Logo

রাজনীতি

ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ

গাজায় গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘকে ব্যবস্থা নিতেই হবে

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১৬:২৭

গাজায় গণহত্যা বন্ধে জাতিসংঘকে ব্যবস্থা নিতেই হবে

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ গাজায় ইজরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বলেছেন, ফিলিস্তিন ও গাজায় বছরের পর বছর ধরে যে অমানবিক নির্মমতা চলছে তা মানবতার জন্য এক কলঙ্কময় অধ্যায়। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান এই হামলায় ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। গত দুই দিনে এক হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, যার বেশিরভাগই শিশু ও নারী। এই দৃশ্য সহ্য করা যায় না। তাই এই হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতেই হবে। সেজন্য জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ওআইসি ও আরব লিগসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে দ্রুততার সাথে জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে। 

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে গাজায় নজিরবিহীন ইসরায়েলি হামলা ও ভারতে মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ উত্তর সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম। মিছিলপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, ডা. শহিদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, মুফতী মাছউদুর রহমান, হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান, ফজলুল হক মৃধা, নাজমুল হাসান প্রমুখ।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে মাওলানা ইমতেয়াজ আলম বলেন, ইউরোপে, আমেরিকায় ও ইসরায়েলে কী কোনো বিবেকবান মানুষ নাই? মুসলিম রাষ্ট্র প্রধানগণ কি সব অন্ধ ও বধির? নিস্পাপ শিশুদের এমন নির্মম মৃত্যু ও গণহত্যার পরেও কি ইসরায়েলকে থামানোর মতো কেউ নেই বিশ্বে? তাহলে এই সভ্যতা, এতো এতো সংস্থার কী দরকার? যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল একতরফা মুসলমানের রক্তের নেশায় মেতে উঠেছে। ইসরায়েলের এই বর্বরতা সম্মিলিতভাবে রুখে দিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, ইসরায়েলি বর্বরতা বন্ধে বাংলাদেশ সরকারকে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে। জাতিসংঘসহ বাংলাদেশ যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য, সবগুলোতে এই গণহত্যা বন্ধে জরুরি মিটিং আহ্বান করে প্রস্তাব পেশ করতে হবে। আমাদের যতটুকু সামর্থ আছে, সেটা নিয়েই জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারতে উগ্রবাদী কসাই মোদির নির্দেশে হোলি উৎসবের নামে নির্বিচারে মুসলমানদের উপর জুলুম নির্যাতনের স্টিমরোলার চালানো হচ্ছে। মুসলমানদের বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে। মসজিদ বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়ে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। প্রতিবাদ করায় অনেক মুসলমানকে পিটিয়ে হত্যা করে মোদি সরকার মুসলমানদের রক্তের নেশায় মেতে উঠেছে। ভারত সরকার যদি মুসলমানদের উপর জুলুম নির্যাতন বন্ধ না করে তাহলে বিশ্বব্যাপী ভারতের পণ্য বর্জন এবং প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। ভারত তাদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করেছে তারা অসভ্য ও বর্বর জাতি।

পুরানা পল্টন মোড় থেকে একটি বিরাট মিছিল বিজয়নগর পানির ট্যাংকি হয়ে পুনরায় পল্টন মোড়ে এসে ইসরায়েলি ও ভারতীয় পতাকা এবং নরেন্দ্র মোদির কুশপত্তলিকায় বিক্ষুব্ধ জনতা অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় জনতার রুদ্ররোষ সৃষ্টি হয়। পরে দোয়া ও মুনাজাতের মাধ্যমে মিছিলের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। 

ডিআর/বিএইচ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর