
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আজকে স্বৈরাচারকে বিদায় করেও জেলায় জেলায় সমাবেশ করতে হচ্ছে দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা ও জাতীয় নির্বাচনের জন্য। বাংলার জনগণ ভোট দিতে চায়, সংস্কারের গবেষণা নিয়ে ৬ মাস বা ৬ বছর সময় চায় না। দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার এই সরকার সংরক্ষণ করতে পারেনি।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা বিএনপির আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.আব্দুল মঈন খান।
তিনি বলেন, বিএনপি বছরের পর বছর ধরে আন্দোলন করেছে। জুলুম নির্যাতন সহ্য করেছি। সারাদেশের ৫০ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা করা হয়েছিল।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম বলেছেন, সংস্কার চাই, সংস্কারের জন্য ৩১ দফা ঘোষণা করেছে বিএনপি। বিএনপি সংস্কার বিরোধী নয়। সংস্কার করতে হলে নির্বাচিত সরকার দরকার। কেউ কেউ বলে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করেনি। স্থানীয় নির্বাচন হলে ফ্যাসিবাদের দোসরা ম্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়ে আবার জায়গা তৈরি করবে।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় নির্বাচন ও নির্বাচিত সরকার ছাড়া দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। জনগণের দাবি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা।
সমাবেশে বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, এজন্য ষড়যন্ত্র হয়। অনেক উপদেষ্টা উল্টা পাল্টা কথা বলেন। আওয়ামী লীগের মতো কথা বলে নির্বাচন নিয়ে। জনগণের দাবি অতিদ্রুত সংসদ নির্বাচনের। জাতিসংঘের রিপোর্ট জাতীয় পাঠ্য বইয়ে প্রকাশ করতে হবে। অনেকেই ফ্যাসিবাদকে তলে তলে সমর্থন দিচ্ছে। খুনের দোসররা এখনও ঘুরাফেরা করে।
জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবালের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএনপির সাংগঠনিক সস্পাদক (ঢাকা বিভাগ) কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, সহ সাংগঠনিক সস্পাদক (ঢাকা বিভাগ) বেনজির আহম্মেদ টিটো, সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাঈদ সোহরাব, জাতীয় নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট এসএম ওবায়দুল হক নাসির প্রমুখ।
- রেজাউল করিম/ওএফ