারের ঘনিষ্ঠ ১০ ব্যবসায়ী গ্রুপের দুর্নীতি অনুসন্ধানের পাশাপাশি পাচার করা টাকা দেশে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেবে।

প্রতিটি দল হবে তিন সদেস্যর। এর মধ্যে একজন করে দলনেতা থাকবেন ও দুজন সদস্য থাকবেন। দুদক, সিআইডি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সমন্বয়ে এসব দল গঠন করা হবে। অচিরেই দলগুলো কাজ শুরু করবে।

ক্রসফায়ার ২২৭৬ নেতাকর্মী
বাংলাদেশ প্রতিদিন বলছে, দলের ২ হাজার ২৭৬ নেতা-কর্মীকে ‘ক্রসফায়ারে’ হত্যার অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতা, সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলীসহ ১৫৩ জনকে গুমের অভিযোগ এনেছে দলটি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে গতকাল ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিমের কাছে এমন অভিযোগ তুলে দিয়েছে বিএনপি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে অভিযোগটি দায়ের করেন দলটির গুম, খুন তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা মো. সালাউদ্দিন খান। আইনজীবী নুরুল ইসলাম জাহিদ সঙ্গে ছিলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা গুমের অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০০৮ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিএনপির মতো একটি রাজনৈতিক দলকে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু অতি উৎসাহী সদস্য বিএনপির নেতা-কর্মী-সমর্থকদের অপহরণপূর্বক গুম করে হত্যা করেছেন এবং এখন পর্যন্ত অনেককেই গুম করে রাখা হয়েছে। বিএনপির তথ্যানুযায়ী এ পর্যন্ত মোট ১৫৩ জনকে গুম করে হত্যা ও অপহরণপূর্বক গুম করে রাখা হয়েছে। এ গুমসংক্রান্ত অনুসন্ধান ও তদন্ত করে মামলা গ্রহণের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলো।

উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেই বাড়ছে শতাধিক পণ্যের শুল্ক-কর
সমকালের প্রথম এ সংবাদে বলা হয়েছে, দেশে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেই হোটেল-রেস্তোরাঁ, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ওষুধ, কোমল পানীয়, সিগারেটসহ শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়াল সরকার। এসব পণ্য ও সেবায় ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক (এসডি) বাড়িয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুটি নতুন অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে অপ্রত্যাশিতভাবে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর কারণে এসব পণ্য ও সেবার খরচ বাড়বে। যেমন মোবাইল ফোন সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ফলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ বাড়বে। রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে খরচ বাড়বে। পোশাক কেনার ক্ষেত্রে যোগ হবে বাড়তি খরচ।

গতকাল জারি করা অধ্যাদেশ দুটি হলো– মূসক ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ এবং দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫। সরকার এ দুটি অধ্যাদেশ প্রকাশের পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। এর ফলে এ অধ্যাদেশের পরিবর্তনগুলো সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়ে গেছে। অর্থাৎ বাড়তি ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক কার্যকর হয়ে গেছে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএফএম) শর্ত পরিপালনে কিছু পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বাড়ানো এবং যৌক্তিকীকরণ করার পরিকল্পনা নেয় সংস্থাটি। এর ধারাবাহিকতায় গত ১ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এনবিআরের ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব পাস করা হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত সাপেক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ না থাকায় অধ্যাদেশের মাধ্যমে শুল্ক-কর বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।


রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠার পথে দেশ
কালের কণ্ঠের লিড নিউজে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের প্রথমার্ধের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে বলে ধারণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে সার্বিক কার্যক্রমে মনে হচ্ছে, চলতি বছরের শেষ দিকেও নির্বাচন করা যেতে পারে এমন প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। এ ক্ষেত্রে চলতি বছর নির্বাচন না হলেও এ বছরই রাজনৈতিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পথনকশা স্পষ্ট হয়ে উঠবে। সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানসহ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বক্তব্যে এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

নির্বাচন কমিশনও বলছে, তারা সরকারের ঘোষণা করা সম্ভাব্য সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সম্প্রতি একটি সংবাদপত্রের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান  রাজনৈতিক সরকারের প্রয়োজনীয়তার কথা জানান। তাঁকে  বলা হয়, গত ১৫ বছরে প্রশাসন, পুলিশ, বিচার, ব্যবসাসহ রাষ্ট্রের নানা ব্যবস্থা ভেঙে গেছে। এটাকে একটা স্বাভাবিক জায়গায় আনতে তো সময় লাগবে।

এটিআর/এনজে 


Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর