কাজী আরেফ আহমেদসহ ৫ জাসদ নেতা হত্যাদিবস পালিত

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:০৪

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দলীয় কর্মসূচির মাধ্যমে কাজী আরেফ আহমেদসহ পাঁচ নেতার ২৬তম হত্যাদিবস পালন করেছে। ১৯৯৯ সালের এই দিনে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের কালিদাসপুরে এক জনসভায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে কাজী আরেফ আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন, অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী, ইসরাইল হোসেন তপস ও শমসের মণ্ডল নিহত হন।
হত্যাদিবস উপলক্ষে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯টায় মিরপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে কাজী আরেফ আহমেদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কর্নেল তাহের মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন মোল্লা। সভা সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শরিফুল কবির স্বপন। এতে বক্তব্য রাখেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শওকত রায়হান, মোহাম্মদ মোহসীন, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, মীর্জা মো. আনোয়ারুল হক, ছাত্রলীগ (বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র) কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আহমেদ এবং জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নিজাম উদ্দিন।
বক্তারা বলেন, কাজী আরেফ আহমেদ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ১৯৬২ সালে স্বাধীনতার নিউক্লিয়াসের সদস্য হিসেবে তিনি পাকিস্তান ভেঙে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তিনি বিপ্লবী জাতীয় সরকার গঠনের মাধ্যমে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের প্রস্তাব দেন। জাসদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবী গণআন্দোলন গড়ে তোলেন। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ধারা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন, যা জিয়াউর রহমানের বিশ্বাসঘাতকতায় ব্যর্থ হয়।
বক্তারা আরও বলেন, কাজী আরেফ আহমেদ ১৯৯২ সালে শহীদ জাহানারা ইমামের সঙ্গে ঐতিহাসিক গণআদালত গঠন করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তার রাজনৈতিক দর্শন এবং সংগ্রামের অভিজ্ঞতা তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।
সভায় বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে এবং জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করতে হবে।
এইচকে/এমএইচএস