নারীর প্রতি সহিংসতা চরম আকার ধারণ করেছে : জাগ্রত পার্টি

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৫, ১৩:০৯

বাংলাদেশের নারী ও প্রগতিশীল সমাজ এক ভয়াবহ দুঃসময় পার করছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি (বাজপ)। দলটি দাবি করেছে, দেশে নারীবিদ্বেষ ও নারীর প্রতি সহিংসতা চরম আকার ধারণ করেছে।
শনিবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে বাজপ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ইকরামুল হক খান বলেন, ‘২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর একটি গোষ্ঠী এর চেতনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। নারীদের নিয়ে বিদ্বেষ ছড়ানোসহ তাদের ওপর সহিংসতা ও আক্রমণ চালানো হচ্ছে, যা গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থি।’
বাজপ মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা যে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, মানবিক ও শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে চেয়েছিলাম, সেটাকে এখন পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। সমাজে নারীর অধিকার, সমান সুযোগ ও সমান মজুরি নিশ্চিত না হলে দেশের অগ্রগতি সম্ভব নয়।’
দলের মুখপাত্র কাজী শামসুল ইসলাম বলেন, ‘তৌহিদি জনতার নামে ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠী নারীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে।’
বাজপ’র সহযোগী সংগঠন জাগ্রত মহিলা ফোরামের আহ্বায়ক রানী আক্তার বলেন, ‘একটি চক্র একের পর এক নারী ও শিশুর ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে, যা খুবই উদ্বেগজনক। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নারীদের হেনস্তা করা হলেও সরকার এসব ঘটনায় কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এসব অপশক্তিকে দমন করতে না পারার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে।’
মহিলা ফোরামের সদস্যসচিব আনজুমান আরা শিল্পী বলেন, ‘শোষণ-নিপীড়ন ও পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নারী সমাজকে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।’
সাবিস্টিনা কস্তা মঞ্জু আঁখি বলেন, ‘গণতন্ত্র না থাকলে শোষণ-নিপীড়ন বাড়তে থাকবে, যার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে নারী সমাজ। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের পরও নারী নির্যাতন, খুন, ধর্ষণ ও শিশুহত্যা বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন দেশের কোনো না কোনো প্রান্তে নারী ও শিশুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।’
এমজে