Logo

নির্বাচিত

এক-এগারোর সময় মার্কিন নীতিতে বড় ভুল ছিল

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৫, ১১:১৫

এক-এগারোর সময় মার্কিন নীতিতে বড় ভুল ছিল

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি-জামায়াত
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন-পরবর্তী, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনকেন্দ্রিক চর্চা শুরু হয়। যদিও সরকার এখনো নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেনি। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময়ও ঘোষণা করেছেন। 

এরই মাঝে আগে স্থানীয় সরকার নাকি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, তা নিয়েও দলগুলোর মধ্যে দেখা যায় নানা মত। বিশেষ করে জামায়াত ও বিএনপির মধ্যে নির্বাচনকেন্দ্রিক বিপরীতমুখী অবস্থান প্রকাশ্যে আসে। 

এক-এগারোর সময় মার্কিন নীতিতে বড় ভুল ছিল
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০০৭-০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জনগণের প্রত্যাশার চেয়ে জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের ভাবনাকে যুক্তরাষ্ট্র বেশি গুরুত্ব দিয়েছিল। এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্ব ছিল নির্বাচনের সময়সীমার ওপর।

ওই সময়ে বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন এই নীতি বড় ভুল ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক উপ-রাষ্ট্রদূত জন ড্যানিলোভিচ। গতকাল শনিবার রাজধানীতে এক আলোচনায় বাংলাদেশে ২০০৭-০৮ সালের রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে নিজের দেশের ভূমিকা নিয়ে এমন মন্তব্য করেন সাবেক এই মার্কিন কূটনীতিক।

২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা নিয়েছিল। ওই ঘটনা ওয়ান ইলেভেন বা এক-এগারো নামে পরিচিত। জন ড্যানিলোভিচ ওই সরকারের আমলে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতেন।

বাড়ছে আন্তঃক্যাডার সংকট
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে নানা প্রস্তাবনা থাকলেও আন্তঃক্যাডারে ক্ষোভ দূর হয়নি। দিনদিন সংকট বাড়ছে। প্রশাসন বাদে ২৫ ক্যাডারদের সমন্বয়ে গঠিত পরিষদ নানা কর্মসূচি পালন করছে। এরই মধ্যে দাবি আদায়ে সরব হয়েছে স্বাস্থ্য ক্যাডারও। ক্যাডারে চলমান বৈষম্য দূর করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ না থাকলে নিজেদের দাবি আদায়ে প্রয়োজনে ঈদের পর কঠোর আন্দোলনে যাবেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর উপসচিব পদে পদোন্নতিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল, সব ক্যাডারের সাম্যাবস্থা নিশ্চিত করাসহ কয়েকটি দাবি নিয়ে গঠিত হয় বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। এরই মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন তাদের রিপোর্ট জমা দিলে বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে আপত্তি তুলে পরিষদ। রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগে থেকেই নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা।

নিরাপত্তা ঝুঁকিতে দেশ
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, রামগড় স্থলবন্দর এবং ফেনী ইকোনমিক জোন চালু হলে দেশের নিরাপত্তা হুমকি বাড়ার আশঙ্কা করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এক গোপনীয় প্রতিবেদনে বিজিবি দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে রামগড় স্থলবন্দর এবং ফেনী অর্থনৈতিক অঞ্চলে চালু না করার সুপারিশ করেছে। সম্প্রতি ওই প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ওই দুই স্থাপনা চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দর এবং ফেনী-চট্টগ্রাম হাইওয়েতে পণ্য আমদানি-রপ্তানি চাপ বাড়বে। এই দুই স্থাপনায় যাতায়াতের সুযোগ নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী বা সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বাড়ার আশঙ্কা করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারসংক্রান্ত চুক্তি সংশোধনেরও প্রস্তাব করা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

থানায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাদের তালিকা
আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সারা দেশের নেতা-কর্মীদের খোঁজখবর রাখতে বিশেষ তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে প্রতিটি থানায় ছাত্রলীগ নেতাদের তালিকা করা হচ্ছে।

সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা, সামাজিক কার্যক্রম এবং সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বুঝতে এই উদ্যোগ বলে জানা গেছে।

পুলিশ সদর দপ্তর, বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার ও থানা পর্যায়ের একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এই উদ্যোগের বিষয়টি জানা গেছে।

পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো ধরনের হয়রানি, মামলা করতে নয়, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের তথ্য – উপাত্ত যাচাই করা হচ্ছে।

সংবাদটিতে পুলিশের সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারেন। এজন্য তারা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছেন।

সেই আশঙ্কা থেকে তাদের গতিবিধি অনুসরণ করতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জেলা পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ক্ষোভে ফুঁসছে দেশ, মধ্যরাতে উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, নির্যাতন, ধর্ষণসহ নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। গতকাল শনিবার সারাদেশে কর্মসূচির মাধ্যমে নিপীড়কদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।

একই সঙ্গে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার দাবি তুলেছে নানা শ্রেণি-পেশার ক্ষুব্ধ মানুষ। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য 'অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন, নারী ও কন্যার উন্নয়ন'। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে 'অদম্য নারী, শক্তিতে অজেয়' শীর্ষক সমাবেশ করে ছাত্রদল।

এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। এগুলো রোধ করা না গেলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার রহস্য উন্মোচন করুন। এসব নির্যাতনের ঘটনায় পতিত ফ্যাসিস্টদের চক্রান্ত আছে কিনা, তা বের করুন। বাংলাদেশকে কোনোভাবে অস্থিতিশীল করা যাবে না।

বাঁচা-মরার লড়াইয়ে সেই শিশুটি
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়াতে মাগুরায় পাশবিকতার শিকার আট বছর বয়সী শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এ স্থানান্তর করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে তাকে কার্ডিয়াক অ্যাম্বুলেন্সে করে সিএমএইচে পাঠানো হয়। এ সময় তার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ছিলেন। দুপুরে ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে যান সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন মুর্শিদ।

উপদেষ্টার নির্দেশ ও শিশুটির চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশে শিশুটিকে সিএমএইচে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। তবে শিশুটির বাঁচা-মরার বিষয়ে শঙ্কা রয়েছে। কারণ এখনো সে অচেতন।

সাশ্রয় নেই, জনপ্রশাসনে খরচ বেড়েই চলেছে
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, প্রতি বছরের বাজেটে জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় মেটাতে বড় অংকের অর্থ বরাদ্দ থাকে। এ বাবদ সরকারের প্রকৃত ব্যয়ের পরিমাণও বেশ বড়।

প্রতি বছরই এ খাতে সরকারের ব্যয় বাড়ছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) এর আগের বছরের তুলনায় জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা খাতে সরকারের ব্যয় বেড়েছে হাজার কোটি টাকারও বেশি।

চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, ভূতাপেক্ষ পদোন্নতিসহ সামনে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা দেয়া হলে এর প্রভাবে বেতন-ভাতা বাবদ সরকারের ব্যয় আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে জনপ্রশাসনের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ ৩১ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা ব্যয় করেছে সরকার।

এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতে ব্যয় হয়েছিল ৩০ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা। সে অনুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এ খাতে ব্যয় বেড়েছে এক হাজার ৩৮ কোটি টাকা।

দেশকে অস্থিতিশীল করতে পরিকল্পিত ‘মব সৃষ্টি’
নয়া দিগন্তের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, দেশকে অস্থিতিশীল করতে পরিকল্পিতভাবে 'মব' তৈরি করে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছুটা নমনীয়তার সুযোগ নিয়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের প্ররোচনায় একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে কাজটি করছে বলে ধারণা করছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা। এমনকি কয়েকটি গোয়েন্দা রিপোর্টেও এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে এ সংবাদে বলা হয়েছে।

পুলিশ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, চোর-ডাকাত-ছিনতাইকারী এমনকি সাধারণ মানুষও মব জাস্টিসের শিকার হচ্ছেন। বাদ যাচ্ছেন না বিদেশী নাগরিকেরাও। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর রিপোর্টেও বলা হচ্ছে, পাঁচ অগাস্টের পর দেশে মব ভায়োলেন্সের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এটিআর/

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর