Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

১৫ বছরে নতুন মুক্তিযোদ্ধা ১৮১৬৮

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ১০:৫২

১৫ বছরে নতুন মুক্তিযোদ্ধা ১৮১৬৮

দুর্নীতিমুক্ত হওয়া ছাড়া বাংলাদেশের গতি নেই
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, দুর্নীতি থেকে মুক্ত হওয়া ছাড়া বাংলাদেশের কোনো গতি নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, পুরো বিশ্ব বুঝে গেছে, আমরা জাতি হিসেবে সততার পরিচয় বহন করি না। এটা শুধু জাতীয় কলঙ্কের বিষয় নয়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এটা আত্মঘাতী বিষয়।

দেশবাসীর মতো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও চায় আমরা দুর্নীতিমুক্ত হই, কারণ তারা আমাদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে চায়। দুর্নীতিমুক্ত হতে না পারলে ব্যবসা-বাণিজ্য কিছুই চলবে না। গতকাল মহান স্বাধীনতা দিবস ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সকল কাজ দুর্নীতিমুক্ত করতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে যাচ্ছে। এই সরকারের মেয়াদকে দুর্নীতিমুক্ত রাখার চেষ্টার পাশাপাশি আগামী দিনেও দেশের নাগরিককে যেন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পুষ্ট দুর্নীতি থেকে মুক্ত রাখতে পারে সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুর্নীতি ও হয়রানি রোধে আমরা একটা বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। সরকারের সঙ্গে দৈনন্দিন, মাসিক বা বার্ষিক রুটিন কাজের জন্য যেন কোনো নাগরিককে সশরীরে কোনো সরকারি অফিসে উপস্থিত হতে না হয়। দুর্নীতি প্রতিরোধের অংশ হিসেবে সরকারি সব অফিসে ই-ফাইলিং চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

কেউ হবেন মুক্তিযোদ্ধা, কেউ সহযোগী
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ১১ বার বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা ও মানদণ্ড বদলানো হয়েছে। এর মধ্যে শুধু সংজ্ঞা বদলানো হয়েছে পাঁচবার। তবে এখন থেকে মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে রণাঙ্গনে সরাসরি যুদ্ধ করেছেন এবং যারা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন, শুধু তারাই 'বীর মুক্তিযোদ্ধার' স্বীকৃতি পাবেন।

এর বাইরে যারা দেশে-বিদেশে থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন, বিশ্বজনমত তৈরিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন, তারা হবেন ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইন সংশোধন করে নতুন যে অধ্যাদেশ হতে যাচ্ছে, তাতে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় এ পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

ইতিমধ্যে এই অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনা হয়েছিল ২০২২ সালে।

লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালু সময়ের দাবি
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বিগত সরকারগুলোর অনীহা আর আন্তর্জাতিক জটিলতায় আটকে আছে লালমনিরহাট বিমানবন্দরের কার্যক্রম।

বিমানবন্দরটি জাতীয় নিরাপত্তা ও ভূকৌশলগত কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় বেশ কয়েকবার চালুর উদ্যোগ নিলেও নানা কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের অর্থনীতি, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিল্প-বাণিজ্য প্রসার এবং ভৌগোলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সব হিসাব-নিকাশ পালটে দিতে পারে এই বিমানবন্দর।

এটি চালু হলে চীন, ভারত, নেপাল ও ভুটানের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে আঞ্চলিক হাব হিসাবে গড়ে উঠবে। এতে বাংলাদেশের উন্নয়নে খুলবে উত্তরের দুয়ার। জানা গেছে, বিগত সরকারগুলো লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে অনীহা থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকার এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বিমানবাহিনী প্রধান লালমনিরহাট বিমানবন্দর পরিদর্শন করে এসেছেন। শিগগিরই সম্ভাব্যতা যাচাই করে ফের কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।

যারা বলে একাত্তর ও চব্বিশ সমান, তারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি
সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শিরোনামের এই মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমকাল তার কাছে জানতে চেয়েছিল, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে অনেকে মুখোমুখি দাঁড় করাতে চাইছেন। এ বিষয়ে বিএনপির অবস্থান কী?’

উত্তরে তিনি বলেন, ‘একাত্তর ও চব্বিশ সমান– এটি মূলত তারা বলেন, যারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেনি; উল্টো একাত্তরে হত্যাযজ্ঞে সহযোগিতা করেছেন।’

‘তাদের কেউ কেউ এখন গলা উঁচিয়ে বলার চেষ্টা করছে যে '৭১ সালে কিছু হয়নি। কিছু কিছু দল বোঝানোর চেষ্টা করছে, মুক্তিযুদ্ধ কোনও ঘটনাই ছিল না। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এই দেশের মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। হত্যা করেছে লাখো নিরীহ মানুষ।’

১৫ বছরে নতুন মুক্তিযোদ্ধা ১৮১৬৮
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনকালে ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৯০টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এসব সভার মাধ্যমে নতুন করে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্তি ও যাচাই-বাছাই করা হয়। জামুকা বলছে, এ সময় সভাগুলোতে ১৮ হাজার ১৬৮ জনকে নতুন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে। একই সময়ে পাঁচ হাজার ৯৮৭ জন অমুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিলের সুপারিশও করা হয়েছে। তবে এ সময় অমুক্তিযোদ্ধা হয়েও মুক্তিযোদ্ধার খাতায় নাম লেখানোর বেশ কিছু অভিযোগও উঠেছে। এসব ঘটনায় উল্লেখযোগ্য শাস্তি না হলেও কারও কারও সনদ বাতিল করা হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে গত বছরের পাঁচই অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এলে নতুন করে অমুক্তিযোদ্ধা শনাক্ত এবং মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাই করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

পাকিস্তান আমলের স্বৈরতন্ত্রের মডেল অনুসৃত হয়েছে বাংলাদেশেও
বণিক বার্তার প্রথত পাতায় বলা হয়েছে, ইস্কান্দার মির্জাকে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত করে ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের শাসনভার হাতে তুলে নেন আইয়ুব খান।

এর পর এক দশকেরও বেশি সময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে তিনি সক্ষম হয়েছিলেন। তার স্বৈরশাসনকে দীর্ঘস্থায়ী করার কারিকর হিসেবে বড় ভূমিকা রাখে সিএসপি (সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তান) আমলাতন্ত্র ও এলিট সামরিকতন্ত্র।

শুধু আইয়ুব খান নন, পাকিস্তানে তার পরে ক্ষমতায় আসা স্বৈরশাসকদেরও ক্ষমতার বড় ভরকেন্দ্র ছিলেন এলিট সিএসপি ও মিলিটারি কর্মকর্তারা। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশেও স্বৈরশাসনের ক্ষেত্রে একই মডেল অনুসৃত হয়েছে, যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও শেখ হাসিনার শাসনামল। সরকারি আমলা ও সামরিক বাহিনীর অনুগত এলিটদের সহায়তায় টানা দেড় দশক ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড গড়েছেন শেখ হাসিনা।

হাসপাতালেই ঈদ কাটবে তাদের
জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের নিয়ে মানবজমিন পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। প্রায় আট মাস আগে তারা আহত হয়েছিলেন।আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়েছিলো কারও কারও শরীর। গুলিতে কারও হাতকাটা পড়েছে, কারও পা। কারও চোখের আলো নিভেছে আজীবনের জন্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই আন্দোলনে প্রায় দেড় হাজার মানুষ জীবন দিয়েছেন। আহত হন ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ। আহতদের একটি অংশ এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ দরজায় কড়া নাড়লেও তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না।

রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতাল), চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটসহ আরও কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন এসব আহতরা। নির্যাতনের ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন তারা। আগের বছরগুলোতে পরিজনের সঙ্গে কাটানো ঈদের স্মৃতি মনে করে কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। আহতরা বলছেন, প্রতি বছর পরিবার পরিজন, বন্ধুদের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করতাম। এবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছি।

এটিআর/


Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর