নবিজি (সা.)-এর শানে ‘কাউবয়’ শব্দ ব্যবহার করে ফের সমালোচনার শিকার দেশের জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বক্তব্যের একটি ভিডিও ভাইরাল হলে বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি মাহফিলে নবিজি (সা.)-এর শৈশবের রাখাল জীবনের বর্ণনা দিতে তিনি ‘কাউবয়’ (রাখাল) শব্দটি ব্যবহার করেন।
এদিকে বক্তব্যটি নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এটিকে হালকা ভুল বলে উল্লেখ করলেও অনেকেই বলেছেন, নবিজির (সা.) শানে এ ধরনের শব্দ ব্যবহার সম্পূর্ণ অশালীন এবং অনুপযুক্ত।
আবু তালহা তোফায়েল নামের একজন লিখেছেন, ‘জামাত চেষ্টা করছে সাঈদীর গ্যাপ ফিলাপ করতে ৷ কিন্তু তিনি (আজহারী) সিক্সপ্যাক থেকে কাউবয়— মন যা চাচ্ছে, তাই বকে যাচ্ছেন। জাতি সাবধান থাকুন।’
হাসিব আর রহমান নামের একজন লিখেছেন, ‘আজহারী সাহেবকে দেখতে পার্সিয়ান বিলাইর মত দেখা যায় কারণে তাকে যদি কেউ 'মিয়াউবয়' বলে, তখন যারা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কাউবয় বলার কারণে কিছু বলে নাই তারাও কমেন্টে চ্যাইতা যাইব। দলীয়ভাবেই চ্যাইতা যাইব।’
আরজু আহমেদ নামের একজন লিখেছেন, ‘জনপ্রিয়তা শুদ্ধতার দলিল না। ফলে মিজানুর রহমান আজহারী যখন রাসুল (সা.) প্রসঙ্গে বলেন তিনি ‘কাউবয়’, খাদিজাতুল কুবরার ‘কর্মচারী’ ছিলেন— এইসব কথা তিনি ভুলই বলেছেন। কিন্তু তার ভুলের বাড়তি সমস্যা হলো, এ ভুল ব্যাপক বিস্তৃতি পায়। আর মানুষ সেটাকে ভুল বলে মানতে চায় না।’
‘ইসলামের ইতিহাসে পেশাদার বক্তাদের ‘কাসসাস’ (Story Teller) বলা হত। ইবনুল জাওযির মতে, এরাই ইলমে হাদিসের সবচেয়ে বড়ো ক্ষতি করেছে। ইবনে উমার (রা.) মসজিদ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বলতেন, এই বক্তাদের জন্যই আমি মসজিদ থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হই, এদের ছাড়া আর কিছুই আমাকে মসজিদ থেকে দূরে রাখতে পারত না।’
শব্দচয়নে আজহারীকে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সাইদ আল হাসান শিমুল নামের এক গণমাধ্যমকর্মী লিখেছেন,‘এটা ঠিক যে, কাউবয় বলতে ওয়েস্টার্ন দুর্ধর্ষ অস্ত্রবাজ অশ্বারোহী ভেসে ওঠে কল্পনায়। যারা কথায় কথায় খুনখারাপি করতো। তাই শব্দচয়নে মিজানুর রহমান আজহারীকে আরও সতর্ক হতে হবে। শাব্দিক অর্থেই সব হয় না।’
এটিআর/