Logo
Logo

ধর্ম

সাহাবিরাও কি শুঁটকি খেতেন?

Icon

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪২

সাহাবিরাও কি শুঁটকি খেতেন?

শুঁটকি বাঙালির অন্যতম প্রিয় খাদ্য। দুপুরে কিংবা রাতে, একটুখানি শুঁটকির ঘ্রাণ পেলেই জিভে জল চলে আসে। শুঁটকি মূলত এক প্রকার প্রক্রিয়াজাত মাছ, যা শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। এটির প্রধান বিশেষত্ব হলো এর স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ দীর্ঘ মেয়াদে সংরক্ষণযোগ্য।

শুঁটকি খাওয়া হালাল নাকি হারাম—সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তাই অনেকের মনেই এখন কৌতূহল জাগে, সাহাবিরাও কি আমাদের মতো শুঁটকি খেতেন? আবার অনেকেই ভাবেন, শুঁটকি খাওয়া আদৌ জায়েজ আছে কি না। চলুন তবে জেনে নিই মৎস্য শুঁটকি নিয়ে ইসলাম কী বলে—

ইসলামি শরিয়তে মাছকে হালাল প্রাণী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘তিনিই সমুদ্রকে (তোমাদের) অধীন করেছেন, যাতে তোমরা তা থেকে তাজা গোশত আহার করতে পারো (সুরা নাহল)।’ তাফসিরবিদরা বলছেন, এ আয়াতে ‘তাজা মাছ’ বোঝাতে ‘তাজা গোশত’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ইঙ্গিত করা হয়েছে, অন্যান্য হালাল জীবের মতো মাছকে জবাই করা জরুরি নয়। এ যেন আপনাআপনি তৈরি ‘গোশত’। এ ছাড়া হাদিসে মৃত মাছ খাওয়া বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তাই উলামায়ে কেরাম বলেন, মাছ যেহেতু মৃত অবস্থায়ও হালাল, তবে তার শুঁটকিও হালাল।

অন্য এক হাদিসে এসেছে, ‘হজরত আবু উবাইদাহ ইবনে জাররাহ (রা.)-এর নেতৃত্বে উপকূলবর্তী অঞ্চলে একদল সাহাবি প্রেরিত হন। সেখানে তাদের খাদ্য শেষ হয়ে যাওয়ার পর নদীতীরে একটি বিশাল আকৃতির মাছ দেখতে পান তারা। মাছটি দেখতে উঁচু টিলার মতো ছিল। এটির পাঁজরের দুই হাড়ের মধ্য দিয়ে সওয়ারিসহ একটি উট অবলীলায় চলে গিয়েছিল। ৩০০ জন সাহাবি একাধারে ১৮ দিন পর্যন্ত সেই মাছটি আহার করেন এবং কিছু অংশ মদিনায় নিয়ে এসে রাসুলকে (সা.) হাদিয়া দেন। রাসুল (সা.) তা আহার করেন। মাছটির নাম ছিল আম্বর (মা’রেফুল কুরআন)।’

তবে অধিকাংশ মুহাদ্দিসিনের দাবি, শুঁটকি খাওয়া হালাল হলেও উল্লিখিত হাদিস দ্বারা শুঁটকির বৈধতা কিংবা সাহাবায়ে কেরাম শুঁটকি খেয়েছেন—এমনটা প্রমাণিত হয় না।

এটিআর/

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর