জনগণের প্রতি মামুনুল হকের বিশেষ আহ্বান
![Icon](https://www.bangladesherkhabor.net/uploads/settings/ezgif-7-c58f72a6c2icon-2-1730277221.png)
বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১১
![জনগণের প্রতি মামুনুল হকের বিশেষ আহ্বান](https://www.bangladesherkhabor.net/uploads/news_photos/2025/02/07/Bangladesher-Khabor-ATR---2025-02-07T121258-67a5a4254a307.jpg)
জুলাই আন্দোলনে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। এ পরিস্থিতে দেশের জনগণের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতনেতা ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ আহ্বান জানান তিনি।
মামুনুল হক লিখেন, ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন, অভ্যুত্থান ও পরবর্তী সংগ্রামে বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনতার অভূতপূর্ব অংশগ্রহণ এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে । ফ্যাসিবাদের প্রতিটি স্মৃতিচিহ্ন ও প্রতীকের ব্বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক তরুণ প্রজন্মের মহাজাগরণ এক অবিস্মরণীয় বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটিয়েছে ।’
‘আগামীতে ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশ প্রেমিক জনতার কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ দেখার প্রতীক্ষায় আছি আমরা সবাই।অপর দিকে বসে নেই দেশবিরোধী অপশক্তি, তার দোসর ও পরিকল্পনাকারীরা। জনতার জাগরণের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে যে কোনো মুহূর্তে ।’
খেলাফত আমির লিখেন, ‘ইতোমধ্যে চিন্তাশীল মানুষের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে । আশঙ্কা হচ্ছে-চলমান আন্দোলনকে সহিংসতার রূপ দিয়ে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ পরিচালনা করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে ভয়ংকর চাপের মুখে পড়বে বাংলাদেশ।’
‘রক্তখেকো হাসিনা সরকারের রক্তচোষা বুলেটের সামনে বুক চিতিয়ে আত্মদানকারী আবু সাঈদ-মুগ্ধদের রক্তস্নাত বিপ্লব পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ সফল অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে, সেখানে পরাজিত অপশক্তির রক্ত ঝরেছে খুব মামুলি । আর এতেই বাংলাদেশের মানুষের ধৈর্য ও সহনশীলতার প্রমাণ পেয়েছে পৃথিবী । এতে হয়তো হতাশ হয়েছে দেশবিরোধী অপশক্তি । তবে হতাশ হলেও হাল ছাড়েনি তারা । আর তাই তীব্রভাবে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, চলমান আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে একটি সহিংস পরিবেশ তৈরি করা হবে । এজন্য এখন সর্বাগ্রে প্রয়োজন সচেতনতা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।’
তিনি লিখেন, আমি দেশের আলেম-ওলামা, ইসলামপ্রিয় জনতাসহ সকল দেশপ্রেমিক নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানাই, কোনো অবস্থাতেই যেন সহিংসতা না ঘটে । মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়। পরিণামে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিপ্লব। ক্ষতিগ্রস্ত হবে আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে উঠবার সম্ভাবনা। ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ।’
খেলাফত মজলিস চলমান আন্দোলনের পক্ষে নয় জানিয়ে তিনি আরও লিখেন,‘আজ পবিত্র জুমাকে কেন্দ্র করেও অতিরিক্ত বিক্ষোভ কিংবা শোডাউনের কর্মসূচি কোন দায়িত্বশীল মহলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়নি। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কিংবা বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস অথবা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ অথবা অন্য কোনো দায়িত্বশীল মহল চলমান সহিংস আন্দোলনের পক্ষে নয়।’
‘এহেন পরিস্থিতিতে দেশের সকল বিক্ষুব্ধ জনতা ও দেশপ্রেমিক জনগণকে যেকোনো মূল্যে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার আহ্বান জানাচ্ছি। দেশের জনগণের জান-মালের নিরাপত্তাবিধান ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করা সকল দেশপ্রেমিক জনগণের ঐতিহাসিক দায়িত্ব। আল্লাহ আমাদের দেশ ও জাতির সার্বিক মঙ্গল করুন। আমীন।’
ডিআর/এটিআর