বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
দলীয় কোন্দলে আট মাসে ৫১ নেতাকর্মী নিহত

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২০

বিনিয়োগে সাড়া জেগেছে
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে,রাজধানী ঢাকায় ৭ থেকে ১০ এপ্রিল হয়ে গেল বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, ইউএইসহ রেকর্ডসংখ্যক ৪০টি দেশের বাংলাদেশসহ ছয়শ'র অধিক খ্যাতনামা বিনিয়োগকারীরা এতে অংশ নেন। বিনিয়োগ সম্মেলনটি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
চার দিনের এই সম্মেলনে বাংলাদেশে বিনিয়োগের অমিত সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন আয়োজকরা, তরুণ প্রজন্মকে সামনে রেখে ২০৩৫ সালের রূপরেখা তুলে ধরেন তারা। ফলশ্রুতিতে অধীর আগ্রহ দেখিয়েছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারকও সই হয়েছে সম্মেলনে।
বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সফররত দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল। ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা জানিয়েছে স্পেনের খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিটেক্স, সিমেন্ট খাতের কোম্পানি লাফার্জ হোলসিম ও চীনের অ্যাপারেল কোম্পানি হান্ডা ইন্ডাস্ট্রিজ।
পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদ ফাঁকা, প্রভাব পড়ছে কাজেও
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, পুলিশে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শকের (অতিরিক্ত আইজিপি) পদ রয়েছে ২২টি। এখন আছেন ৯ জন। বাকি পদগুলো চলছে চলতি দায়িত্বে। ২২ পদের বাইরে সুপারনিউমারারি অতিরিক্ত আইজিপির আরও ৭টি পদ আছে। সেগুলোতেও কাউকে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি।
অতিরিক্ত আইজিপিসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও অনেক পদ ফাঁকা রেখেই চলছে পুলিশ। আবার পদে থেকেও বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত আছেন ডিআইজি (উপমহাপরিদর্শক), অতিরিক্ত ডিআইজি ও এসপি (পুলিশ সুপার) পদমর্যাদার ১১৯ কর্মকর্তা। তাঁদের কার্যত কোনো দায়িত্ব নেই। তাঁদের বেশির ভাগই প্রতিদিন অফিসে গিয়ে হাজিরা দিয়ে বের হয়ে যান।
একই সঙ্গে পুলিশের একজন অতিরিক্ত আইজিপিসহ ৮২ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিদেশে পালিয়েছেন বা আত্মগোপনে আছেন অনেক কর্মকর্তা। যাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচার গুলি, মানুষ হত্যাসহ আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য থাকায় এবং অনেক কর্মকর্তা সংযুক্ত, ওএসডি ও আত্মগোপনে থাকায় প্রভাব পড়েছে পুলিশের সামগ্রিক কার্যক্রমেও। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পুলিশের বেশির ভাগ ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পূর্ণ দায়িত্ব পাননি। অনেক ইউনিটে একজন কর্মকর্তাকে একাধিক পদের দায়িত্ব সামলাতে হচ্ছে।
ভারতের কাছে তাজউদ্দীনের দেশ বিক্রির দাসখত
সেই সাত গোপন চুক্তি
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, মহান মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে ভারত তাজউদ্দীন আহমদকে দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে জনস্বার্থবিরোধী সাতটি চুক্তি করিয়ে নিয়েছিল। দেশ বিক্রির ওই সাতটি চুক্তি বলবৎ থাকার পরও ১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে ঢাকায় নিয়ে আসেন, এমনকি ভারতের সঙ্গে ২৫ বছর মেয়াদি আরও একটি চুক্তি করা হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা তখন বলেছিলেন, ভারত চিরস্থায়ীভাবে বাংলাদেশকে তার দাসত্বে রাখার জন্য এসব চুক্তি করে।
তাজউদ্দীনের মাধ্যমে করা ভারতের সেই ৭ গোপন চুক্তির বিষয়গুলো ১৯৭২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর হক-কথা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এর জেরে মওলানা ভাসানীকে গ্রেফতারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এমনকি তাকে হত্যার ষড়যন্ত্রও করা হয়। শেষ পর্যন্ত পত্রিকাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। গ্রেফতার করা হয় হক-কথার সম্পাদক সৈয়দ ইরফানুল বারীকে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় হক কথার ছাপাখানা। যা নিয়ে তখন কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।
তাজউদ্দীন আহমদ ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী ও পরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত অর্থমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি যখন অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে ভারতে আশ্রয় নেওয়া মুজিবনগর সরকারকে দিয়ে ভারত চুক্তিগুলো করিয়ে নেয়। চুক্তিগুলোর বিষয়গুলো নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা থাকলেও মওলানা ভাসানীর হক-কথা পত্রিকা প্রকাশের পর সে সময় দেশের মানুষ ভারতের কাছে দাসখত দেওয়ার বিষয়ে কিছুটা ধারণা পায়। সেই ৭টি চুক্তি বাতিলের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ না নিয়ে ভারতের সঙ্গে ২৫ বছর মেয়াদি চুক্তির বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা তখন বলেছিলেন, ভারত আজীবন বাংলাদেশকে তার দাসত্বে রাখতেই এসব চুক্তি করে।
সমমনাদের আসন ছাড়বে বিএনপি
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে জোটবদ্ধ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করবে না বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে আসন ছাড় দেবে। কমপক্ষে ৮০ থেকে ১০০টি আসন ছেড়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে যারা জাতীয় নির্বাচনে আসন ছাড়ের সহযোগিতা চাইবে তাদেরই এই ছাড় দেওয়া হবে।
এর মধ্যে তরুণ ছাত্রনেতাদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বিএনপির সঙ্গে কৌশলগত ঐক্য করতে চাইলে তাদেরও এই আসন ছাড় দেবে বিএনপি। এ নিয়ে দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজ শুরু হয়েছে। সারা দেশে জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা তৈরি করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, বিলুপ্ত ২০ দলীয় জোটের বেশির ভাগ শরিক দল তথা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিএনপি। নির্বাচনি আসন বণ্টন নিয়েও আলোচনা চলছে। এর মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ, এলডিপি, ১২ দলীয় জোট, সমমনা জোট, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, বিজেপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণফোরাম, গণসংহতি আন্দোলন, বিভিন্ন ইসলামি, বামপন্থি দলসহ সর্বস্তরের দলের নেতাদের সঙ্গে বিএনপির আলোচনা চলছে।
জলদস্যুর উৎপাতে আবারও অশান্ত
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সুন্দরবন ও কক্সবাজার এলাকার দেড় শতাধিক জলদস্যু অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণের পর নতুন করে আবার দস্যুতায় জড়িয়ে পড়ছে। এদের অনেকে ফের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এবার এই জলদস্যুরা সরাসরি নিজের নামে বাহিনী না গড়ে নতুন কাউকে সামনে রেখে তাদের নামে বাহিনী পরিচালনা করছে। আর এদের দিয়েই শুরু করা হয়েছে অপহরণ ও চাঁদাবাজি।
এরই মধ্যে সুন্দরবনে নতুন করে অন্তত ১০টি জলদস্যু বাহিনী গড়ে উঠেছে। তবে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনে নতুন করে তারা শুধু আলিফ ও কলিম শরীফ বাহিনীর তথ্য পেয়েছে।
গত বছর ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর আত্মসমর্পণ করা সুন্দরবন অঞ্চলের জলদস্যুদের প্রায় সবাই আবারও দস্যুতার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে বলে তথ্য মিলছে। এর মধ্যে চলতি বছরের গত দুই মাসে সুন্দরবনে অন্তত ১৫০ জন জেলেকে অপহরণ করে ১০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত মুক্তিপণ আদায় করেছে তারা।
সর্বশেষ গত বুধবার ছয়জন নারীসহ ৩৩ জন জেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। পরে কোস্ট গার্ড তৎপর হয়ে তাদের উদ্ধার করে। আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুদের সঙ্গে নতুন জলদস্যু যুক্ত হওয়ায় তাদের শক্তি আরো বেড়েছে। ফলে এক ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সুন্দরবন, কক্সবাজারসহ বঙ্গোপসাগরের উপকূলে।
দলীয় কোন্দলে আট মাসে ৫১ নেতাকর্মী নিহত
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, কর্মীদের মধ্যে রেষারেষি, নেতাদের মধ্যে বিরোধ, মূল সংগঠনের সঙ্গে অঙ্গসংগঠনের মতভিন্নতা, স্বার্থের দ্বন্দ্ব, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত আট মাসে সংর্ঘষে ৫১ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন চার শতাধিক নেতাকর্মী-সমর্থক।
গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে চলতি বছরের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত অন্তত ৪৮টি সংঘর্ষে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। বিভন্ন সময় সমকালে প্রকাশিত খবর, সরেজমিন তথ্য সংগ্রহ এবং দলীয় নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। জমিজমার বিরোধসহ ব্যক্তিস্বার্থে ঘটা কয়েকটি ঘটনায় দলীয় একাধিক নেতাকর্মী নিহত হলেও তা এই হিসাবে যুক্ত করা হয়নি। কেবল রাজনৈতিক বিরোধে খুনের ঘটনাগুলো এই প্রতিবেদনে স্থান পেয়েছে।
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অনেক ঘটনায় বিএনপির শীর্ষ পর্যায় থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে অনেকের বিরুদ্ধে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলোয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। বিএনপি বহিষ্কার করেছে ৪৭ নেতাকে।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরের মার্চ মাসে বিএনপির অন্তর্কোন্দলে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫০২ জন। তাদের হিসাবে মার্চে সারাদেশে ৯৭টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এর ৮৮টিই বিএনপির অন্তর্কোন্দলে।
সাগরে সাড়া মেলেনি
স্থলভাগে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে প্রস্তুতি পেট্রোবাংলার
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, দেশের স্থলভাগে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে বিদ্যমান উৎপাদন বণ্টন চুক্তির (পিএসসি) চূড়ান্ত খসড়া হাতে পেয়েছে পেট্রোবাংলা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান উড ম্যাকেঞ্জিকে দিয়ে করা এ পিএসসি চূড়ান্ত করে দ্রুত তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানে যেতে চায় পেট্রোবাংলা। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়া খসড়ার ওপর এরই মধ্যে জ্বালানি বিভাগ গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি বেশকিছু সংশোধন ও সুপারিশ দিয়েছে। এ সুপারিশ চূড়ান্ত করে জ্বালানি বিভাগে পাঠাবে পেট্রোবাংলা। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম আগামী জুনের মধ্যে শেষ হবে। এরপর চূড়ান্ত দরপত্রে যাবে পেট্রোবাংলা।
অফশোরে (সাগরে) তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে বিদেশী কোনো কোম্পানির সাড়া না পাওয়ায় গ্যাসের দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধির তাৎক্ষণিক সমাধান হিসেবে স্থলভাগে (অনশোর) গ্যাস অনুসন্ধানের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। বিশেষত দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে বলে মনে করছেন পেট্রোবাংলা-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে পেট্রোবাংলার ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে বলেন, ‘উড ম্যাকেঞ্জি পিএসসি হালনাগাদ করে একটা ড্রাফট পাঠিয়েছে। ওই রিপোর্টের ওপর একটি পেপার প্রেজেন্টেশন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের গঠিত ১৬ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি কিছু সংশোধন ও সুপারিশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে পেট্রোবাংলার পিএসসি কমিটিও উড ম্যাকেঞ্জির রিপোর্ট নিয়ে একটি বৈঠক করেছে। তারা সেটি সংশোধন করে পাঠালে চূড়ান্ত করে জ্বালানি বিভাগে পাঠানো হবে। সেখান থেকে কোনো সুপারিশ থাকলে তা অন্তর্ভুক্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। এরপর ওই পিএসসি হালনাগাদের ওপর উন্মুক্ত মতামত নেবে মন্ত্রণালয়। এসব প্রয়োজনীয় কার্যক্রম করতে অন্তত দুই মাস সময় প্রয়োজন। সেই হিসাবে অনশোর পিএসসি চূড়ান্ত করতে আগামী জুন পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।’
কেন আটক মেঘনা আলম?
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, মডেল ও মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী মেঘনা আলমের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পুলিশ জানিয়েছে, অপহরণ নয় মেঘনা আলমকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানো, আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক ও দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। এজন্য তাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এর আগে, বুধবার সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভে এসে মেঘনা আলম অভিযোগ করেন পুলিশ পরিচয়ধারীরা তার বাসার দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। লাইভটি প্রায় ১২ মিনিট চলার পর বন্ধ হয়ে যায় এবং পরে সেটি ডিলিটও হয়ে যায়। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় মডেল মেঘনার বাসা থেকে বুধবার রাতে তাকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেঘনা আলমকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালত বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে তাকে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আটকের আগে বুধবার সন্ধ্যায় ফেসবুক লাইভে মেঘনা অভিযোগ করেছিলেন, ভাটারা থানা পুলিশ পরিচয়ে কিছু লোক তার বাসার দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকেছে। তিনি লাইভে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে বলেন, পুলিশ পরিচয়ধারীরা প্রথমে পরিচয় গোপন করে বাসায় প্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু দরজা না খোলায় একপর্যায়ে তারা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার বাসায় মাদক আছে বলে দাবি করে। এ কথা শুনে তিনি আতঙ্কিত হয়ে বলেন, আমি কখনো মাদক নেই না। আমাকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। একপর্যায়ে লাইভে থাকা অবস্থাতেই মেঘনা তার আইনজীবীকে ফোন করেন। পরে আইনজীবীর পরামর্শে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করেন। সেই কল শেষ হওয়ার আগেই পুলিশ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা বাসার দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করছে বলে লাইভে জানান মেঘনা। এরপর অন্য একটি কক্ষে গিয়ে তিনি দরজা বন্ধ করে দেন।
সেটিও ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে কয়েকজন। তবে দরজা ভেঙে কারা ভেতরে ঢুকেছে, তা লাইভে দেখা যায়নি। ভেতরে ঢুকেই একজন নারী মেঘনার হাত থেকে তার মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেন। এরপরই লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে মেঘনার বোন তাসিন আফরিন দিয়ানা ফেসবুকে দেয়া এক পোস্ট করে বলেন, আমার বোনকে অপহরণ করা হয়েছে। দুই ঘণ্টা ধরে মিসিং।