Logo

ধর্ম

পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত। পারা-১২

Icon

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৫, ১৬:২৪

পবিত্র কোরআনের ১১৪টি সুরাকে ৩০ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। পরিভাষায় যেগুলোকে পারা বলা হয়। মাহে রমজানে বাংলাদেশের খবরের পাঠক-শ্রোতাদের দিনে এক পারা করে তিলাওয়াত উপহার দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ। তিলাওয়াত করেছেন রাজধানী ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত মাদরাসাতুল মারওয়াহর প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম হাফেজ মাওলানা কারী মাঈনুদ্দীন ওয়াদুদ। 

বৃহস্পতিবার (১২ রমজান, ১৩ মার্চ) রইল ১২তম পারার তিলাওয়াত। আজকের তিলাওয়াতে রয়েছে সুরা হুদ ও সুরা ইউসুফের প্রথম ৫২ আয়াত। 


সুরা হুদের সারমর্ম
সুরা হুদ পবিত্র কোরআনের ১১ নম্বর সুরা। সুরা হুদের সব আয়াতই পবিত্র মক্কায় নাজিল হয়েছিল। বিশ্বনবী (সা.)-এর চাচা আবু তালিব ও হজরত খাদিজা (রা.)-এর ইন্তেকালের পর এই সুরা নাজিল হয়।

মক্কায় মহানবী (সা.)-এর অবস্থানের শেষের বছরগুলোতে যখন এই সুরা নাজিল হচ্ছিল তখন মুসলমানদের ওপর শত্রুদের চাপ চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। সুরা হুদে রয়েছে ১২৩ আয়াত ও ১০টি রুকু।

এই সুরার বেশির ভাগ অংশেই এসেছে ইসলামের নানা মূলনীতি। হজরত নুহ (আ.)-এর ঘটনাসহ অনেক নবী-রাসুলের জীবনচরিত এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। সুরা হুদে আলোচিত কয়েকটি বিষয় হলো—আল্লাহ তায়ালাই জীবিকাদাতা, আকাশ ও পৃথিবীর ছয় দিনে সৃষ্টি হওয়া, মানুষের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য, কোরআনের অলৌকিকতার প্রমাণ, হজরত নুহ (আ.)-এর ঘটনা, অবাধ্যতার কারণে নুহ (আ.)-এর সন্তানের বংশচ্যুত হওয়া, হুদ (আ.)-এর জাতির ঘটনা, তাওবা ও ইস্তিগফারের উপকারিতা, হজরত সালেহ (আ.)-এর ঘটনা, হজরত ইসহাক (আ.)-এর জন্মগ্রহণ, হজরত লুত (আ.)-এর ঘটনা, হজরত শোয়াইব (আ.)-এর ঘটনা, হজরত মুসা (আ.)-এর ঘটনা, ইমানদারদের প্রতি ধর্মে অবিচল থাকার নির্দেশ-উপদেশ, মৃত্যু-পরবর্তী জীবন, কেয়ামতের দিন মানুষের শ্রেণিবিভাগ, জালিমকে সাহায্য করাও জুলুম, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিবরণ ইত্যাদি।

এই সুরার নাম হুদ রাখা হয়েছে, কেননা এই সুরার ৫০ থেকে ৬০ নম্বর আয়াতে হজরত হুদ (আ.)-এর জীবনের বিভিন্ন ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে।

মহানবী (সা.)-এর দৃষ্টিতে সুরা হুদ বিশেষ তাত্পর্যমণ্ডিত সুরা। কারণ এই সুরায় অতীতের বিভিন্ন জাতির আল্লাহর আজাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই সুরায় কেয়ামতের বিভীষিকা তুলে ধরা হয়েছে। কেয়ামতের ভয়াবহ ঘটনাবলি, পুরস্কার ও শাস্তির বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। হজরত আবু বকর (রা.) একদিন মহানবী (সা.)-এর কয়েকটি দাড়ি সাদা হতে দেখে বিচলিত হয়ে যান। তিনি জিজ্ঞেস করেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনি বার্ধক্যে উপনীত হয়েছেন!’ মহানবী (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ, সুরা হুদ আমাকে বৃদ্ধ করে দিয়েছে।’ (তিরমিজি শরিফ)

অর্থাৎ সুরা হুদে বর্ণিত বিষয়গুলো অত্যন্ত ভয়াবহ ও ভীতিপ্রদ হওয়ায় এ সুরা অবতীর্ণ হওয়ার পর মহানবী (সা.)-এর পবিত্র চেহারায় বার্ধক্যের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। অন্য বর্ণনায় এসেছে, সুরা হুদের এই আয়াত মহানবী (সা.)-কে বৃদ্ধ করে দিয়েছে, ‘তুমি যেভাবে আদিষ্ট হয়েছ, তাতে স্থির থাকো।’ (সুরা : হুদ, আয়াত : ১১২)

ডিআর/বিএইচ

পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত

আরও পড়ুন
Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর