বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
‘দলগুলোর নানা মত, গুতেরেস চান ঐক্য’

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩২

সমকাল প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘দলগুলোর নানা মত, গুতেরেস চান ঐক্য’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠকে সংস্কার এবং নির্বাচন নিয়ে দলীয় অবস্থান তুলে ধরেছে রাজনৈতিক দলগুলো। সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছে বিএনপি। জামায়াতে ইসলামী জানিয়েছে, টেকসই গণতন্ত্র এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। এনসিপির চাওয়া গণপরিষদের সংবিধান সংস্কার। সংস্কার কমিশনগুলো বৈঠকে সংস্কারের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে। জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘সংস্কার প্রয়োজনীয়। জাতিসংঘ এতে পাশে থাকবে।
সংস্কার কীভাবে, কতটুকু হবে, তা জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোকে একমত হয়ে করতে হবে।’ পর্তুগালের উদাহরণ দিয়ে তিনি আশাবাদ জানিয়েছেন, জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলো মিলে এই পথ পাড়ি দিতে পারবে।
শনিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে জাতিসংঘের ঢাকা কার্যালয়ের আয়োজনে বৈশ্বিক সংস্থাটির মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে সাতটি দল অংশ নেয়। রাজনৈতিক নেতারাও বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে নিজ নিজ দলের অবস্থান তুলে ধরেন।
বৈঠকে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ; জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার; নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান আসাদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।
প্রথম আলো প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্যের ওপর জোর’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের চলমান সংস্কারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত হলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ প্রত্যাশা করে সংস্কারে সহায়তার কথাও জানালেন তিনি। তবে কাজটি দেশের রাজনৈতিক দল ও সরকারকেই করতে হবে বলে মনে করেন তিনি। এ জন্য ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
শনিবার দুপুরে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে জাতিসংঘ ঢাকা কার্যালয়। এতে সরকারের প্রতিনিধি, সংস্কার কমিশনের প্রধানেরা এবং রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন। বৈঠকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কারপ্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রধানেরা তাঁদের নিজ নিজ সংস্কার প্রতিবেদনের সংক্ষিপ্তসার তুলে ধরেন। এরপর রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা তাঁদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল লিখিত বক্তব্য জমা দেয়।
গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেওয়া সূত্র বলছে, বিএনপি, জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলের নেতারা সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা তাঁদের বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। নির্বাচনের আগে কতটুকু সংস্কার হবে, এ প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য উঠে এসেছে। জাতিসংঘ মহাসচিব শেষে তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, বাংলাদেশের অংশীজনেরাই সংস্কার বাস্তবায়ন করবে। কতটুকু এবং কীভাবে করবে, সে বিষয়ে তাদেরই ঠিক করতে হবে। জাতিসংঘ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কারে সহায়তা দিয়ে যাবে।
কালের কণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘সংলাপে সহায়তায় প্রস্তুত জাতিসংঘ’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জাতীয় সংলাপ, শান্তি, আস্থা ও নিরাময়কে উৎসাহিত করতে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছে জাতিসংঘ। গতকাল শনিবার ঢাকায় একটি হোটেলে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘দেশ যখন গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার এবং পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে জাতিসংঘ শান্তি, জাতীয় সংলাপ, আস্থা ও নিরাময়কে উৎসাহিত ও সহায়তা করতে প্রস্তুত।’
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনও বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্য পদ লাভের ৫০তম বার্ষিকীর সঙ্গে জাতিসংঘ মহাসচিবের রমজান সংহতি সফর বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ—উভয়ের জন্যই একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
কারণ মহাসচিব নিজেই জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সর্বোচ্চ ত্যাগের পর একটি নতুন বাংলাদেশের গঠনমূলক পর্যায় প্রত্যক্ষ করছেন। ওই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি ন্যায়সংগত, গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন। জাতিসংঘ মহাসচিবের এই সফর সরকার এবং ভবিষ্যতের বাংলাদেশের জন্য উল্লেখযোগ্যভাবে অর্থবহ বলেও তিনি জানান।
যুগান্তর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘অবিশ্বাস্য ঋণ জালিয়াতি’
সালমানের প্রভাবে খেলাপির অঙ্ক অর্ধেকের কম
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো গ্রুপের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য জালিয়াতির তথ্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। গ্রুপটির নামে এতদিন যে খেলাপি ঋণের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে বাস্তবে তা দ্বিগুণের বেশি। অর্থাৎ খেলাপির অঙ্ক গোপন রেখে অর্ধেকের কম দেখানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত সম্পন্ন হওয়া তদন্তে বেক্সিমকো গ্রুপের নামে-বেনামে ৫৩ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণের তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এটি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
শুধু তাই নয়, আমদানি-রপ্তানির আড়ালে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার হিসাব এখনও মিলছে না। এসব টাকা পাচার হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে ১ হাজার ১৪০ কোটি টাকা পাচারের তথ্য শনাক্ত করা হয়েছে। আর সব মিলিয়ে মোট ৬১ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ, লেনদেন স্থগিত বা আটক করা হয়েছে। বিদেশে ৫টি শেল কোম্পানির (প্রকৃত মালিকের পরিচয় গোপন করে বেনামি কোম্পানি) অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এছাড়া পিতা (সালমান) পুত্রের মতো চাচা (সালমান) ভাতিজা মিলেও টাকা পাচার করেছেন।
নয়া দিগন্ত প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘সংলাপে সহায়তা দিতে প্রস্তুত জাতিসঙ্ঘ’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সংস্কার ও রূপান্তরের গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিবাহিত করছে মন্তব্য করে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, একটি ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উন্নত ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টার সমর্থনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভূমিকা রাখতে হবে। আমি নিশ্চিয়তা দিচ্ছি যে, জাতীয় সংলাপে আস্থা, শান্তি ও ক্ষত পূরণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে জাতিসঙ্ঘ প্রস্তুত থাকবে। সবার জন্য একটি টেকসই ও বৈষম্যহীন ভবিষ্যৎ গঠনে জাতিসঙ্ঘ বাংলাদেশের জনগণের অবিচল অংশীদার হিসেবে কাজ করে যাবে।
গতকাল দিনব্যাপী ব্যস্ত কর্মসূচি শেষে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন। সকালে গুলশানে নতুন ‘জাতিসঙ্ঘ অভিন্ন প্রাঙ্গণ’ পরিদর্শনের মাধ্যমে তৃতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু করেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস। এরপর তিনি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সংস্কার কমিশনের প্রধানদের সাথে মতবিনিময় করেন। একই স্থানে তিনি যুব সম্প্রদায় ও নাগরিক সমাজের সাথে বৈঠক করেন। সন্ধ্যায় তার সম্মানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেয়া ইফতার ও নৈশভোজে যোগ দেন।
জনকণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘বাংলাদেশের টেকসই ভবিষ্যৎ রচনায় সহায়তা করব’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের চারদিনের সফরকে সরকার ও দেশের জন্য অত্যন্ত অর্থবহ বলে মনে করছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে জাতিসংঘের সহায়তাও কামনা করেছে বাংলাদেশ সরকার।
জবাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার সংরক্ষণের জন্য পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করে জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বলেন, রোহিঙ্গা সংকট কাটাতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেবে জাতিসংঘ। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তহবিল জোগানেরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে কাজ করে সবার জন্য একটি টেকসই ও ন্যায়সঙ্গতহ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সহায়তা করব।
শনিবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতিসংঘ মহাসচিবের সফর নিয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় উঠে এসেছে।
মানবজমিন প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘সিলেটের ৪ খলিফা এখন কোথায়?’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আধ্যাত্মিক রাজধানী সিলেট। সর্ব ধর্মের মানুষের কাছে এ অঞ্চলের বাড়তি কদর। অবশ্য এর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট রয়েছে। আধ্যাত্মিকতার প্রতীক হিসেবে ‘কুতুব’ শব্দটি বহুল প্রচলিত। সুফিবাদে একেকজন ‘কুতুব’ মানে একেক জন ‘নিখুঁত’ মানুষ। কিন্তু না, আজকের রিপোর্টে কুতুব শব্দটির ব্যবহার হচ্ছে ক্ষমতার প্রতীক বোঝাতে! গত ১৫ বছর তারা নানাভাবে সিলেটকে শাসন করেছেন। এই সময়ের সব ঘটন-অঘটনে তারা কোনো না কোনোভাবে যুক্ত ছিলেন। নিজস্ব স্বার্থ রক্ষায় তাদের স্বতন্ত্র বলয় ছিল।
কিন্তু স্বার্থের জন্য তারা কখনো কখনো জোটবদ্ধও হয়েছেন! মোদ্দা কথা তাদের কাছে দেশ, জাতির উন্নয়ন নয় বরং ব্যক্তিস্বার্থই ছিল মুখ্য। কেউ ছিলেন গণ ভবনের, কেউ আবার লন্ডনের খলিফা। দোর্দণ্ডপ্রতাপ নিয়ে ক্ষমতা জাহিরে এক ধরনের প্রতিযোগিতাও করেছেন তারা। আজ সবই অতীত। তাদের প্রায় সবাই পলাতক। ৫ই আগস্টের রক্তাক্ত অভ্যুত্থানে পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলায়নের পর তারা যে যার মতো করে গা ঢাকা দিয়েছেন। তাদের সাম্রাজ্য আজ খাঁ খাঁ করছে। অবশ্য চতুর কিছু ‘কুতুব’ বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলেয়েছেন। তারা আগে থেকেই এক ধরনের লিয়াজোঁর মধ্যে ছিলেন। সেটার বেনিফিট পাচ্ছেন এখন।
ডিআর/এমবি