Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্তে আবেদনের পাহাড়

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৯

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্তে আবেদনের পাহাড়

প্রথম আলো প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘সংবিধানের মূলনীতির বদল চায় না বিএনপি’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধানের মূলনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি থেকে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দেওয়ার বিষয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশন যে সুপারিশ করেছে, তাতে একমত নয় বিএনপি। দলটি মনে করে, এ–সংক্রান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৮, ৯, ১০ ও ১২-কে পঞ্চদশ সংশোধনীর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া অধিকতর যুক্তিযুক্ত।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দেওয়া সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপর বিএনপি এ মতামত তুলে ধরেছে। গত রোববার সংবিধানসহ পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপরও বিস্তারিত মতামত জমা দেয় বিএনপি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশের ওপর দেওয়া মতামতে বিএনপি জাতীয় সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছে। সংসদের মেয়াদ চার বছর করার বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে দলটি। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক দলের প্রধান ও সংসদ নেতা হতে পারবেন না বলে সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেটির সঙ্গেও ভিন্নমত জানিয়েছে বিএনপি। দলটি বলেছে, এটি সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের নিজস্ব সিদ্ধান্তের বিষয়। এ বিষয়ে বিএনপির ব্যাখ্যা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী দলের প্রধান অথবা সংসদ নেতার পদে কোনো এক বা একাধিক ব্যক্তি অধিষ্ঠিত হবেন কি না, তা একান্তই সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে সাংবিধানিকভাবে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ সংসদীয় গণতন্ত্রের মূল চেতনার পরিপন্থী।

আজকের পত্রিকা প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘ঢাকায় চাঁদাবাজি চরমে’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে কর্তৃপক্ষের নানা অঙ্গীকার এবং তৎপরতার পরও রাজধানীতে অপরাধের মাত্রা কমাতে দৃশ্যমান প্রভাব নেই; বিশেষ করে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য চরমে উঠেছে। চাঁদাবাজেরা এমনই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে আতঙ্ক ছড়াতে গুলি করে তার ভিডিও ধারণ করার ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। পুলিশের কর্মর্কতারা বলছেন, পরিবর্তিত রাজনৈতিক আবহে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা এলাকায় এলাকায় প্রভাব বিস্তারে মরিয়া হয়ে ওঠায় চাঁদাবাজির মতো অপরাধ বেড়েছে। সমস্যার সমাধানে ‘রাজনৈতিক সহায়তা’ দরকার বলে মত দিয়েছেন তাঁরা।

চাঁদাবাজদের গুলি করে ভিডিও ধারণের ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল এলাকায়। চাঁদা চেয়ে না পেয়ে মনির আহমেদ নামের এক আবাসন ব্যবসায়ীর অফিসে ঢুকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। একজন গুলি করার সময় তার ভিডিও করছিল সঙ্গের একজন। তৃতীয় আরেকজন মোটরসাইকেলে বসে অপেক্ষা করছিল। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ বলেছে, জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

অপহরণের হুমকি দিয়ে আগেই চাঁদা চাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে। স্কুলশিক্ষকের মতো মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষও এর শিকার হয়েছেন। ১৭ মার্চ রাজধানীর গুলশানের একটি স্কুলের শিক্ষিকাকে ফোন করে চাঁদা চাওয়া হয়। অন্যথায় তাঁর সন্তানকে অপহরণের হুমকি দেন ফোন করা ব্যক্তি। ভুক্তভোগী নারী জানান, ফোনে তাঁকে বলা হয় থানা, পুলিশ, র‍্যাব করে কোনো কাজ হবে না। তাঁর ছেলে বা মেয়েকে তুলে নেওয়া হবে। তা এড়াতে চাইলে এখনই বলতে হবে কত দেওয়া হবে। টাকা না দিলে ছেলের লাশ পাওয়া যাবে। ছেলেপেলে বাসায় গিয়ে পাঁচটি করে গুলি করবে।

যুগান্তর প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্তে আবেদনের পাহাড়’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সনদধারী ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের শনাক্তে আবেদনের পাহাড় জমেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে। তিন মাসে ২০ হাজারের অধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। ভুয়া সনদে যারা চাকরি নিয়েছেন তাদের নামেও অভিযোগ আসছে। রণাঙ্গনের সম্মুখসারির যোদ্ধারা অভিযোগ জানিয়ে এসব আবেদন করেন। জেলা-উপজেলা থেকে প্রতিদিনই প্রচুর পরিমাণে আবেদন আসছে। এগুলো যাচাই-বাছাইয়ে হিমশিম খাচ্ছে মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)। যাচাইয়ে প্রাথমিকভাবে সরেজমিন শুনানি হবে। অভিযোগ আসা অব্যাহত থাকলে বাতিলের লক্ষাধিক আবেদন জমা পড়তে পারে। এদিকে সরকারের ডাকে সারা দিয়ে স্বেচ্ছায় ১২ অমুক্তিযোদ্ধা তাদের সনদ বাতিলের আবেদন করেছেন।

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাভুক্ত করতে সম্প্রতি ১০ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) ও ১০ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ড ও নির্বাহী কমিটি পুনর্গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সংশ্লিষ্টরা বলেন, গত সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক নিজেই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ভুয়া সনদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত করে গেছেন। প্রাথমিকভাবে সারা দেশে ৯০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে বলে ধারণা করছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্তে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। তাদের সহায়তা করছেন সেখানকার সম্মুখসারির মুক্তিযোদ্ধারা। ভুয়াদের চিহ্নিত করে একটি ডেটাবেজ তৈরির চিন্তা আছে মন্ত্রণালয়ের। তবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) মতে, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা লক্ষাধিক। ১৯৯৪ সালে বিএনপির আমলে করা তালিকায় ৮৬ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে মূল ভিত্তি ধরে সামনে এগোতে চায় অধিদপ্তরটি। বর্তমানে দেশের সনদধারী মোট মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার। সে হিসাবে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ২২ হাজার! 

কালের কণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘স্থবির অর্থনীতিতে গতি আনছে ঈদ’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদ উৎসব ঘিরে বাড়ছে কেনাকাটা। রোজার দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে ক্রেতা উপস্থিতি বেড়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় বিক্রি বাড়ার আশা করছেন না ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এবারের ঈদে ক্রেতা সমাগম বাড়লেও বিক্রি এখনো ৩০ শতাংশ কম। ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষ খরচ কমাতে বাধ্য হচ্ছে। রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা চলছে। শ্রমিক অসন্তোষসহ নানা কারণে শতাধিক শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে লাখো কর্মী কাজ হারিয়েছেন। এতে কমেছে তাঁদের ক্রয়ক্ষমতা।

অনেক প্রতিষ্ঠান এখনো ঠিকমতো বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে পারেনি। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ঈদের কেনাকাটায়। স্থবির অর্থনীতিতে ঈদ কেনাকাটা গতি এনে দেবে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন শপিং মল ঘুরে দেখা যায়, ঈদের ঠিক আগ মুহূর্তে এই ছুটির দিনটিকে বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগাচ্ছে মানুষ।

ব্যস্ততায় আগে যারা করতে পারেনি কেনাকাটা, শেষ সময়ে তারা সেরে নিচ্ছে সেটি। ফলে কাপড়, জুতা, কসমেটিকস কিংবা গয়নার দোকান—সবখানেই দেখা গেছে ক্রেতার চাপ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের বাজারে মূলত বিক্রি হয় নতুন পোশাক। পাশাপাশি জুতা, অর্নামেন্টস, প্রসাধনী, ঘর সাজানোর জিনিস এবং কিছু আসবাবও বিক্রি হয়। তবে ঈদকেন্দ্রিক ক্রেতারা যে অর্থ ব্যয় করেন, তার ৮০ শতাংশই যায় পোশাকের জন্য। বাকি ২০ শতাংশ অর্থ অন্য পণ্যে ব্যয় হয়।

মানবজমিন প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘নতুন প্রত্যয়ে দেশ গড়ার শপথ’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণ করেছে জাতি। ভোর থেকেই দলে দলে ফুল, ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে আসেন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও নানা শ্রেণি-পেশার  মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে ভরে ওঠে শহীদ বেদি। এ সময় অনেককে লাল-সবুজের পোশাক পরে আসতে দেখা গেছে। স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে আসা অধিকাংশই জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্যে জোর দিয়েছেন। বলেছেন, আদর্শিক ভিন্নতা থাকলেও আমরা যেন জাতীয় স্বার্থে ২০২৪-এর মতো ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি সেটাই প্রত্যাশা। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রয়োজনে ডাক পড়লে সবাই আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এক কাতারে দাঁড়াবো।

গতকাল ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে প্রথমে প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সকাল ৬টা ১১ মিনিটে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল তাকে রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। এরপর শ্রদ্ধা জানান বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা। শ্রদ্ধা জানান উপদেষ্টামণ্ডলী ও বিদেশি কূটনীতিকরাও।

জনকণ্ঠ প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘বৈষম্যহীন নতুন দেশ গড়ার প্রত্যয়’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতি রাষ্ট্রের জন্মের  দিনে বর্ণিল আয়োজনে উদ্যাপন করেছে কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি, যে দেশের মানুষের সামনে এখন সোনালি ভবিষ্যৎ। দেশের জন্মদিনে এক অন্যরকম স্বস্তি, আনন্দ ও শপথে জেগে উঠেছিল বাঙালি। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার ৫৪ বছর পূর্ণ হওয়ার ঐতিহাসিক দিনে বুধবার স্বাধীনতার কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের প্রত্যয় জানিয়েছে বাংলাদেশ।

দেশের পথে-প্রান্তরে পতপত করে উড়েছে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজের রক্তস্নাত জাতীয় পতাকা। আর এ পতাকা জানান দিয়েছে একটি স্বাধীন দেশের জন্মদিনের কথা। যে দেশটি অর্জনে ত্রিশ লাখ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। সারাদেশেই নতুন প্রজন্মের অভূতপূর্ব জাগরণ এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবারের স্বাধীনতা দিবসে।

ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তস্নাত লাল-সবুজের পতাকা হাতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের কণ্ঠেই ধ্বনিত হয়েছে-বৈষম্য, শোষণ, দুর্নীতি ও হানাহানিমুক্ত শান্তিময় নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশার কথা। কালরাতের আঁধার পেরিয়ে আত্মপরিচয় অর্জন ও পরাধীনতার শিকল ভাঙার দিনটি বাঙালি জাতি হৃদয়ের গভীরতা থেকে শ্রদ্ধার সঙ্গেই পালন করেছে নানা অনুষ্ঠানমালায়। স্বাধীনতা দিবসে জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের। 

নয়া দিগন্ত প্রধান শিরোনাম করেছে, ‘চীনে প্রধান উপদেষ্টা / তিস্তা ব্যারাজে অগ্রগতির আশা’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীনে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী ‘দ্য বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) বার্ষিক সম্মেলন-২০২৫। দক্ষিণ চীন সাগরের উপকূলে অবস্থিত দেশটির হাইনান প্রদেশের কিয়োংহাই-এর পর্যটন শহর বোয়াওতে গত মঙ্গলবার শুরু হয়েছে এই সম্মেলন। শেষ হবে আগামীকাল শুক্রবার। চীন সরকারের পাঠানো বিশেষ ফ্লাইটে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় দেশটির হাইনান প্রদেশের বোয়াও এসে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা। আজ বৃহস্পতিবার তিনি সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন। আগামীকাল শুক্রবার বেইজিংয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এর সাথে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া, তিনি দেশটির মর্যাদাপূর্ণ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেবেন। সেখানে তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেয়া হবে। আগামী শনিবার প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরবেন।

বিশ্ব পরিবর্তনের মধ্যে এশিয়ার ভবিষ্যৎ গঠন- এই মূল প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চার দিনব্যাপী শুরু হওয়া এই সম্মেলনের তৃতীয় দিন যোগ দিচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চল থেকে প্রায় দুই হাজার প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন। তবে, এবারের এই সম্মেলনে মূল আকর্ষণ হিসেবে থাকছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ তিনি জমকালো এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। সম্মেলনে মূল চারটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সেগুলো হলো-সদস্য দেশগুলোর পরস্পরের মধ্যে আস্থা পুনর্গঠন ও সহযোগিতা বৃদ্ধি, বিশ্বায়নের পুনঃসামঞ্জস্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, টেকসই উন্নয়ন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও উদ্ভাবনী উন্নয়ন। তবে, এ বছর সম্মেলনটি সদস্য দেশগুলোর উন্নয়নের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এজন্য দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় আলোচনাকে উৎসাহিত করছে।

এমবি 

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর