বাংলাদেশ কতটা সুরক্ষিত? প্রশ্ন চরমোনাই পীরের
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:১৮
বাংলাদেশ কতটা সুরক্ষিত- প্রশ্ন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর বলেছেন, ‘সচিবালয়ে এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা স্বাধীনতার ৫৩ বছরে আর কখনো ঘটেছে বলে আমাদের জানা নেই। প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ নথি যদি ধ্বংস হয়ে গেছে। বাংলাদেশ কতটুকু সুরক্ষিত জনগণের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বরিশালের চরমোনাই মাদরাসা মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলনের উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বশীলদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দেশের মানুষ আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় যে ভবনে সেসব ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত হতে পারে বলে অনেকের আশঙ্কা। এ জন্য শুধু একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বসে থাকলে চলবে না। একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থাকে দিয়ে গভীরভাবে তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কারণ খুঁজে বের করতে হবে।’
তদন্তের প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে দিয়ে পৃথক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ‘সচিবালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন, সাম্প্রতিক সময়ে তাদের কর্মতৎপরতা, দায়িত্ব পালনের বিস্তারিত সবকিছু অনুসন্ধান করতে হবে। এদের মধ্যে কেউ দায়িত্ব পালনে উদাসীন বা অবহেলা করে থাকলে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে হবে।’
দুর্নীতি করে আঙুল ফুলে বটগাছ বনে যাওয়া কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে মন্তব্য করে চরমোনাই পীর বলেন, ‘স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, সেতু মন্ত্রণালয়ের কন্ট্রাকটর ও কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পত্তি অর্জন করেছে, আঙুল ফুলে বটগাছ হয়েছে, এদের কোনো সম্পৃক্ততা ঘটনার সাথে থাকলে আইনের আওতায় এনে কঠিন বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’
তিনি দেশের গুরুত্বপুর্ণ ও স্পর্শকাতর স্থাপনার নিরাপত্তা আরও জোরদার ও নিচ্ছিদ্র করার আহ্বান জানান।
সভায় আলোচনা করেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন প্রমুখ।
ডিআর/এমজে