Logo

নির্বাচিত

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে নতুন মোড়

Icon

ডিজিটাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩০

পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে নতুন মোড়

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে দুই দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। এ সিদ্ধান্তের ফলে দুই দেশের সম্মিলিত উন্নতি, প্রবৃদ্ধি ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টি করবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী নেতারা। 

তারা বলেন, ভারতের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য অপ্রত্যাশিত। সরকারের উচিত দ্রুত এ ধরনের ট্রেড ব্যারিয়ার নিয়ে কথা বলে সমস্যার সমাধান করা। নতুন এই সিদ্ধান্ত রপ্তানি প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করবে।

এর ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানে ঝুঁকি তৈরি হবে। ভারতের স্থলপথ ব্যবহার ছাড়া ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের মতো দেশে পণ্য পৌছানো কঠিন। এতদিন ট্রান্সশিপমেন্টের আওতায় ভারতের ভূমি ও অবকাঠামো ব্যবহার করে কম খরচ ও কম সময়ে এসব দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করার সুবিধা পেয়ে আসছিল বাংলাদেশ।

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা দেখছেন না বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, কোনো সমস্যা বোধ করছি না।

স্বস্তির সঙ্গে আছে অনিশ্চয়তাও
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাল্টা শুল্ক বা রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ আরোপ তিন মাসের জন্য স্থগিত করায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিকারকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। এরই মধ্যে ফিরতে শুরু করেছে স্থগিত হওয়া ক্রয়াদেশ। তবে ন্যূনতম ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক বহাল থাকায় একধরনের অনিশ্চয়তাও আছে।

অন্যান্য দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আপাতত স্থগিত করলেও চীনের প্রায় সব পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগের দিন চীনের পণ্যে শুল্ক ১২৫ শতাংশ করার কথা বললেও গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানায়, এটা প্রায় সব পণ্যে হবে ১৪৫ শতাংশ। দেশটির ওপর এই শুল্ক ইতিমধ্যে কার্যকরও হয়েছে। বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিকারকেরা মনে করেছেন, এই শুল্ক শেষ পর্যন্ত বহাল থাকলে চীন থেকে মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সরবে। এতে বাংলাদেশের লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক গত বুধবার ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘোষণা দিয়ে এদিন নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ৭৫টির বেশি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এসব প্রতিনিধির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ, অর্থ বিভাগ ও ইউএসটিআর (যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি) রয়েছে। দেশগুলো বাণিজ্য, বাণিজ্য বাধা, শুল্ক, মুদ্রার মানে কারসাজি ও অশুল্ক বাধাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে আলোচনার অনুরোধ জানিয়েছে।

বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা বলছেন, নতুন শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত হওয়া একধরনের স্বস্তির। এতে আলোচনার সুযোগ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ সরকারকে এখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তাঁরা বলেন, ন্যূনতম ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক থাকায় এখনো অনিশ্চয়তা আছে। নতুন শুল্কের বিষয়ে ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত মার্কিন ক্রেতারা ক্রয়াদেশ কম দিতে পারে। আবার দর-কষাকষি করে প্রতিযোগী কোনো দেশ শুল্ক কমাতে পারলে তারা ব্যবসা নেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে।

শুল্কযুদ্ধে এখন যুক্তরাষ্ট্র-চীন
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ যুদ্ধে রূপ নিয়েছে। বিশ্বের সব দেশের ওপর আরোপ করা বাণিজ্য শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করলেও চীনা পণ্যে শুল্ক বাড়িয়েই যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

সবশেষ গত বুধবার মার্কিন পণ্যে চীনের ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের জবাবে চীনা পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশে উন্নীত করে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যকার পাল্টাপাল্টি অবস্থান শুধু দুই দেশের সম্পর্ককেই নাড়া দিচ্ছে না, বরং এর প্রভাবে টালমাটাল বিশ্ববাণিজ্য। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক, বিশ্বের বিভিন্ন পুঁজিবাজারে পতন এবং জ্বালানি তেলের দাম কমে চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে এই সংঘাত বিশ্ববাজার, সরবরাহ শৃঙ্খল, মুদ্রা বিনিময় হার এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলে মত বিশ্লেষকদের।

সংকট উত্তরণের সুযোগ
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে আরোপিত ৩৭ শতাংশ শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ সময়ে ১০ শতাংশ শুল্ক বহাল থাকবে। এতে আপাতস্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন দেশের রপ্তানিকারকরা। তাঁরা বলছেন, দেশের রপ্তানিতে বেশিভাগ অবদান রাখা খাতটিতে সাময়িক ফাঁড়া কাটল।

একই সঙ্গে চীন ১২৫ শতাংশ শুল্কের মুখে পড়ায় আগামী ৯০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ কিছুটা হলেও বাড়তি সুবিধা নিতে পারে।

অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্কঝড়ে দেশের পুরনো ক্রয়াদেশ বাতিলের যে হিড়িক পড়েছিল তা কিছুটা থামবে। বাড়তি শুল্ক স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পেল বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা ও বাণিজ্য উপদেষ্টার দুটি চিঠির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে, দ্রুত আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক আলোচনার উদ্যোগ নিতে হবে।

সরাসরি দর-কষাকষির জন্য টিকফার পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে যুক্ত করে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করা জরুরি বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। 

দুই চ্যালেঞ্জের মুখে রপ্তানি খাত
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ভারত হঠাৎ একতরফাভাবে ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করলেও বাংলাদেশের খুব বেশি ক্ষতি হবে না। এমনটি মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও শিল্পোদ্যোক্তারা। তাদের মতে, ট্রান্সশিপমেন্ট ব্যবহার করে বাংলাদেশ খুব সামান্যই রপ্তানি করে, যা মোট রপ্তানির ১ শতাংশেরও কম।

তবু এটা মোকাবিলায় ঠান্ডা মাথায় কূটনৈতিক পথেই হাঁটতে হবে। কোনো অবস্থায় সাংঘর্ষিক পথে যাওয়া যাবে না। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের নতুন সিদ্ধান্ত একমাত্র চীন ছাড়া বাকি দেশগুলোর জন্য ৯০ দিন স্থগিত করা হয়েছে। এরফলে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকরা আপতত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। তবে ৩ মাসের মধ্যে দরকষাকষির দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় কাঙ্ক্ষিত সমাধান না মিললে নতুন করে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ভর করতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল ও যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক স্থগিত করার বিষয়টি এ মুহূর্তে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতকে কিছু চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে। তবে সরকারের নীতিনির্ধারক মহল যথাযথভাবে কূটনৈতিক ও ব্যবসায়িক চ্যানেলে আলোচনা চালিয়ে গেলে সহসা সংকটের সুরহা হতে পারে।

সরকারি ওয়েবসাইটে এখনো বহাল ফ্যাসিবাদের বয়ান
আমার দেশের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, পতনের আট মাস পার হলেও বিভিন্ন সেক্টরে ফ্যাসিবাদের শিকড় আঁকড়ে রয়েছে। সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বহাল রয়েছে আওয়ামী বয়ান। বাদ যায়নি সরকারি ওয়েবসাইটগুলোও। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের ওয়েবসাইটে এখনো শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনাসহ বিগত সরকারের ‘অমূলক গুণকীর্তন’ দেখা যাচ্ছে। সরকারের বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরের ওয়েব পোর্টাল যাচাই করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে সাবেক সরকারের পক্ষের বয়ান না থাকলেও তা রয়েছে দেখা গেছে প্রধান ‍উপদেষ্টার অধীন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এখনো শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনাকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো হচ্ছে। শেখ মুজিবকে ‘স্বাধীনতার মহান স্থপতি’, ‘জাতির পিতা’ ও ‘বাঙালির প্রাণপুরুষ’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। অপরদিকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধের অবদানকে আওয়ামী কায়দায় উপস্থাপন করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, জিয়াউর রহমান ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ‘বঙ্গবন্ধুর’ পক্ষে স্বাধীনতার আরেকটি ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটের গ্যালারিতে ২০২৩ সালের ১৫ আগস্ট ‘জাতীয় শোক দিবস’-এ ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে সচিবের নেতৃত্বে মুজিবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের ছবি শোভা পাচ্ছে। একই বছর ‘শেখ রাসেল দিবস’ পালনের ছবিও ওয়েবসাইটে আপলোড অবস্থায় আছে। শেখ মুজিবের ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ পাওয়ার ৫০ বছরপূর্তি পালনের বেশ কয়েকটি ছবিও রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ফটো গ্যালারিতে। ওই ছবিগুলোয় শেখ হাসিনার উপস্থিতি রয়েছে।

রপ্তানি খাতে আপাত স্বস্তি
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য প্রবেশের ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসনের ঘোষিত অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ শুল্ক স্থগিতের ঘোষণায় স্বস্তি ফিরেছে দেশের রপ্তানি খাতে। কয়েক দিন ধরে রপ্তানি আদেশ স্থগিত হওয়ায় রপ্তানিকারকদের মধ্যে আতঙ্ক ছিল। সেই আতঙ্ক আপাতত কেটেছে। তবে তারা বলেছেন, আপাতত তিন মাসের জন্য একটা স্বস্তি পাওয়া গেলেও ট্রাম্প প্রশাসন যাতে বাংলাদেশের ওপর আবার বাড়তি শুল্ক আরোপ না করে, সে জন্য সরকারকে যথাযথ প্রস্তুতি নিতে হবে। 

এদিকে চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ১২৫ শতাংশ শুল্ক বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের জন্য রপ্তানি বাড়ানোর ক্ষেত্র তৈরি করেছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে চীনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কেননা, চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো পণ্যের দাম আগের চেয়ে দ্বিগুণ। ফলে চীন থেকে রপ্তানি এখন আর লাভজনক হবে না। ভিয়েতনামে আগেই চীনা উদ্যোক্তারা বড় বিনিয়োগ করে ফেলেছেন। সেখানে নতুন বিনিয়োগের সুযোগ কম। ফলে চীনের  বিনিয়োগ টানার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। 

রপ্তানিকারক উদ্যোক্তা এবং বাণিজ্য বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের শুল্কহার স্থায়ীভাবে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে তিন মাস সময়কে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজে লাগাতে হবে। এ ছাড়া বর্তমানের বাড়তি ১০ শতাংশ শুল্ককে কীভাবে শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনা যায়, তার কৌশল নির্ধারণ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। শুল্ক-অশুল্ক বাধার অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে এসব দূর করতে হবে।

এলএনজি কিনতে সরকার বিশ্বব্যাংকের কাছে ৭০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা চায়
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, নগদ অর্থের সংকট, বিশেষ করে ডলারের অভাবে সম্প্রতি জ্বালানির দাম সময়মতো পরিশোধ করতে না পারায় বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। বর্তমানে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও সব বকেয়া পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে স্থানীয় উৎস থেকে পর্যাপ্ত গ্যাস উত্তোলন করতে না পারায় চাহিদা মেটাতে দিন দিন বাড়ছে এলএনজি-নির্ভরতা। 

এ অবস্থায় জ্বালানি আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করতে বিশ্বব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছে সরকার। দীর্ঘমেয়াদি ও স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির জন্য ৭০ কোটি ডলারের ঋণ সুবিধা নিতে বহুজাতিক এ দাতা সংস্থাটির সঙ্গে আলোচনা চলছে। চলতি বছরে দ্বিতীয়ার্ধে এ ঋণ সুবিধার বিষয়ে চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং বিশ্বব্যাংকের মধ্যে আলোচনা চলছে বলে জানা যায়।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এলএনজি আমদানির জন্য পেট্রোবাংলাকে ৭০ কোটি ডলারের ঋণ সুবিধা দেবে বিশ্বব্যাংক। গ্যাস খাতের নিরাপত্তা সুবিধা নামে এ ঋণ মিলবে দুই ধাপে। প্রথম ধাপে ৩৫ কোটি ডলার দিতে চায় বহুজাতিক দাতা সংস্থাটি। এর মধ্যে নন-ফান্ডেড ঋণ সুবিধার আওতায় ২০ কোটি ডলার দীর্ঘমেয়াদি উৎস থেকে এবং ৫ কোটি ডলার স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির জন্য দেয়া হবে। তাছাড়া ফান্ডেড সুবিধার আওতায় চলতি মূলধন হিসেবে দেয়া হবে ১০ কোটি ডলার। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী-সচিব আসছেন
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে নতুন মোড়
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ৫৪ বছরে এই প্রথম এতটা নাটকীয় মোড় নিয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক। প্রায় ‘ডিপ ফ্রিজে’ চলে যাওয়া সম্পর্কটি এখন কেবল ‘স্বাভাবিক’ বা ‘সচল’ই নয়, বরং এতে দৃশ্যমান রূপান্তর ঘটতে চলেছে! সম্পর্কের অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর নিষ্পত্তি-চেষ্টার পাশাপাশি কিছু নতুনত্ব আনতে উভয়ের আগ্রহ রয়েছে- এমনটাই দাবি পেশাদার কূটনীতিকদের। তবে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক, গবেষক এবং বিশ্লেষকরা বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখার চেষ্টা করেন। 

যা বিবিসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের সাম্প্রতিক রিপোর্টে উঠে এসেছে। সেগুনবাগিচা এটা নিশ্চিত করেছে যে, নতুন বাস্তবতায় পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন করে বোঝাপাড়া করতে চাইছে বাংলাদেশ। চলতি মাসে ঢাকায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সচিবের সফর হবে। প্রায় এক যুগ বিরতির পর ৬ষ্ঠ ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বা রাজনৈতিক সংলাপ হবে দুই দেশের মধ্যে। ২০১০ সালে সর্বশেষ ইসলামাবাদে ৫ম এফওসি হয়েছিল। আসন্ন ঢাকা সংলাপে সম্পর্কের ভবিষ্যৎ রূপরেখা নির্ধারণ হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে ডেইলি পাকিস্তান। 

তাদের রিপোর্ট মতে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সংলাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমেনা বেলুচ এতে দেশটির প্রতিনিধিত্ব করবেন। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে দু’দেশের সম্পর্ক দৃঢ় করার প্রস্তাব। সেইসঙ্গে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে একটি যৌথ কমিশন পুনর্বহালের বিষয়টি তুলতে পারে পাকিস্তান। এদিকে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার চলতি মাসেই বাংলাদেশ সফর করছেন, এটা নিশ্চিত করেছে সেগুনবাগিচা। কিন্তু তার সফরের দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি বলে দাবি করেছেন সফর প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। 

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম অবশ্য সফরের সম্ভাব্য তারিখ তুলে ধরছে। তাদের রিপোর্ট মতে, আগামী ২২-২৪শে এপ্রিল পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করবেন। তার এ সফরকে বাণিজ্য, কূটনীতিসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা গভীর করার গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখছে ইসলামাবাদ। ডেইলি পাকিস্তানের রিপোর্টের ফাইন্ডিংস হচ্ছে- ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখা হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের ওপর থেকে ভারতের প্রভাব হ্রাস করে পাকিস্তানের সঙ্গে সামরিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি করে পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন আনতে চাইছে। বাংলাদেশ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে চীনের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করতে চাইছে। যা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

 

স্মরণ করা যায়, বাংলাদেশের সঙ্গে বহুমাত্রিক সম্পর্ক জোরালো করতে পাকিস্তান আগ্রহী- এমন বার্তা দিয়ে গেছেন সদ্য ঢাকা সফরকারী পাকিস্তানের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী। তিনি ঢাকায় দেশটির হাইকশিনার হিসেবে ক’বছর আগে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। এবারে ভিন্ন  অ্যাসাইনমেন্টে আসা মিস্টার সিদ্দিকী পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উভয়পক্ষ দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে পরামর্শমূলক বৈঠক ও যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের সভা অনুষ্ঠানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর