Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

‘সীমান্তে কড়াকড়ির মধ্যেও থেমে নেই নারী পাচার’

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৫, ০৯:৫৬

‘সীমান্তে কড়াকড়ির মধ্যেও থেমে নেই নারী পাচার’

প্রথম আলো প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘সীমান্তে কড়াকড়ির মধ্যেও থেমে নেই নারী পাচার’

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত
ভারতে নিয়ে বিক্রি করা হয় যৌনপল্লিতে। ভুক্তভোগীদের বর্ণনায় উঠে এল নারী পাচারের ঘটনা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যত দূর দৃষ্টি যায়, শুধু সবুজ আর সবুজ। গাছপালা, শস্যের মাঠের সমান্তরালে বয়ে যাচ্ছে ইছামতী নদী। নদীর অপর প্রান্তের কাঁটাতারের বেড়া জানান দিচ্ছে সেটি ভারত সীমান্ত। 


যশোরের শার্শা উপজেলার দৌলতপুরের সীমান্তে দাঁড়ালে মৃদু বাতাসের সঙ্গে এই দৃশ্য চোখে আরাম দেয়, মনে প্রশান্তি আনে। এমন এক ভূদৃশ্যের কাছে বসবাস ২২ বছরের মেয়েটির। 

গত ২২ ফেব্রুয়ারি যশোর শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সন্তান কোলে নিয়ে এই প্রতিবেদকের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। বাড়ির কাছের সীমান্ত দিয়ে দুই বছর আগে তিনি পাচার হয়েছিলেন। উদ্ধারের পর তাঁকে পুনর্বাসন করে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি (বিএনডব্লিউএলএ)।

সমকাল প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘নির্বাচনী প্রশাসন সাজাতে এখনই সতর্ক সরকার’ 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রশাসন সাজাতে সতর্কে পা ফেলছে সরকার। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিকসহ বিভিন্ন তথ্য নিবিড়ভাবে যাচাই-বাছাই চলছে। বিশেষ করে সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা জেলা প্রশাসকের (ডিসি) পদায়নের চূড়ান্ত তালিকা (ফিটলিস্ট) তৈরি করা হচ্ছে সময় নিয়ে। এ কারণে ডিসি পদায়নের চূড়ান্ত তালিকা তৈরির সাক্ষাৎকার দুই মাসেও শেষ হয়নি।

সরকার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার একটি বিতর্কহীন তালিকা তৈরি করা হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে ডিসি ও পুলিশ সুপার (এসপি) পদে প্রাধান্য পাবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তারা। ভোটের তপশিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) ডিসি পদে রদবদল চাইলে এ তালিকা ধরেই করতে হবে। ডিসি-এসপির পাশাপাশি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) তালিকা তৈরিরও কাজ চলছে।

যুগান্তর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘ফ্যাসিস্টের দোসররা বহাল’ 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনার দোসর হিসাবে চিহ্নিত শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বহাল তবিয়তে। তারা গত সাড়ে ১৫ বছর সরকারের নানা অপকর্মে সরাসরি সহযোগিতা করেছেন। বিশেষ করে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বেশ সক্রিয় ছিলেন তারা। কিন্তু ৫ আগস্টের পর রাতারাতি ভোল পালটে হয়ে গেছেন বিএনপি ও জামায়াতের অন্ধ সমর্থক। সংশ্লিষ্টদের ‘ম্যানেজ’ করে বাগিয়ে নিয়েছেন এসপি, ডিআইজি ও অতিরিক্ত আইজিপির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

অন্যদিকে মেধা, জ্যেষ্ঠতাসহ প্রয়োজনীয় সব যোগ্যতা থাকার পরও যেসব কর্মকর্তা বিগত সময়ে বঞ্চিত হয়েছেন, তারা এখনো বঞ্চিত। পদোন্নতি তো দূরের কথা, তাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে চরম হতাশা ও চাপা ক্ষোভ। বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের প্রশ্ন-২০১৪ সালে খোদ গোপালগঞ্জের মতো জেলায় যিনি এসপি হয়েছিলেন, তিনি এখন নৌপুলিশের ডিআইজি। এভাবে তারা একে একে শতাধিক কর্মকর্তার নাম তুলে ধরলেন। এসব কর্মকর্তার আরও অভিমত-যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা, তারা এখন পুরস্কৃত। সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপে জুলাইয়ে গণ-অভ্যুত্থানের মূল উদ্দেশ্য চরমভাবে ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা আছে।

মানবজমিন প্রধান শিরোনাম করেছে, জুলাই আন্দোলন : ‘শক্তি প্রয়োগ না করতে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিল জাতিসংঘ’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে দমন-পীড়নে অংশ না নিতে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের হার্ডটক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেছেন। বিবিসি’র ওয়েবসাইটে বুধবার হার্ডটক অনুষ্ঠানের এই পর্ব প্রকাশ করা হয়। উপস্থাপক স্টিফেন সাকারের এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন তুর্ক। বলেন, আমি আপনাকে উদাহরণ দিচ্ছি, যেখানে এটা গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়েছিল।

আপনি জানেন জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে ছাত্রদের ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। বাংলাদেশে তখন শেখ হাসিনার সরকার, ছাত্রদের আন্দোলন দমনে ব্যাপক দমন-পীড়ন হচ্ছিল, তাদের জন্য বড় আশার জায়গা ছিল আসলে আমরা কী বলি, আমি কী বলি, আমরা কী করতে পারি এবং আমরা ওই পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করি। আমরা প্রকৃতপক্ষে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করি, যদি তারা এতে জড়িত হয়, তার অর্থ দাঁড়াবে তারা হয়তো আর শান্তিরক্ষী পাঠানোর দেশ থাকতে পারবে না। ফলশ্রুতিতে আমরা পরিবর্তন দেখলাম। ভলকার তুর্ক বলেন, অধ্যাপক ইউনূস যখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নিলেন, তিনি আমাকে তাৎক্ষণিকভাবে বললেন, আপনি কি একটি তথ্যানুসন্ধানী দল পাঠাতে পারেন, পরিস্থিতির ওপর গুরুত্ব দিতে পারেন এবং সেখানে যা ঘটেছে, তা তদন্ত করতে বললেন। 

কালের কণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে,  ‘বাড়ছে নারীর নিরাপত্তাহীনতা’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি অনেকটাই দৃশ্যমান। ছিনতাই, ডাকাতি, লুটপাট, হামলা ছাড়াও ঘটছে মব সহিংসতার মতো ঘটনা। এর নেতিবাচক প্রভাব দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ওপর পড়লেও নারীদের নিরাপত্তাহীনতার বহুমাত্রিক চিত্র ফুটে উঠেছে গত কয়েক মাসের নানা ঘটনায়। বিশ্লেষকরা বলছেন, নারীদের ওপর আক্রমণের বিষয়টি আগেও ছিল।

তবে বর্তমানে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশের নাজুক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। সেই সঙ্গে একটি বিশেষ গোষ্ঠী নারীদের দমিয়ে রাখতে পুরুষতান্ত্রিক বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে বলেও মত দেন তাঁরা। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই দেশে আজ শনিবার পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য, ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন/নারী ও কন্যার উন্নয়ন।’ দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

নয়া দিগন্ত প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘সমস্যাকবলিত ব্যাংকগুলো নগদ টাকার সঙ্কটে’ 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমস্যাকবলিত ব্যাংকগুলো বর্তমানে নগদ টাকার সংকটে পড়েছে। রমজান মাসে মানুষের কেনাকাটার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায়, ব্যাংকগুলোর কাছে টাকা তোলার চাপ বাড়ছে। এতে ব্যাংকগুলো সমস্যায় পড়েছে এবং তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে তারল্য সহায়তা চেয়েছে।

একসময় দেশের ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক লুটপাট হয়েছে, বিশেষ করে এস আলম নামক এক ব্যক্তি দেশের বৃহত্তম ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উধাও করেছে। এসব ব্যাংক থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা বের হয়ে গেছে, যা এখনও ফেরত আসেনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ ব্যাংক ওই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর পুনর্গঠন শুরু করেছে এবং কয়েকটি ব্যাংক এরমধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তবে কিছু ব্যাংক এখনও গভীর সমস্যায় রয়েছে এবং তারা গ্রাহকদের আমানতের টাকা ফেরত দিতে পারছে না।

ডিআর/এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর