
ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৫, ১০:২৫

প্রথম আলো প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘৬ মাসে পুলিশের ওপর ২২৫ হামলা, ‘মব’ নিয়ে উদ্বেগ’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবককে তল্লাশিচৌকিতে থামার জন্য ইশারা দেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলী। এর কিছুক্ষণ পর ১০-১৫ জন এসে ‘ভুয়া পুলিশ’ অপবাদ দিয়ে ওই কর্মকর্তাকে মারধর শুরু করেন। ছিনিয়ে নেওয়া হয় সঙ্গে থাকা মুঠোফোন, মানিব্যাগ ও ওয়াকিটকি।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানা এলাকার আউটার রিং রোডে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, হামলা করে এসআই ইউসুফ আলীর পোশাক ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। অসহায় অবস্থায় অঝোরে কাঁদছেন তিনি। গত সোমবার তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘যখন পুলিশের পোশাক ছিঁড়ে ফেলে, তখন আর আবেগ ধরে রাখতে পারিনি, কেঁদে ফেলেছি।’
শুধু পতেঙ্গার ঘটনাই নয়, গত ছয় মাসে পুলিশের ওপর এ ধরনের ২২৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। কোথাও কোথাও হামলা করে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। বেশির ভাগ ঘটনা ঘটানো হয়েছে উচ্ছৃঙ্খল জনতার সংঘবদ্ধ আক্রমণে বা ‘মব’ তৈরি করে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় মাসে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার ২২৫টি ঘটনার মধ্যে ৭০টি বড় ধরনের আলোচনা তৈরি করে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ২৪টি, অক্টোবরে ৩৪, নভেম্বরে ৪৯, ডিসেম্বরে ৪৩, জানুয়ারিতে ৩৮ এবং ফেব্রুয়ারিতে ৩৭টি হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশের এই পরিসংখ্যানের বাইরেও সড়কে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বিরূপ আচরণের বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশের খবর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘বিশৃঙ্খল গণপরিবহন’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনোভাবেই শৃঙ্খলায় আনা সম্ভব হচ্ছে না রাজধানীর গণপরিবহন। আইনের তোয়াক্কা কেউ করছে না। রাস্তায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ রহস্যজনক কারণে নিষ্ক্রিয়। তাদের সামনেই চলছে ফিটনেসবিহীন বাস ও মিনিবাস। আর বিশৃঙ্খলার জন্য সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনার পাশাপাশি প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
অন্যদিকে ৫ আগস্টের পর পটপরিবর্তনে পরিবহন খাতের নেতৃত্বেও আসে হাতবদল। নতুন করে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির দায়িত্ব নেয়। তারা বাস রুট রেশনালাইজেশনকে পাশ কাটিয়ে বিভিন্ন রুটে চলা বাসগুলো শৃঙ্খলায় আনতে রং এবং কাউন্টার চালুর উদ্যোগ নেয়। প্রথম রুট হিসেবে আবদুল্লাপুর হয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করা সব বাসের রং নির্ধারণ করা হয় গোলাপি। তবে আশার আলো জাগানো গোলাপি বাসও হতাশায় ডুবিয়েছে।
রাজপথ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অবৈধ অটোরিকশা ও থ্রি-হুইলার। পাশাপাশি নগরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সাড়ে তিন হাজার অবৈধ বাস। গণপরিবহন সংকটে নগরজুড়ে ক্রমাগত বাড়ছে ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা। এদিকে আয়তনের তুলনায় রাজধানীর সড়ক অপ্রতুল। রাস্তার এক-তৃতীয়াংশ অবৈধ দখলদারের কজায়। ফলে প্রতিনিয়ত নগরবাসী চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
কালের কণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘দ্বৈত নাগরিকত্বে ঝোঁক বাড়ছে’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের ১০১টি দেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আইনেই এ সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মন্ত্রী-এমপিরা এ সুযোগ না পেলেও তাঁদের অনেকেই আইন ভেঙে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে বড় কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না।
আবার যাঁদের দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার বৈধতা রয়েছে, তাঁদের অনেকেই এ সুযোগ নিয়ে নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। দ্বৈত নাগরিকত্বের বৈধ-অবৈধতার মধ্যেও বাংলাদেশি নাগরিকদের ঝোঁক বাড়ছে দ্বৈত নাগরিকত্বে। এরই মধ্যে দ্বৈত নাগরিকত্বের সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর সরকারের কাছ থেকে সনদ নেওয়া দ্বৈত নাগরিকের সংখ্যাও ৩৪ হাজারের বেশি।
সনদ নেওয়া দ্বৈত নাগরিকদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিয়েছেন ১৫ হাজারের বেশি বাংলাদেশি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সমকাল প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘টান পড়বে রোহিঙ্গাদের খাবারে, বিপর্যয়ের শঙ্কা’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গার খাবার জোগাতে সামনে আসছে কঠিন সময়। খাদ্য সংকটের তীব্র ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে তারা। জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এরই মধ্যে খাদ্য সহায়তার পরিমাণ অর্ধেক কাটছাঁট করার ঘোষণা দিয়েছে।
মাথাপিছু রেশন ৬ ডলারে নামিয়েছে তারা, যা আগে ছিল ১২ দশমিক ৫ ডলার। খাদ্য সহায়তা ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার চিঠি বুধবার পেয়েছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়।
এ বাস্তবতায় রোহিঙ্গা পরিস্থিতি ভয়ানক সংকটে পড়ার শঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। স্বাস্থ্য ও পুষ্টিহীনতার পাশাপাশি ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলায়ও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। মাদক, অবৈধ অস্ত্র ও পাচারের ঘটনায় রোহিঙ্গাদের জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা আরও বাড়বে। পুরো পরিস্থিতিকে বেশ উদ্বেগজনক বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
যুগান্তর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘ফ্যাসিস্টদের অভয়ারণ্য ভারত’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন শহরে নির্বিঘ্ন আশ্রয়ে থেকে বাংলাদেশ ঘিরে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন পলাতক আওয়ামী লীগ নেতারা। সেখানে বসেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে কলকাঠি নাড়ছেন। কলকাতার মাটি অভয়ারণ্য বানিয়ে তারা বাংলাদেশকে অগ্নিগর্ভ করে তোলার চেষ্টা করছেন।
এ লক্ষ্যে ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরের চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, ভাড়াটে কিলার, মাদক ব্যবসায়ী, সোনা কারবারি, সীমান্তবর্তী এলাকার চিহ্নিত স্মাগলার, সশস্ত্র সর্বহারা গ্রুপের সদস্যসহ বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে এই নেতারা যোগাযোগ রাখছেন। তাদের ইশারায় অশান্ত হয়ে উঠছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। সংক্রিয় হচ্ছে নিষিদ্ধ সর্বহারা গ্রুপ। রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ পার্বত্য অঞ্চল অশান্ত করার পেছনেও আছে তাদেরই হাত। এসব করতে বিনিয়োগ করছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। যা গত ১৬ বছরে অবৈধভাবে আয় করেছেন।
৫ আগস্টের পর পতিত শাসক দলের প্রায় ৪৫ হাজার নেতাকর্মী ভারতে এসেছেন। তার মধ্যে অধিকাংশই কলকাতায়। এরা ফেসবুক, মেসেঞ্জার, টেলিগ্রাম, সিগন্যাল, হোয়াটসআপ গ্রুপসহ বিভিন্ন ডিজিটাল এবং সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখছেন। শুধু তাই নয়, শান্তিতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করতেও পরাজিত এই চক্রটির সদস্যরা কষছেন নানা ছক। অপকর্ম বাস্তবায়নের নির্দেশও দিচ্ছেন এসব মাধ্যম ব্যবহার করে।
মানবজমিন প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘সিলেটের ডন রঞ্জিত’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রঞ্জিত চন্দ্র সরকার। রঞ্জিত সরকার নামেই পরিচিত। উইকিপিডিয়ায় তার পরিচিতি আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ। সিলেট জেলা বারের ডকুমেন্টে তার স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা গোপালটিলা, টিলাগড়, সিলেট। ‘রঞ্জিত’ নামটি সিলেটের আওয়ামী গ্রুপিং রাজনীতিতে নানা কারণে আলোচিত।
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে নববধূকে গণধর্ষণের ন্যক্কারজনক ঘটনা থেকে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের চাঞ্চল্যকর ‘পাঁঠা’ লুটের কাণ্ডে- রঞ্জিত সরকার নামটি ঘুরে ফিরে এসেছে। সর্বশেষ সিলেট জজ কোর্টের এজলাসে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায়ও ছিল তার নাম। মানুষের কাছে নানা অভিধায় আখ্যায়িত তিনি। কারও কাছে ‘ইসকন রঞ্জিত’, কারও কাছে তিনি আবাদি। জনশ্রুতি আছে, স্থানীয় চেয়ারম্যান পরিবারের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দুঃসাহসই তাকে এতদূর নিয়ে এসেছে।
জনকণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘সংসদ নির্বাচনের পথে বিএনপি’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরোদমে নির্বাচনের পথে বিএনপি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হতে নানামুখী কৌশল নিয়ে সক্রিয় রয়েছে দলটি। এরই অংশ হিসেবে দলটি এখন সকল কর্মসূচি পালন করছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এদিকে আগেই প্রতিটি সংসদীয় আসনের জন্য তিনজন করে প্রার্থী ঠিক করে রেখেছে দলীয় হাইকমান্ড।
তবে ৩০০ আসনের জন্য প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর। এদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে গিয়ে বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রস্তাব তুলে ধরবেন। লিখিত একটি ড্রাফট তুলে দেবে ওই কমিশনের কাছে।
ডিআর/এমবি