রাজনৈতিক দলসমূহের ঐক্য ঘোষণায় জাতি অপেক্ষা করছে : খেলাফত আমির
![Icon](https://www.bangladesherkhabor.net/uploads/settings/ezgif-7-c58f72a6c2icon-2-1730277221.png)
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৩৯
![রাজনৈতিক দলসমূহের ঐক্য ঘোষণায় জাতি অপেক্ষা করছে : খেলাফত আমির](https://www.bangladesherkhabor.net/uploads/news_photos/2025/01/18/Abu-Talha-Rayahan-(14)-678bbd1ecc271.jpg)
রাজনৈতিক দলসমূহের ঐক্য ঘোষণায় জাতি অপেক্ষা করছে বলে মন্তব্য জানিয়েছেন খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্য সুসংহত করতে রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে আন্তঃসংলাপ জরুরি। দেশের সকল সংস্কারে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মূল্যবোধকে প্রাধান্য দিতে হবে। সংস্কার দীর্ঘ সময়ে নয়, আবার রাতারাতি নির্বাচনও দেশের মানুষ চায় না। এই বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তঃসংলাপ ও ঐক্যবদ্ধ ঘোষণার জন্য জাতি অপেক্ষা করছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ‘বৈষম্যমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্যের গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মাওলানা আবদুল বাছিত বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ নির্মাণের প্রথম কাজ ছিল ফ্যাসিবাদ ও সকল দোসরদের বিচার করা। কিন্তু আজ ক্ষমতার বন্দোবস্ত নিয়ে, অভ্যুত্থানের ক্রেডিট নিয়ে একধরণের স্নায়ু যুদ্ধ চলছে।
তিনি বলেন, নিজেদের মধ্যে বিবাদ কমিয়ে দেশের স্বার্থে এখন ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখা অত্যন্ত জরুরি। দলের ওপর দেশকে বড় করে দেখতে হবে। বিশ্বাস রাখতে হবে, দেশ বাঁচলে আমাদের রাজনীতি বাঁচবে এবং সুখী-সমৃদ্ধ কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ে উঠলে দেশের ইতিহাস আমাদের স্মরণে রাখবে।
তিনি আরও বলেন, একটি বৈষম্যমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করতে হলে কুরআন-সুন্নাহর আদর্শের দিকে সবাইকে ফিরে আসতে হবে। খেলাফত ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা যুগে যুগে বৈষম্যের অবসান ঘটিয়েছে। আমাদের এই মুহূর্তে দরকার দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য ঐক্য এবং ইসলামি আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্য।
দলটির মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন ঐকমত্যের ভিত্তিতে হতে হবে। তা না হলে আধিপত্যবাদের দোসরা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠবে। কোনো দলেরই মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্বিমত থাকার অবকাশ নেই।
তিনি আরও বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশন সংবিধানের যে মূলনীতি দিয়েছে সেখান থেকে ‘বহুত্ববাদ’ বাদ দিতে হবে, আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। কুরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন প্রণয়ন করা যাবে না— এ বিষয়ে নিশ্চয়তা থাকতে হবে। আগস্ট বিপ্লবের ঘোষণাপত্রেও সবার ঐকমত্য থাকতে হবে।
এটিআর/