Logo

ধর্ম

আলেমদের অনুষ্ঠান

নারী সাংবাদিক ঢুকতে না দেওয়াকে ইস্যু বানানো মতলববাজি

Icon

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:৪৮

নারী সাংবাদিক ঢুকতে না দেওয়াকে ইস্যু বানানো মতলববাজি

সম্প্রতি রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আলেম উদ্যোক্তাদের সর্ববৃহৎ প্লাটফর্ম ‘কওমি উদ্যোক্তা’র বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে এক নারী সাংবাদিককে প্রবেশ করতে না দেওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বেশ আলোচনা-সমালোচনা। এবার এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন দেশের বরেণ্য আলেম ও সাংবাদিক মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ। 

রোববার (২ ফ্রেব্রুয়ারি) নিজের ফেসবুকে তিনি এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি বলেন, ইসলামি অনুষ্ঠানে কিংবা প্রতিষ্ঠানে নারী সাংবাদিক (বেপর্দা) প্রবেশের বিষয়টা আসলে কী? এটা কি বাংলাদেশের মতো দেশে ওই সাংবাদিক একেবারেই বোঝেন না, নাকি তার প্রতিষ্ঠানের পর্দা বিষয়ে কোনো ধারণাই নেই? নাকি ইচ্ছাকৃতভাবেই একটা শয়তানি ইস্যু খাঁড়া করানোর জন্য বেপর্দা নারী সাংবাদিক পাঠানো হয়?

মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ আরও লেখেন, দেখুন, ২০১৩-তে হেফাজতের মিটিং-মিছিলের সময়েও এরকম কয়েকটি ইস্যু গরম করে তোলা হয়েছিল। এরা জেনে-বুঝেই এগুলো করেন। আজকে যদি ঢাকার বড় কোনো কওমি মাদ্রাসায় কিংবা বেফাক অফিসে কিংবা আজহারীর মাহফিলে স্টেজের কাছে গিয়ে কোনো বেপর্দা নারী সাংবাদিক হাজির হতে চায় নিউজ কভার করার জন্য, তখন কী করা হবে? তাকে সুযোগ দেওয়া হবে? ...বিভিন্ন মহল বলয় অঙ্গনের কিছু রীতি ও সংরক্ষণ এবং বিধান গুরুত্বপূর্ণ থাকে; চর্চার মধ্য দিয়ে এগুলো বেশ প্রসিদ্ধও। অমুসলিম প্রধান দেশেও এসব বিষয়ে কোনো ঝামেলা হয় না। তাহলে এখানে কেন হয়? আর এমন ইস্যু খাঁড়া করলেই আমরা নিজেদের কেন গুটিয়ে নেই? মূল কথাটা নগদে এবং ভবিষ্যতের জন্য স্পষ্ট করে কেন বলে দেই না?

তিনি বলেন, গত ১০-১২ বছরে ফ্যাসিবাদী মন্ত্রী-মিনিস্টার, এমপি, নেতাকর্মীদের দ্বারা বহু নারী সাংবাদিক নাজেহাল হয়েছেন, আহত হয়েছেন, অপমানিত হয়েছেন। সাধারণ নিউজ (দুর্ঘটনার মতো) হয়েছে, কিন্তু ‘নারী সাংবাদিকের প্রতি নিপীড়ন ও নাজেহাল’ ইস্যু দাঁড় করানো হয়নি। অন্য নারী সাংবাদিক, নারীবাদী সমাজ, চেতনাবাদী বুদ্ধিজীবীরাও প্রতিক্রিয়া দেখান নাই। ইসলামী অনুষ্ঠান ও মহলে জাস্ট ঢুকতে দেয় নাই- এ জন্যই মাতম শুরু করার পেছনে মতলবটা কি পরিষ্কার না? এই মতলব এখন থেকেই থামানো দরকার। উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সবার স্পষ্টভাষা ব্যবহার করা দরকার। সুন্দর ভাষায় দৃঢ়তার সঙ্গে বুঝিয়ে দেওয়া দরকার। এগুলো বারবার হতে দিলে বারবার শয়তানি ইস্যু তৈরি করার সুযোগ হবে। সেটা ভালো না।

বিএইচ/

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর