বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
রাতের ভোটের কুশীলবরা কোথায়
ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০
ছবি : সংগৃহীত
রাতের ভোটে জড়িতদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক
বাংলাদেশের খবরের প্রথম সংবাদে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার আমলে দলীয় সরকারের অধীনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার, অপরাধমূলক অসদাচরণ, জাল-জালিয়াতি, দিনের ভোট রাতে করা এবং আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে' সংসদ সদস্য নির্বাচনে নমিনেশন সংগ্রহ ও অংশ নেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন কমিশনের এ সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান। অপরদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অতিরিক্ত কর কমিশনার কাজী আবু মাহমুদ ফয়সাল ও স্ত্রীসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক । এদের বিরুদ্ধে ১৭ কোটি ২১ লাখ ৯৪ হাজার ৩১৮ টাকার অর্জনের তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি।
একাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুসন্ধান প্রসঙ্গে দুদকের মহাপরিচালক বলেন, এ অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য ৫ সদস্যের একটি দল গঠন করেছে দুদক।
নিলামে সাবেক ২৪ এমপির গাড়ি
প্রথম আলোর প্রথম প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বাদশ সংসদের সদস্যদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা বাতিল হওয়ার পর গত পাঁচ মাসে মাত্র একজনই শুল্ক–কর দিয়ে একটি গাড়ি খালাস করেছেন। দুই দফা চিঠি দেওয়ার পরও আমদানি করা অন্য গাড়িগুলো খালাস নেননি সাবেক সংসদ সদস্যরা (এমপি)। এসব গাড়ির ২৪টি আগামী সপ্তাহে নিলামে তুলছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।
এসব গাড়ি আমদানিতে সাবেক সংসদ সদস্যরা ৯৫ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পরিশোধ করেছেন। সব মিলিয়ে গাড়ি কেনা বাবদ সবাই মিলে খুইয়েছেন প্রায় ২৩ কোটি টাকা। এই টাকা তাঁরা আর ফেরত পাচ্ছেন না। এখন কাস্টমস নিলামে তুলে বিক্রি করে যা পাবে, তা সরকারি কোষাগারে জমা হবে।
গাড়িগুলোর সংরক্ষিত মূল্য (শুল্ক–করসহ) ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা নির্ধারণ করেছে কাস্টমস। প্রথম নিলামে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি সর্বোচ্চ দরদাতা এই গাড়ি কিনতে পারবেন। এই হিসাবে প্রতিটি গাড়ি কিনতে ন্যূনতম ৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা দর দিতে হবে। ২৫ শতাংশ করসহ এই গাড়ির সর্বনিম্ন দাম পড়বে ৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
ভারতের পানি প্রত্যাহারে কৃষিতে বিপর্যয়ের শঙ্কা
আমার দেশ পত্রিকার প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, দুই দেশের অভিন্ন ৫৪ নদীর মধ্যে কমপক্ষে ৫১টি নদী থেকে অবৈধভাবে পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে প্রতিবেশী ভারত। এতে শুকনো মৌসুম শুরুর আগেই নদীতে পানি প্রবাহ আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। ফলে আসন্ন সেচ মৌসুমে বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ওপর মারাত্মক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। কোনো কোনো খরস্রোতা নদী শুকিয়ে এখন সরু নালায় পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকার উদ্বেগের কথা দিল্লিকে জানিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। যৌথ কমিশনের বৈঠকসহ নদীগুলোর বিভিন্ন পয়েন্টে যৌথ কারিগরি সমীক্ষা পরিচালনার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে ঢাকার পক্ষ থেকে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও যৌথ নদী কমিশন সূত্র আমার দেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিকে চলতি সেচ মৌসুমে ভারত অভিন্ন নদীর পানি প্রবাহকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে এমন আশঙ্কাও রয়েছে নদী বিশেষজ্ঞসহ একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের। পানির ন্যায্য হিস্সা আদায়ে ভারতকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে চাপ দেওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ফোরামে অভিযোগ দায়েরের কথা বলছেন তারা।
বিনিয়োগ ও রাজস্বে ব্যাপক ধস
বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৭১%
কালের কণ্ঠের প্রথম প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগে (এফডিআই) বড় ধরনের পতন হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে গত অর্থবছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় নিট বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে প্রায় ৭১ শতাংশ, যা গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। বিনিয়োগ কমার পেছনে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তাকে দায়ী করেছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা।
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই দেশজুড়ে ছিল রাজনৈতিক অস্থিরতা।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে তৈরি হয় নতুন পরিস্থিতি। এর পরও কাটেনি অস্থিরতা, নানা দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন বারবারই পথে নেমেছে।
শিল্প উদ্যোক্তারা বলছেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে বিনিয়োগের কোনো পরিবেশ নেই। গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের ধারাবাহিকতার কারণে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
বন্ধ হচ্ছে কারখানা বাড়ছে বেকার
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম সংবাদে বলা হয়েছে, একের পর এক কারখানা বন্ধ হওয়ায় বাড়ছে বেকারত্ব ও শ্রমিক অসন্তোষ। অসহায় শ্রমিকরা কারখানা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করছে, জড়িয়ে যাচ্ছে নানা অপরাধে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অবিলম্বে বন্ধ শিল্পকারখানা চালু করে কর্মসংস্থান বাড়ানো উচিত। কারণ, বিদ্যমান অস্থিরতায় নতুন বিনিয়োগ হচ্ছে না। চালু কারখানাগুলো বন্ধ হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেবে। বেকার শ্রমিকদের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। সাময়িকভাবে শ্রমিকদের রেশনের ব্যবস্থা করা উচিত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শ্রমিক অসন্তোষ, ঋণের উচ্চ সুদহার, কাঁচামাল আমদানির জন্য চাহিদামতো এলসির (ঋণপত্র) অভাব, জ্বালানি সংকট, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের অভাব, শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির ফলে উৎপাদন খরচ বাড়ায় অনেকে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেন না। আবার অনেক উদ্যোক্তা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে না পেরে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এসব কিছুর জেরে গত এক বছরে ১৪০টি কারখানা বন্ধ হয়ে বেকার হয়েছে ৯৪ হাজার কর্মী। সম্প্রতি বেক্সিমকো গ্রুপের ১৬টি পোশাক কারখানার ৩৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বন্ধ ১৫৫ কারখানায় ১ লাখ ৩৪ হাজার কর্মী চাকরি হারিয়েছে।
সরকারি চাকুরেরা আপাতত পাচ্ছেন না মহার্ঘ ভাতা
সমকালের প্রথম প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আপাতত পাচ্ছেন না মহার্ঘ ভাতা। জানুয়ারি থেকেই এ ভাতা কার্যকরের যে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, অর্থনীতির বর্তমান টালমাটাল পরিস্থিতিতে সেখান থেকে সরে এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার। মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়ন হলে রাশ টানা যেত না মূল্যস্ফীতির, সমাজে দেখা দিত বৈষম্য– এমন শঙ্কায় সব মহল থেকে সরকারের এ উদ্যোগ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ পটভূমিতে সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে মহার্ঘ ভাতা থেকে কিছুটা পিছিয়েছে সরকার। তবে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে এলে নতুন অর্থবছরের বাজেটে বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা সমকালকে জানান, আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য ঠিক রেখে মহার্ঘ ভাতার অর্থ সংস্থান করা সরকারের জন্য বেশ কঠিন। তবু অন্য খাত থেকে টাকা কাটছাঁট করে ভাতা দেওয়ার খসড়া চূড়ান্ত করেছিল অর্থ বিভাগ। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় বিষয়টিতে সায় না দিয়ে মহার্ঘ ভাতার নথি ফেরত পাঠিয়েছে। তারা জানিয়ে দিয়েছে, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আপাতত এ ভাতা দেওয়া সমীচীন হবে না। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিষয়টি ফের বিবেচনা করা যেতে পারে।
দুদকের পাঁচ সদস্যের অনুসন্ধান টিম মাঠে
রাতের ভোটের কুশীলবরা কোথায়
যুগান্তরের প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, নৈশভোটের কারণে দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়েছিল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এবার সেই নির্বাচনের ‘কুশীলবদের’ সম্পর্কে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে রাতের ভোটের হোতা হিসেবে চিহ্নিত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার অন্যতম বেশির ভাগ সহযোগী এখন পলাতক। আবার অনেকেই গ্রেফতার হয়ে কারাবন্দি। তবে ২০১৮ সালের ওই ভোট কারচুপি পরিচালনায় মাঠের দায়িত্বে থাকা ১১৬ জন ডিসি-এসপির বেশির ভাগ এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। চাকরিতেও আছেন বহাল। দুদকের পাঁচ সদস্যের একটি টিম এদের সম্পর্কে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। সংগ্রহ করা হচ্ছে তাদের আয়কর নথি। অনেকের বিপুল অবৈধ সম্পদও পাওয়া গেছে। তবে নৈশভোট সম্পন্ন করতে মাঠ পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা থানার অফিসার ইনচার্জরা (ওসি) আছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। সে সময় থানার ওসি হিসাবে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদেরও অনুসন্ধানের আওতায় আনা দরকার বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিভিন্ন সূত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতার অপব্যবহার, অপরাধমূলক অসদাচরণ, জাল-জালিয়াতি, দিনের ভোট রাতে করা এবং আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে সংসদ-সদস্য নির্বাচনের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। পাঁচ সদস্যের একটি টিম এ-সংক্রান্ত কাজ করছে। অনুসন্ধান শেষে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
এসবি