-67c98a3649393.jpg)
যদি রোজা রাখার কারণে গর্ভবতী নারী নিজের বা তার গর্ভস্থ সন্তানের প্রাণহানি কিংবা মারাত্মক স্বাস্থ্যহানি প্রবল আশংকা করেন, তাহলে তার জন্য রোজা না রাখা বা ভাঙা উভয়টিরই স্বাধীনতা রয়েছে।
তবে পরে স্বাভাবিক ও সুস্থ অবস্থায় ফিরে গেলে অবশ্যই ওই রোজা কাযা আদায় করে নিতে হবে। কিন্তু যদি উপরোক্ত আশংকা না থাকে এবং গর্ভবতী নারী স্বাভাবিকভাবেই রোজা রাখতে সক্ষম হন, তাহলে তিনি রোজা রাখবেন।
একই সঙ্গে দুগ্ধদানকারিনী যদি আশংকা করেন যে, রোজা রাখলে তার কোলের সন্তান দুধ না পেয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারে কিংবা বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে, তাহলে তিনিও আপাতত রোজা ভাঙতে পারবেন। তার জন্যও পরে স্বাভাবিক সময়ে ছুটে যাওয়া রোজাগুলো কাজা করে নেওয়া আবশ্যক।
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তায়ালা মুসাফিরের জন্য রোজার হুকুম শিথিল করেছেন এবং নামাজ কমিয়ে দিয়েছেন। আর গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারিনীর জন্যও রোজার হুকুম শিথিল করেছেন।’ (জামে তিরমিজি : ১/১৫২)
বিএইচ/