সিন্ডিকেট থেকে বাজার মুক্ত করার আহ্বান বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টির

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৭
-67c2afda5f81f.jpg)
আসন্ন রমজান মাসে ব্যবসায়ীদের লাভের পরিমাণ কমিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি।
শনিবার (১ মার্চ) রাজধানীর কাওরান বাজারে দলীয় কার্যালয়ে মাহে রমজানকে সামনে রেখে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাগ্রত পার্টির চেয়ারম্যান ইকরামুল হক খান এবং পরিচালনা করেন দলের মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ।
সভায় ইকরামুল হক খান বলেন, ‘জাগ্রত পার্টি মনে প্রাণে চায় যেন নিত্যপণ্যের দাম কোনো অবস্থাতেই না বাড়ে। অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও ধর্মীয় উৎসবের সময় ব্যবসায়ীরা লাভের পরিমাণ কমিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াক। খ্রিস্টানদের বড়দিনসহ অন্যান্য ধর্মের উৎসবে দেখা যায়, তারা পণ্যের দাম কমিয়ে দেয়, কিন্তু আমাদের ব্যবসায়ীরা রমজান মাসকে আয়ের মাস হিসেবে দেখে। আমরা তাদের আহ্বান জানাই, আপনারা এই সময়ে লাভের পরিমাণ কমিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ান, এতে সওয়াবও হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের উচিত বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা, যাতে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী রমজানকে পুঁজি করে জনগণের গলা কাটতে না পারে।’ পাশাপাশি বাজার তদারকির জন্য লোকবল বাড়ানোর অনুরোধ জানান তিনি।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘রমজানের সময় কিছু সবজির ট্রানজিট পিরিয়ড থাকবে। শীতকালীন সবজি শেষ হয়ে যাবে এবং খামারের নতুন সবজি বাজারে আসবে। এ সময় পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে সরকারের উচিত নতুন কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন করা, যাতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শালগম, গাজরসহ অন্যান্য সবজি ছয় থেকে আট মাস সংরক্ষণ করা যায়।’
জাগ্রত পার্টির বিশেষ উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য জাফর ইকবাল সিদ্দিকী বলেন, ‘সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে সরকারের উচিত নাকে খত দিয়ে পদত্যাগ করা। সরকার যদি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা জনগণের সমস্যার কোনো সমাধান করতে পারবে না।’
দলের মুখপাত্র কাজী শামসুল ইসলাম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘রমজান উপলক্ষে বাজার মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে, যাতে কোনোভাবেই ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে না পারে। সরকারকে সজাগ থাকতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে না পড়ে।’
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, দলের নির্বাহী চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট অশোক কুমার ঘোষ, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য কোটা সংস্কারের আলোচিত রিটকারী আব্দুল অদুদ, দলের উপদেষ্টা আনসার ভিডিপির সাবেক উপমহাপরিচালক ড. ফোরকান উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মুন্সী, যুগ্ম মহাসচিব এবি মাসুম বিল্লাহ, অ্যাডভোকেট রানী আক্তার, আনজুমান আরা শিল্পী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রিয়াজ খান, মনিরুল ইসলাম দুলাল, হারুন অর রশীদ, মহিবুল কাদের চৌধুরী পিন্টু, সাবস্টিনা কস্তা মঞ্জু আখি, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক জামিল হোসেন, আব্দুল মালেক, যুগ্ম শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মোজাককের বারী, যুগ্ম শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. মিরাজ হোসেন, যুগ্ম মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মাফিদা চৌধুরী মিতুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
ডিআর/এমএইচএস