বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করল ভারত

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪১

বিশ্বকে বদলে দেওয়ার দুর্দান্ত আইডিয়া আছে বাংলাদেশের
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যার বিশ্বকে বদলে দেওয়ার অভিনব সব ধারণা বা আইডিয়া রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, এসব ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে।
তাই আমরা আপনাদের আমন্ত্রণ জানাই, যেন আপনারা শুধু বাংলাদেশকে নয়, পুরো বিশ্বকেই বদলে দেওয়ার যাত্রায় যুক্ত হন। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে 'বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এই সম্মেলনের আয়োজন করে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য সেরা জায়গা। আপনারা বাংলাদেশে ব্যবসা নিয়ে আসুন এবং এর মাধ্যমে বিশ্ব বদলে দিতে ভূমিকা রাখুন। বাংলাদেশে ব্যবসার ভালো সুযোগ রয়েছে।
পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করলেন ট্রাম্প
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এ সময় পাল্টা শুল্ক ন্যূনতম ১০ শতাংশ কার্যকর হবে। অবশ্য চীনের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
গতকাল বুধবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তিনি লিখেছেন, ‘চীন বিশ্বের বাজারগুলোর প্রতি শ্রদ্ধার যে ঘাটতি দেখিয়েছে, তার ভিত্তিতে আমি যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ ধার্য করছি। এটা তাৎক্ষণিক কার্যকর হবে।’
ট্রাম্প লিখেছেন, ‘৭৫টির বেশি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এসব প্রতিনিধির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ, অর্থ বিভাগ ও ইউএসটিআর (যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি) রয়েছে। দেশগুলো বাণিজ্য, বাণিজ্য বাধা, শুল্ক, মুদ্রার মানে কারসাজি ও অশুল্ক বাধাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে আলোচনার অনুরোধ জানিয়েছে।’
এ পরিপ্রেক্ষিতে চীন বাদে অন্য সব দেশের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘আমি ৯০ দিনের জন্য পাল্টা শুল্ক স্থগিত অনুমোদন করেছি। একই সঙ্গে এ সময়ের জন্য পাল্টা শুল্ক ১০ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। এটাও তাৎক্ষণিক কার্যকর হবে।’
ট্রাম্পের ঘোষণার পর হোয়াইট হাউসের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট। তিনি বলেন, যেসব দেশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেনি, সেসব দেশ পুরস্কৃত হবে। ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্কের আওতায় থাকবে মেক্সিকো ও কানাডাও।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটাকে বাণিজ্যযুদ্ধ বলব না। অবশ্য চীন এটা উসকে দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই স্থগিতাদেশ আলোচনার জন্য আমাদের সময় দেবে। আরও দেশ যোগাযোগ করবে বলে আশা করছি।’
ট্রাম্পের হঠাৎ ইউটার্ন
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বিশ্ববাণিজ্য টালমাটাল করে দেওয়া পাল্টা শুল্ক থেকে আপাতত সরে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিভিন্ন দেশের ওপর নতুন করে যে শুল্ক আরোপ করেছিলেন তা একমাত্র চীন বাদে অন্য দেশগুলোর জন্য তিন মাস স্থগিত করেছেন। অন্য দেশগুলোকে ছাড় দিলেও চীনা পণ্যের ওপর মোট শুল্কের পরিমাণ ১০৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২৫ শতাংশ করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের জবাবে চীন মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল।
ট্রাম্পের নতুন সিদ্ধান্তকে অনেকটা ইউটার্ন হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ওপর গত সপ্তাহে ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছিলেন তিনি। স্থগিতের সিদ্ধান্তে স্বস্তি পাবেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘চীন বিশ্বের বাজারগুলোর প্রতি শ্রদ্ধার যে ঘাটতি দেখিয়েছে, তার ভিত্তিতে আমি যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ ধার্য করছি। এটা অবিলম্বে কার্যকর হবে। ‘আশা করি নিকট ভবিষ্যতে চীন ও অন্যান্য দেশ উপলব্ধি করতে পারবে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণার দিন আর থাকবে না বা গ্রহণযোগ্য হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আরও লিখেছেন, ‘প্রকৃত অবস্থার ভিত্তিতে ৭৫টির বেশি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
এসব প্রতিনিধির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ, অর্থ বিভাগ ও ইউএসটিআর (যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি) রয়েছে। দেশগুলো বাণিজ্য, বাণিজ্য বাধা, শুল্ক, মুদ্রা কারসাজি ও অশুল্ক বাধা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সমাধানে পৌঁছাতে সমঝোতা আলোচনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে চীন বাদে অন্য সব দেশের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘আমি ৯০ দিনের জন্য পাল্টা শুল্ক স্থগিত অনুমোদন করেছি।
ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করল ভারত
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্কর্কের টানাপড়েনের মধ্যে আকস্মিক দেশটি বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে। শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়াকে কেন্দ্র করে কয়েক মাস ধরে উভয় দেশের শীতল সম্কর্ক আর ‘চিকেন নেক’ নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে অনেকটা নীরবেই ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের কথা জানায় ভারত। এতে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে চলমান বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হলেও মূলত নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই ভারত তা বাতিল করেছে।
অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের ফলে বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা করলেও এমনটি মনে করছেন না ব্যবসায়ীরা। তবে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও উল্লেখ করেছে, ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করা ভারতীয় ভূখণ্ড দিয়ে নেপাল, ভুটানে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।
এর পরও বাংলাদেশ এটিকে বাধা হিসেবে দেখলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) অভিযোগ জানাতে পারে। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ কাস্টমস নীতির সাবেক সদস্য ড. রশিদ উল আহসান চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, “ভারতের ভেতর দিয়ে নেপাল ও ভুটানকে দেওয়া ট্রানজিট বাতিল করার বিষয়টিতে বাংলাদেশ ও নেপাল-ভুটানের বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে সন্দেহ নেই।
অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশ
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ অদ্ভুত ধারণার (ক্রেজি আইডিয়া) এক দেশ। তবে এ ধারণাগুলো দেশটি বাস্তবে রূপ দিতে পারে। বদলে দিতে পারে বিশ্ব। এ দেশ সত্যিই এক অপার সম্ভাবনার। সুতরাং বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে বিশ্ব পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারেন। বুধবার রাজধানীতে আয়োজিত বিনিয়োগ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সকাল ১০টায় রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) আয়োজিত চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের দীর্ঘ পথচলার কথা বলতে গিয়ে কাঁদলেন এই নোবেল বিজয়ী।
তুলে ধরেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের পর থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দেশের নানা ত্যাগ-তিতিক্ষা ও অর্জনের কথা। কীভাবে গ্রামীণ ব্যাংক মানুষের অর্থনৈতিক পরিবর্তনে কাজ করেছে, তা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত ও বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি।
বিনিয়োগ সম্মেলনে ড. ইউনূস
বিশ্বকে বদলে দেওয়ার যাত্রায় যুক্ত হোন
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বিশ্বকে বদলাতে চাইলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যার বিশ্বকে বদলে দেওয়ার দুর্দান্ত সব আইডিয়া রয়েছে। এসব আইডিয়াকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে। তাই আমরা আপনাদের আমন্ত্রণ জানাই, যেন আপনারা শুধু বাংলাদেশকে নয়, পুরো বিশ্বকে বদলে দেওয়ার যাত্রায় যুক্ত হোন।’
গতকাল বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে তিনি এ কথা বলেন। গত সোমবার শুরু হওয়া চার দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনে দেশের ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগের সুযোগ এবং অর্থনৈতিক সংস্কার তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘ব্যবসার জন্য সেরা জায়গা বাংলাদেশ। বাংলাদেশে ব্যবসা নিয়ে আসুন এবং এর মাধ্যমে বিশ্ব বদলে দিতে ভূমিকা রাখুন।’
বিগত সরকারের ত্রুটিপূর্ণ নকশার বিআরটি শেষ করতে ব্যয় বাড়বে আরো ৩ হাজার কোটি টাকা
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গৃহীত সবচেয়ে ব্যর্থ প্রকল্পগুলোর একটি বিমানবন্দর-গাজীপুর বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি)। দুর্বল পরিকল্পনা, অসম্পূর্ণ নকশা আর বিলম্বিত বাস্তবায়নে প্রকল্পটি পরিণত হয়েছে বোঝায়। প্রকল্পের কাজ ৯৭ শতাংশের বেশি শেষ। অবকাঠামো গড়ে উঠলেও এখনো বিআরটি পরিষেবা চালুর উপযোগী হয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে এ করিডোর কার্যকর করতে প্রকল্প সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, সংশোধনের মাধ্যমে প্রকল্পটি শেষ করতে নতুন করে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হবে আরো চার বছর। এখন পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন পেলে নির্মাণ ব্যয় ৭ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ৫০টি বাসসহ বিআরটি করিডোর পরিচালনার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনা হবে। করিডোরটি যাত্রীবান্ধব ও নিরাপদ করতে যুক্ত হবে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো। স্টেশন ও ডিপো ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি গত বছর ছাত্র আন্দোলনের সময় ঠিকাদারের যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ করা হবে।
বদলে যাচ্ছে নির্বাচনী আচরণবিধি
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, নির্বাচনী আচরণবিধিমালায় সংশোধন আনা হচ্ছে। আচরণবিধিতে প্রথমবারের মতো যুক্ত হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার। নির্বাচনী প্রচারণায় থাকছে না পোস্টার। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে প্রতি ৭ দিন অন্তর নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিল করতে হবে।
জনসভা করতে হলে ৭২ ঘণ্টা আগে নিতে হবে পুলিশের অনুমতি। যুক্ত করা হয়েছে প্রার্থিতা বাতিলের বিধান। প্রস্তাবিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা, ২০২৫ এর খসড়ায় এসব বিধান রাখা হয়েছে। ইসি সূত্র জানায়, খসড়া আচরণ বিধিমালার নির্বাচনী প্রচারের অংশে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা তার এজেন্ট বা অন্য কোনো ব্যক্তি ডিজিটাল বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা পরিচালনা করতে পারবেন।
সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ডিজিটাল বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নাম, অ্যাকাউন্ট ও ই-মেইল আইডিসহ অন্যান্য শনাক্তকরণ তথ্য প্রচার-প্রচারণা শুরুর আগে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করতে হবে। তবে ডিজিটাল বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণাকালে ব্যক্তিগত চরিত্রহনন করে কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি, কোনো ধরনের তিক্ত বা উস্কানিমূলক বা মানহানিকর কিংবা লিঙ্গ সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান, কনটেন্ট বানানো ও প্রচার করা যাবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারে মানহানিকর প্রচার করলে ডিজিটাল বা সাইবার সুরক্ষা আইনের আওতায় শাস্তি হবে। এ ছাড়া ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগেই অনলাইন প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে হবে।
খসড়ার নির্বাচনী ব্যয়সীমা সংক্রান্ত বাধা-নিষেধে বলা হয়েছে, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা দলের মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচনী বিষয়ক সামাজিক মাধ্যমে কনটেন্ট তৈরি, বিজ্ঞাপন প্রদান, বুস্টিং ও স্পন্সরশিপসহ সকল ডিজিটাল প্রচারণা ব্যয় শিরোনামে সামগ্রিক নির্বাচনী ব্যয়ের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন বরাবর দাখিল করতে হবে। সামাজিক মাধ্যমে সমস্ত ব্যয়সমূহ প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়সীমার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে। সামাজিক প্রচার অভিযানে বিদেশি অর্থায়নে বিজ্ঞাপন বা প্রচারণা কার্যক্রম চালাতে পারবে না। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে প্রতি ৭ দিন অন্তর নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব রিটার্নিং কর্মকর্তা/সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিল করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা-বিধি লঙ্ঘিত হলে ডিজিটাল/সাইবার সুরক্ষা আইনের আওতায় শাস্তি প্রযোজ্য হবে।
ট্রাম্পের কথায় শঙ্কা এবার ওষুধশিল্পে
আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক বাড়ানো-কমানো নিয়ে এখন বৈশ্বিক পণ্যের বাজার টালমাটাল। এরই মধ্যে ওষুধশিল্পে নতুন শঙ্কার খবর দিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে যেসব ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানি করা হয়, সেগুলোর ওপর 'বড় ধরনের' শুল্ক আরোপের চিন্তা করছেন ট্রাম্প। এতে সংকটে পড়তে পারে বাংলাদেশসহ অন্যান্য ওষুধ রপ্তানিকারক দেশ।
সম্প্রতি ১৮৪টি দেশ ও অঞ্চল থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই শুল্কনীতি গতকাল বুধবার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে গতকাল বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে ৯০ দিনের জন্য সেই শুল্ক স্থগিত করেন তিনি। অবশ্য চীনের পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করেন। এই পরিস্থিতিতে ওষুধশিল্পে নতুন শঙ্কার খবর জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
গতকাল গণমাধ্যম দুটির খবরে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার ন্যাশনাল রিপাবলিকান কংগ্রেশনাল কমিটির নৈশভোজে ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী আমদানিতে ট্রাম্প 'বড় ধরনের' শুল্ক আরোপের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি চিকিৎসা-বলেন, 'কিছু দেশ ভর্তুকির চিকি ব্যবস্থা (পিবিএস) পরিচালনা করছে। এ দেশগুলো খুব চালাক।