রমজানে দেশে অস্থিতিশীলতা পরাজিত শক্তির অপচেষ্টার অংশ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ১৭:০৬
-67d01931e68f1.jpg)
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেছেন, সাম্প্রতিক অপরাধের যে ব্যাপকতা দেখা যাচ্ছে, তা পবিত্র রোজার মাসের স্বাভাবিক চরিত্র না। বাংলাদেশের মানুষ সাধারণত অপরাধ প্রবণ না এবং রোজার মাসে ঐতিহাসিকভাবেই তাকওয়ার প্রভাব দেখা যায় সমাজে। কিন্তু এখন যে ব্যাপকতা দেখা যাচ্ছে, তা দেশকে অস্থিতিশীল করতে পরাজিত রাজনৈতিক শক্তির অপচেষ্টার অংশ। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করে অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে চাইছে। অভ্যুত্থানকে দেশের জন্য অকল্যাণকর দেখাতে চাইছে। এই কারণে আইন-শৃংখলা বাহিনীকে সতর্ক ভূমিকা পালন করতে হবে এবং এর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মুফতী এছহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, হাফেজ মাওলানা নূরুল করীম আকরাম, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, শাহ ইফতেখার তারিক, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ, জিএম রুহুল আমীন, মুফতী দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, অ্যাডভোকেট বরকত উল্লাহ লতিফ, মুফতি শেখ মুহাম্মদ নুরুন্নাবী, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, মুফতি মোস্তফা কামাল।
অধ্যক্ষ ইউনুস আহমেদ বলেন, ধর্ষণ একটি ফৌজদারী অপরাধ এবং সামাজিক অবক্ষয়ের প্রতিফল। ধর্ষকের শাস্তির ব্যাপারে ধর্ম-বর্ণ, মতাদর্শ নির্বিশেষে সকলে একমত। তারপরও ধর্ষণের ইস্যু নিয়ে একদল নারী-পুরুষকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। মতাদর্শিক সংঘাত তৈরির অপচেষ্টা করা হয়। এতে করে সমাজে বিভক্তি তৈরি হয়। এটা না করে ঐক্যকে আরও দৃঢ় করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব গাজায় সৃষ্ট মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সভ্যতার এই উৎকর্ষের কালে বিশ্বের শতকোটি মানুষের চোখের সামনে যেভাবে লাখ লাখ গাজাবাসীকে এভাবে অনাহারে হত্যা করা হচ্ছে তা কল্পনা করা যায় না। বাংলাদেশ সরকারকে এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কথা বলতে হবে। বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে একত্রিত করার উদ্যোগ নিতে হবে।
ডিআর/বিএইচ