Logo

রাজনীতি

ফেব্রুয়ারিতে অবরোধ ও ‘কঠোর’ হরতাল ডেকেছে আ.লীগ

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:৫০

ফেব্রুয়ারিতে অবরোধ ও ‘কঠোর’ হরতাল ডেকেছে আ.লীগ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ফ্যাসিস্ট হিসেবে মন্তব্য করে সরকারের পদত্যাগ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে ফেব্রুয়ারিতে হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। 

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান সরকার দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূসের নেতৃত্বে দেশকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। আইনের শাসন, মানবাধিকার এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হয়েছে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী সরকার গণতন্ত্র নির্বাসিত করেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করেছে এবং সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে।  

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার পর্যন্ত লিফলেট বা প্রচারপত্র বিলি করবে দলটি।

৬ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার দেশে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ১০ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ।

আর ১৬ ফেব্রুয়ারি রোববার অবরোধ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক ‘কঠোর’ হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জানিয়েছে, যদি এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে কোনো প্রকার বাধা প্রদান করা হয়, তবে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।  

এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনাকে 'প্রধানমন্ত্রী' হিসেবে উল্লেখ করে তার পক্ষ থেকে জনগণকে গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারই আমাদের লক্ষ্য। দেশের জনগণই এ লড়াইয়ে বিজয়ী হবে।”

বিজ্ঞপ্তিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ অন্যান্য মামলা প্রত্যাহার এবং 'প্রহসনমূলক বিচার' বন্ধেরও দাবি জানানো হয়।

এছাড়া, সরকার দুর্নীতি, অর্থপাচার এবং শেয়ারবাজার ও ব্যাংক খাতে কেলেঙ্কারি ঘটিয়ে অর্থনীতি বিপর্যস্ত করেছে বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গার্মেন্টস ও বিভিন্ন শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতিতে খুন, ধর্ষণ, এবং চাঁদাবাজি বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ আজ নিরাপত্তাহীন।  

গত বছরের ৫ই আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের কোথাও দলটির সক্রিয় কোনো কর্মকাণ্ড দেখা যায়নি। গত ১০ই নভেম্বর রাস্তায় নামার ঘোষণা দিয়েও নামতে পারেনি আওয়ামী লীগ। দলটির বেশিরভাগ শীর্ষ নেতাই দেশের বাইরে, পলাতক অথবা কারাগারে রয়েছেন। গণ-আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে যাওয়ার পর থেকে সেখানেই রয়েছেন।

এমন অবস্থার মধ্যেই মঙ্গলবার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের এই হরতাল, অবরোধ, সমাবেশ ও বিক্ষোভের ডাক দিল আওয়ামী লীগ।

ডিআর/এমএইচএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর