Logo

রাজনীতি

৩২ নম্বর ভাঙচুর করায় আ.লীগের বিজয় হয়েছে : রাশেদ খান

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৪২

৩২ নম্বর ভাঙচুর করায় আ.লীগের বিজয় হয়েছে : রাশেদ খান

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ভাঙচুর করায় আওয়ামী লীগের বিজয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্য ফেসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাশেদ খান বলেন, ‘বিশ্বাস করেন, গতকালের (বুধবার) ঘটনায় আওয়ামী লীগের বিজয় হয়েছে। ন্যাঙটা বা পলাতকের হারানোর কী আছে? বরং গতকালের ঘটনার পর আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা বহির্বিশ্বের কাছে দেখাতে পারবে যে, তারা মজলুম, তারা ভুক্তভোগী, তাদের বাড়িঘর তছনছ করা হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে।’

তিনি বলেন, ‘ধানমন্ডি ৩২ বা সারাদেশে ভাঙচুরের ঘটনা অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত ও নিষ্প্রোজনীয়। দেশে একটি সরকার রয়েছে। বিপ্লব বা আন্দোলনের সময় বা ইমিডিয়েট পরপর যদি কোনো ঘটনা ঘটতো, তাহলে ভিন্ন কথা ছিল। কিন্তু সরকার গঠনের ৬ মাস পরেও বিল্ডিং ভাঙচুর সরকার কর্তৃক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ না করতে পারার দুর্বলতা প্রকাশ করে। তারপরও কোনো বিল্ডিং সরকার পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে পারে, নিজেরা সেটি ভাঙতে পারে।’

বিল্ডিংয়ে কোনো আওয়ামী লীগ নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘একদিকে জনগণের সরকার ক্ষমতায়, অন্যদিকে জনগণের হাতে আইনশৃঙ্খলা তুলে দেওয়া কীসের বহিঃপ্রকাশ? দেখেন, এসব বিল্ডিংয়ে কোনো আ.লীগ নাই। আওয়ামী লীগ আছে উপদেষ্টা পরিষদ, সচিবালয়ে, পুলিশে, র‍্যাবে, প্রশাসনসহ সরকারের সব সেক্টরে। কিন্তু সেদিকে কি নজর দেওয়া হয়েছে? উল্টো গত ৬ মাসে সব সেক্টরে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করা হয়েছে।’

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পদক বলেন, ‘আবার কিছু দিকে খেয়াল করুন, মুখে দাঁড়ি বা পাঞ্জাবি না থাকলেও  ভাঙচুরের সময় স্লোগান হয়েছে নারায়ে তকবির, আলাহু আকবার। কিন্তু কোনো ইসলামিক দল কি এর দায়িত্ব নেবে যে, তারা এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত? এ ছাড়া এটিও ঘোষণা এসেছে, সেখানে মসজিদ করা হবে। মন্দির করা হবে সেই ঘোষণা কিন্তু আসেনি! এর মাধ্যমে মূলত প্রমাণ করতে চাওয়া হচ্ছে, দেশে ইসলামিক মৌলবাদ ও জঙ্গীবাদের উত্থান হয়েছে।’

রাশেদ বলেন, ‘সেনাবাহিনীর উপর দিয়ে বুলডোজারে চালিয়ে দেওয়ার কথা, সেনাবাহিনীকে ইত্যাদি প্রশ্ন করা ইত্যাদি কথাগুলো বোঝার চেষ্টা করুন। এগুলো কী কোনো সাধারণ বক্তব্য? দেশে যখন বিশৃঙ্খলা শুরু হয়, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরের সুযোগ থাকে না, তখন দেশের শাসনব্যবস্থার দায় চলে যায় সেনাবাহিনীর হাতে।’

৬ মাসে সরকার কী কী গড়ল জানতে চেয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কী চায়? অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হোক এবং ক্ষমতা সেনাবাহিনীর হাতে যাক। বাংলাদেশের জনগণ এ বিষয়ে সতর্ক ও সবধান না হলে কখনোই রাষ্ট্র গড়তে পারবেন না। উপদেষ্টা মাহফুজ আলম যেমন বলেছেন, বিল্ডিং ভাঙচুর নয়, গড়ার তাকত দরকার। কিন্তু তারা কি আসলেই গড়তে চায়? গত ৬ মাসে কী কী গড়লো সরকার?’

৩২ নম্বরের ভাঙচুরের ঘটনাকে ফাঁদ উল্লেখ করে গণঅধিকারের এই নেতা বলেন, ‘গতকাল থেকে ভাবছিলাম এই ঘটনা নিয়ে চুপ থাকব। কিন্তু আমার বিবেকের কাছে বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছিলাম। আমি জানি, মানুষকে বোঝানো মুশকিল। তারপরও দিক না গালি, ২-৫ বছর পরেই না হয় বুঝল যে, কাজটা একটা ফাঁদ ছিল...!’

ডিআর/এমজে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর