-67c56b23a7826.jpg)
পবিত্র রমজানে ইফতারে কিছু আধা-পাকা অথবা পূর্ণ পাকা (শুকনা) খেজুর দিয়ে এবং তা না পাওয়া গেলে পানি দিয়ে ইফতার করা সুন্নত। এ প্রসঙ্গে হজরত আনাস (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) নামাজের পূর্বে কিছু আধা-পাকা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। তা না পেলে পূর্ণ পাকা (শুকনা) খেজুর দিয়ে এবং তাও না পেলে কয়েক ঢোক পানি খেয়ে নিতেন।’ (মুসনাদে আহমাদ, ৩/১৬৪, আবু দাঊদ ২৩৫৬ ও তিরমিজি ৬৯৬)
হজরত আনাস (রা.) আরও বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি খেজুর পায়, সে যেন তা দিয়ে ইফতার করে। যে ব্যক্তি তা না পায়, সে যেন পানি দিয়ে ইফতার করে। কারণ, তা হলো পবিত্র।’ (সহিহুল জামেউস সাগীর : ৬৫৮৩)
বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও ফকিহ আল্লামা ইবনুল কাইয়ুম (রহ.) বলেন, ‘নবী (সা.) খেজুর দ্বারা ইফতার করতে এবং তা না পাওয়া গেলে পানি দ্বারা ইফতার করতে উৎসাহিত করতেন। আর এটি হলো উম্মতের প্রতি তাঁর পরিপূর্ণ দয়া ও হিতাকাঙ্খার নিদর্শন।’
কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ‘পেট খালি থাকা অবস্থায় প্রকৃতিকে (পাকস্থলী) মিষ্টি জিনিস দিলে তা অধিকরূপে গ্রহণ করে এবং এর মাধ্যমে বিভিন্ন শক্তিও উপকৃত হয়; বিশেষ করে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পায়।’ (যাদুল মা‘আদ ২/৫০-৫১)
ইফতারে অপচয় নয়
রমজান ইবাদতের মৌসুম; রসনা বিলাসের নয়। এজন্য সেহরি-ইফতারেও পরিমিত ও সাধ্যমতো উন্নত খাবারের আয়োজন করা যেতে পারে। তবে ইদানিং আমাদের দেশে অনেকে খুব আড়ম্বরপূর্ণভাবে ইফতারের আয়োজন করেন এবং দেখা যায়- সেখানে খাবারের প্রচুর অপচয় হয়। এটা কোনোভাবেই উচিৎ নয়। ইফতারেও খাবার অপচয় করা নিঃসন্দেহে হারাম।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা খাও এবং পান করো। আর অপচয় করো না। নিশ্চয় তিনি অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না। (সুরা আরাফ, আয়াত : ৩১) পবিত্র কোরনের অন্যত্র তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা কিছুতেই অপব্যয় করো না। কারণ, অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই।’ (সুরা ইসরা, আয়াত : ২৭) অপচয় না করা মানে এই নয় যে, আমরা কৃপণদের পথ অবলম্বন করব; বরং আমাদের উচিৎ এ ব্যাপারে মধ্যবর্তী পন্থা অবলম্বন করা।
বিএইচ/