Logo

রাজনীতি

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো তানিফার পরিবারের পাশে জামায়াত

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:৩০

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো তানিফার পরিবারের পাশে জামায়াত

ছবি : বাংলাদেশের খবর

মরহুম তানিফা আহমেদ ছিলেন জুলাই বিপ্লবের অগ্রসৈনিক ও বীর সেনানী; তার এ বীরত্বগাথা দেশ ও জাতি চিরদিন গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

তিনি বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুর-১১, এভিনিউ-৫-এ মরহুম তানিফা ও পরে তার নিহত মামা শামীমের বাসায় পরিবারের খোঁজ-খবর নেওয়ার সময় সমবেত স্বজনদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমিরের সাথে একান্তে কথা বলেন এবং চিকিৎসার জন্য তার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। 

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মিরপুর মডেল থানার সহমুখপাত্র তানিফা আহমেদ তার মামা শামীমসহ এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।) জানা গেছে, চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় গত ২ এপ্রিল সকাল ৭টায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ জন প্রাণ হারান। চট্টগ্রাম থেকে ফেরার পথে তানিফা ও তার মামা শামীম, মামী, দুই মামাতো বোন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। এতে শামীমের এক বন্ধু তার স্ত্রীসহ ও আরেকজন বন্ধু এবং চালকসহ একই পরিবারের ৬ জন মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারান।

এ সময় মহানগরী আমিরের সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৬ আসনের গণমানুষের নেতা কর্নেল (অব.) আব্দুল বাতেন, ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য নাসির উদ্দিন, পল্লবী দক্ষিণ থানা আমির ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফুল আলম, যুব বিভাগ সেক্রেটারি, ঢাকা মহানগরী উত্তর ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী হাসানুল বান্না চপল, পল্লবী জোন প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান, যুব বিভাগ, সিনিয়র সহসভাপতি ঢাকা মহানগরী উত্তর নাসির উদ্দিন সজল প্রমুখ।

সেলিম উদ্দিন বলেন, মরহুম তানিফা আহমেদ স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশের ইতিহাসে স্থায়ীভাবে স্থান করে নিয়েছেন। তার এ ঐতিহাসিক অবদানের কথা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি মরহুম তানিফাসহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো সকলের রূহের মাগফিরাত কামনা করে সকলকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দানের জন্য মহান আল্লাহ তা’য়ালার দরবারে দোয়া করেন।

মহানগরী আমির তাদের স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তাদের সবরে জামিল ধারণের তাওফিক কামনা করেন।

তিনি বলেন, মৃত্যু যেভাবেই হোক তা আল্লাহর ফয়সালা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়েই হয়ে থাকে। আর দুর্ঘটনায় কারো কোনো হাত নেই। মরহুম তানিফা আহমেদ ছিলেন জাতির শ্রেষ্ঠ ও গর্বিত সন্তানদের মধ্যে একজন। তার দুনিয়ার সংক্ষিপ্ত সফরে দেশ ও জাতির যে অনন্য সাধারণ অবদান রেখেছেন তা আমরা কখনোই বিস্মৃত হবো না। 

তাই শোকাতুর না হয়ে আমাদের মরহুমের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। তিনি নিহত পরিবারের পাশে থাকতে সম্ভব সবকিছু করার আশ্বাস প্রদান করেন।

এএইচএস/এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর