অরাজক পরিস্থিতির জন্য হাসিনার উসকানিই দায়ী : ইসলামী ঐক্যজোট

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৬:১৫
-67a8805dd03c9.jpg)
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসলামী ঐক্যজোটের নেতারা। তারাবলেছেন, দেশে চলমান অরাজক পরিস্থিতির জন্য পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার উসকানিই দায়ী। তিনি প্রতিবেশী দেশে বসে দীর্ঘ ১৭ বছরে আলেম-উলামা ও বিরোধী দলমতের ওপর জুলুম, নির্যাতনের জন্য অনুশোচনা না করে দাম্ভিকতা প্রদর্শন এবং জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে হাজারো শহীদের আত্মত্যাগ ও রক্তক্ষয়ী ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান নিয়ে অশালীন এবং আপত্তিকর বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করেছেন। এতে দেশের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ এবং ক্রোধের জন্ম হয়েছে। ফলশ্রুতিতে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এর দায়ভার শেখ হাসিনাকেই নিতে হবে।
রোববার (৮ ফেব্রুয়ারি) জোহরের নামাজের পর রাজধানীর লালবাগস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ইসলামী ঐক্যজোটের মজলিশে শূরার সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, বর্তমান অর্ন্তবতীকালীন সরকার গত ৬ মাসেও পলাতক স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরদেরকে আইনের আওতায় আনতে পারেনি। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের খুনী ও তাদের দোসররা এখনো বুক ফুলিয়ে ঘুরছে। তারা দেশ, সরকার ও জনগণের বিরুদ্ধে বহুমুখী ষড়যন্ত্র করছে। অথচ জুলাই ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খা অনুযায়ী জনগণের প্রত্যাশা ছিল গণহত্যাকারীদের বিচারের কাজ তরান্বিত হবে, দেশে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু বিচার কাজে কচ্ছপ গতি, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার ফলে অপরাধীরা দেশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। দূর থেকে ভার্চুয়াল দিকনির্দেশনা দিয়ে তারা দেশে অস্থিরতা তৈরির চক্রান্ত করছে। এহেন পরিস্থিতিতে সরকারকে জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে বিচক্ষণতা ও বুদ্ধিমত্তার সাথে গণহত্যার বিচার ও সংস্কার কাজে গতি বৃদ্ধি করতে হবে।
নেতৃবন্দ আরও বলেন, অর্ন্তবর্তী সরকারের আমলে দীর্ঘ ১৭ বছরে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঈমানি আন্দোলনে আলেম-উলামাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাগুলোর কোনো সুরাহা না হওয়া দুঃখজনক। ফ্যাসিবাদের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় উলামায়ে কেরাম এখনো প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করতে হবে।
তারা আরও বলেন, দেশে ফ্যাসিবাদ আবারো তাদের শক্তি প্রদর্শন শুরু করেছে। গত শুক্রবার তারা গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। আমরা এই ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র্র নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে এই ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের সর্বোচ্চ বিচারের আওতায় আনতে হবে। দেশে যেন আর কখনো ফ্যাসিবাদ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত না হতে পারে সেই পথ চিরতরে বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়াও সভায় ঢাকা মহানগরে ইসলামী ঐক্যজোটের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে দ্রুততম সময়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কমিটি করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান শায়খুল হাদিস মাওলানা আব্দুল কাদের। বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা যোবায়ের আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা জসিম উদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা ফজলুর রহমান, মুফতী শামসুল আলম, মাওলানা ফারুক আহমদ, মুফতী মীর হেদায়েতুলাহ গাজী, মাওলানা মঞ্জুর মুজিব, মাওলানা শিবলী খান, মাওলানা তাসলীম আহমদ, মাওলানা ইউসুফ ভূঁইয়া, মাওলানা নাসির উদ্দীন, মাওলানা সাইফুল্লাহ হাবিবী, মাওলানা কাজী আজিজুল হক, মাওলানা তলহা, মাওলানা আব্দুল্লাহ ফরহাদ, মাওলানা আনসারুল হক ইমরান, মাওলানা মিজানুর রহমান, মাওলানা ইরফানসহ আরো অনেকে।
আনসারুল হক ইমরান/বিএইচ