-67c961a2694a5.jpg)
যে কোনোভাবেই গোসল ফরজ হোক, বিনা কারণে তাতে বিলম্ব করা অনুচিত। তবে পবিত্র রমজানে গোসল ফরজ অবস্থায় সেহরি খেতে বাধা নেই। কারণ, সেহরি খাওয়া এবং রোজা শুরু করার জন্য শারীরিক পবিত্রতা জরুরি নয়। (বুখারি : ১/২৫৮ ও আদ্দুররুল মুখতার : ২/৪০০)
তবে এ অবস্থায় অবশ্যই নামাজ, তাওয়াফ, কোরআন তিলাওয়াত ও তা স্পর্শ করা এবং মসজিদে যাওয়া নিষিদ্ধ। যদি এমন হয় যে, সেহরির সময় গোসল ফরজ হলো, অথচ সময় এত অল্প যে, গোসল করতে গেলে খাওয়া যাবে না- সেক্ষেত্রে কুলি করে এবং উভয় হাত ভালো করে ধুয়ে পানাহার করা উত্তম।
হাদিসে এসেছে, উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালামা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘সহবাসের ফলে মাঝে-মধ্যে নাপাকি অবস্থায় রাসুল (সা.) সুবহে সাদিক অতিক্রম করতেন, অতঃপর গোসল করে রোজা রাখতেন।’ (বুখারি : ১৯২৬)
একই সঙ্গে হজরত আয়েশা (রা.) বলতেন, ‘তোমাদের কেউ স্ত্রী সহবাস করলে, অতঃপর গোসলের পূর্বে ঘুমানোর ইচ্ছা করলে সে নামাজের ওজুর মতো অজু না করে ঘুমাবে না।’ (মুয়াত্তা মালিক : ৭৭)
আর সেহরির আগে গোসল করা সম্ভব না হলেও অবশ্যই ফজর নামাজের আগেই গোসল করে নিতে হবে এবং নামাজ আদায় করতে হবে। কারণ, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও বিনা ওজরে অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া মারাত্মক গুনাহ। (বাদায়ে ১/১৫১)
নওফেল বিন মুআবিয়া (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যার নামাজ ছুটে গেল, যেন তার পরিবার ও সম্পদ সবই ধ্বংস হয়ে গেল।’ (মুসনাদে আহমাদ : ২৩৬৪২)
- বাংলাদেশের খবরের ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠান এই মেইলে- bkislamic247@gmail.com
বিএইচ/