-67c4709e2cdf2.jpg)
রমজানের রোজা ফরজ। হিজরতের দেড় বছর পর স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা রোজা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তোমারদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল। যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩)
রোজা রাখার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে। বিপুল সওয়াব ও অনুকম্পায় ঋদ্ধ করে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখবে আল্লাহ তায়ালা তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯০১)
রোজার নিয়ত কী ও কীভাবে
রোজা পালনে সেহরি ও ইফতার গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি রোজার নিয়তও জরুরি। তবে এই ক্ষেত্রে রোজা রাখার উদ্দেশ্যে ঘুম থেকে ওঠা ও সেহরি খাওয়াটাই রোজার নিয়তের অন্তর্ভুক্ত। বস্তুত মনের ইচ্ছাই হলো- নিয়ত। নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা জরুরি নয়। তাই কেউ মুখে নিয়ত না করলেও তার রোজাগুলো আদায় হয়ে যাবে। (সূত্র : আল-বাহরুর রায়েক : ২/৪৫২; আল-জাওহারুতুন নাইয়্যিরাহ : ১/১৭৬; রাদ্দুল মুহতার : ৩/৩৩৯, ৩৪১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/১৯৫)
তবে মুসলিম সমাজে রোজার নিয়ত বলে একটি দোয়া প্রচলিত আছে। দোয়াটি হলো—‘নাওয়াইতু আন আসুমা গদাম মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাকি ফরজাল লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বব্বাল মিন্নি ইন্নাকা আনতাস সামিউল আলিম।’ অর্থ : হে আল্লাহ, আপনার সন্তুষ্টির জন্য আগামীকালের রমজানের ফরজ রোজা রাখার নিয়ত করছি। আমার তরফ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাত।
বিএইচ/