পবিত্র কোরআনের ১১৪টি সুরাকে ৩০ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। পরিভাষায় যেগুলোকে পারা বলা হয়। মাহে রমজানে বাংলাদেশের খবরের পাঠক-শ্রোতাদের দিনে এক পারা করে তিলাওয়াত উপহার দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ। তিলাওয়াত করেছেন রাজধানী ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত মাদরাসাতুল মারওয়াহর প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম হাফেজ মাওলানা কারী মাঈনুদ্দীন ওয়াদুদ।
সোমবার (৯ রমজান, ১০ মার্চ) রইল নবম পারার তিলাওয়াত। আজকের তিলাওয়াতে রয়েছে সুরা আরাফের ৮৮ নম্বর আয়াত থেকে শেষ পর্যন্ত এবং সুরা আনফালের প্রথম ৪০ আয়াত।
সুরা আনফালের সারমর্ম
আনফাল পবিত্র কোরআনের অষ্টম সুরা, যা মদিনায় অবতীর্ণ। সুরা আনফালে যুদ্ধ ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদের বিধান বর্ণনা করা হয়েছে।আনফাল অর্থ যুদ্ধলব্ধ সম্পদ। এটি ‘নাফলুন’ শব্দমূল থেকে গৃহীত। অর্থ অতিরিক্ত। যুদ্ধলব্ধ সম্পদ মুমিনের অতিরিক্ত প্রাপ্তি হওয়ায় তাকে আনফাল বলা হয়। কেননা তাদের মূল প্রাপ্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি।
এই সুরায় বিশেষত গনিমতের বিষয়টি নিয়ে আলোচিত হয়েছে। যুদ্ধের গনিমত আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বলা হয়েছে। কেননা তা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সম্মানে তাঁর উম্মতের জন্য বৈধ করেছেন।
গনিমতের পূর্ববর্তীদের গনিমত বৈধ ছিল না। যুদ্ধলব্ধ সম্পদের পাঁচ ভাগের চার ভাগ যোদ্ধারা পাবে। পদাতিক এক ভাগ এবং অশ্বারোহী দুই ভাগ লাভ করবে। (তাফসিরে শারভি, পৃষ্ঠা ১১৪৯)
যুদ্ধলব্ধ সম্পদের এক-পঞ্চমাংশ আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের জন্য নির্ধারিত। বর্তমানে তা রাষ্ট্রীয় কোষাগার তথা বায়তুল মালে যুক্ত হবে।
কোনো যোদ্ধা বিশেষ কৃতিত্ব দেখালে এবং রাষ্ট্র তাকে পুরস্কৃত করতে চাইলে যোদ্ধাদের অংশ থেকে না দিয়ে রাষ্ট্রের অংশ থেকে দেবে। (তাফসিরে কুরতুবি : ৭/৩৬০)
বিএইচ/