বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
গাজার পক্ষে ঢাকায় ‘বিশ্বের বৃহত্তম সমাবেশ’

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৬

ঢাকা যেন এক টুকরো ফিলিস্তিন
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি বর্বরতা ও গণহত্যার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার 'মার্চ ফর গাজা' কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। ফিলিস্তিনের পতাকা ও ফিলিস্তিনের মুক্তির স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকা। অবস্থা দেখে মনে হয়েছে, এ যেন এক টুকরো ফিলিস্তিন!
প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক। তাঁর মোনাজাতের মাধ্যমে অল্প সময়ে সম্পন্ন হয় গণজমায়েত। দলমত নির্বিশেষে সবাই এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা বন্ধে দৃঢ় অবস্থান নেন এবং সাহসী কণ্ঠে প্রতিবাদ জানান।
ডিসেম্বর–জুনের মধ্যে ভোট, সংস্কার এগিয়ে নিতে তাগিদ
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ঐকমত্য কমিশনের দুই সদস্যের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই তাগিদ দেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়।
গতকাল শনিবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও সদস্য বদিউল আলম মজুমদার। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য গঠন) মনির হায়দারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, বৈঠকে অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও বদিউল আলম মজুমদার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে কমিশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসকে অবহিত করেন। বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনা চলমান রয়েছে বলে তাঁরা জানান। গতকাল পর্যন্ত মোট ৮টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার বিএনপির সঙ্গে আলোচনার সময়সূচি নির্ধারণ করা আছে।
আলী রীয়াজ ও বদিউল আলম মজুমদার প্রধান উপদেষ্টাকে আরও জানান, সংস্কার কার্যক্রমের বিষয়ে জনমত যাচাই এবং সে বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা তথা সামগ্রিক সংস্কারপ্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাগিদ দেন বলে প্রেস উইং জানায়।
মার্চ ফর গাজা : লাখো মানুষের মহাসমুদ্র
জাগো বিশ্ব জাগো মানবতা
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, যেদিকে চোখ যায়, কেবল মানুষ আর মানুষ। হাতে হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা, বুকে প্রতিশোধের আগুন, মুখে স্লোগান নিয়ে দৃপ্তপদভারে এগিয়ে চলেছে জনস্রোত। স্বজন হারানোর ব্যথা লালন করে ক্ষোভে টগবগ করে ফুটছে মিছিলে অংশ নেওয়া যুবক, বৃদ্ধ, নারী, শিশুসহ সর্বস্তরের মানুষ।
তারই প্রতিবাদে দল-মত, চিন্তা-দর্শন, সব মত ও পথের মিছিল মিশে গেছে ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। শনিবার ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে লাখ লাখ মানুষ অংশ নেন। গত পাঁচ আগস্টের পর জনতার এমন স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ, বিশাল জমায়েত দেখা যায়নি দেশে। ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’র উদ্যোগে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে মানুষের ঢল মহাসমুদ্রে রূপ নেয়। গণহত্যার প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠে বাংলাদেশ।
এদিন ছিল না দল-মতের বিভেদ, রেষারেষি ভুলে পাশাপাশি হেঁটেছেন সবাই। কর্মসূচি ঘিরে ঐক্যের এক নতুন সেতুবন্ধ তৈরি হয়। অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুষ্টিবদ্ধ প্রতিটি হাত মজলুম ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে। উত্তরা থেকে যাত্রাবাড়ী, শাহজাহানপুর থেকে মোহাম্মদপুর-প্রতিবাদ মিছিলে মিছিলে শহর ঢাকা যেন একখণ্ড ফিলিস্তিনের রূপ নেয়। প্রতিবাদ জানাতে আসা সবার গন্তব্য ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। আসার সময় তাদের অনেকে পথে পথে ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহুর কুশপুত্তলিকায় আগুন দেন। কোথাও কোথাও তার প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ করতে দেখা যায়।
এ সময় কয়েকটি মিছিলের সামনে সাদা কাপড়ে মোড়ানো প্রতীকী রক্তাক্ত শিশুর লাশ বহন করেন বিক্ষুব্ধরা। জনস্রোতে মুহুর্মুহু স্লোগান উঠে ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধ, খুনিদের বিচার ও স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার দাবি।
মার্চ ফর গাজায় প্রকম্পিত ঢাকা
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে গতকাল মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জনসমুদ্রে পরিণত হয় -রোহেত রাজীব
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকা যেন হয়ে উঠেছিল এক খণ্ড ফিলিস্তিন। গতকাল সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকা অভিমুখে ছিল মানুষের ঢল। ‘তুমি কে, আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ স্লোগানে মুখরিত ছিল ঢাকার রাজপথ। লাখ লাখ মানুষের মিছিলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এবং আশপাশের এলাকা পরিণত হয় জনসমুদ্রে। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মানুষের হাতে ছিল ফিলিস্তিন আর বাংলাদেশের পতাকা। মাথায় ছিল ফিলিস্তিনি রুমাল কেফিয়াহ। অনেকের হাতে ছিল প্রতীকী রক্তাক্ত মৃত শিশুর লাশ।
মিছিলে অংশ নেওয়া মানুষকে বিনামূল্যে পানি ও লেবুর শরবত দিতে দেখা গেছে অনেককে। কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, মানবাধিকার কর্মী, ছাত্র সংগঠনের সদস্য, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সচেতন সাধারণ নাগরিকরা। তাদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড- ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘গাজা রক্তে রঞ্জিত, বিশ্ব কেন নীরব’, ‘স্টপ জেনোসাইড ইন গাজা’।
তপ্ত রোদে হাঁটতে হাঁটতে হ্যান্ডমাইক কিংবা খালি গলায় ছিল ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতির স্লোগান। ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’, ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’, ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘গাজা উই আর উইথ ইউ’, ‘নেতানিয়াহুর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’ এসব স্লোগান দেন তারা।
টেকনাফ সীমান্তে মানবপাচারের ১৫ চক্র
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, নাফ নদের পূর্বে মায়ানমারের রাখাইন (আরাকান) ও পশ্চিমে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় অস্থিরতা চলছেই। কোথায় ঠাঁই হবে বাস্তুচ্যুত এই মানুষগুলোর—এমন উদ্বেগ তাদেরই সবচেয়ে বেশি কুরে কুরে খাচ্ছে। দিনের পর দিন হতাশার আগুন তাদের পোড়াচ্ছে। বুকভরা হতাশা নিয়ে তাদের অনেকে রাতের আঁধারে অথৈ সাগরে পাড়ি দেয়, যদি কোথাও গিয়ে ভালোভাবে জীবনের বাকি সময়গুলো পার করা যায়! রোহিঙ্গাদের এই হতাশাকে পুঁজি করে বাণিজ্যে নেমেছে টেকনাফ সীমান্তের কমপক্ষে ১৫টি চক্র।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টেকনাফ সীমান্তেই মানবপাচারে জড়িত আছে ১৫টি চক্র। এসব চক্রের সব মিলে সদস্য আছে তিন শতাধিক। তারা নাফ নদের এপার-ওপারে সক্রিয়। তারা শুধু যে রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে বাণিজ্য চালাচ্ছে তা নয়, বাংলাদেশিদের কাছেও তারা নানা কৌশলে ভেড়ে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পাচারের জন্য মানবপাচারকারীদের মূল লক্ষ্য রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের স্বজনদের উল্লেখযোগ্য অংশের অবস্থান মালয়েশিয়ায়। যেকোনোভাবে একজন রোহিঙ্গাকে পাচার করে নিয়ে যেতে পারলে তাকে নগদ টাকা দিয়ে মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ডে অবস্থানকারী রোহিঙ্গার অভাব হয় না।
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক
নির্বাচনের লক্ষ্যে দ্রুত সংস্কারের তাগিদ
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার তাগিদ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদারের সঙ্গে বৈঠকে এ তাগিদ দেন তিনি।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা চলতি বছর ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা বলেন। বৈঠকের পর রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানানো হয়। তবে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি একাধিকবার সংশোধন করায় নির্বাচনের সময়কাল নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৫৭ মিনিটে প্রেস উইংয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঐকমত্য কমিশনের বরাত দিয়ে জানানো হয়, ‘আগামী ডিসেম্বর মাসে জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।’ রাত ৯টা ১৩ মিনিটে তাতে সংশোধনী আনা হয়। এর পর রাত ৯টা ২১ মিনিটে সংশোধনীতে প্রেস উইং জানায়, ভুলবশত কেবল ডিসেম্বর মাস উল্লেখ করা হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে তাগিদ দিয়েছেন ড. ইউনূস।
উচ্চ সুদহারেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মূল্যস্ফীতি
ব্যবসার উচ্চ খরচে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারাচ্ছে বাংলাদেশ
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর একটি কম্বোডিয়া। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার এখনো ৫০ বিলিয়ন ডলারেরও কম। আকারে এত ছোট অর্থনীতির দেশ হওয়া সত্ত্বেও গত বছর প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) আকৃষ্ট করতে পেরেছে। এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে তাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগবান্ধব নীতি, অবকাঠামো খাতে ব্যাপক উন্নয়ন, সুশাসন ও নামমাত্র সুদহার। বর্তমানে কম্বোডিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সুদহার ১ শতাংশেরও কম। গত মাসে উচ্চ প্রবৃদ্ধির দেশটির মূল্যস্ফীতির হারও ছিল ১ শতাংশের নিচে।
বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্টের ক্ষেত্রে সামনের সারিতে রয়েছে একই অঞ্চলের আরেক দেশ থাইল্যান্ড। ২০২৪ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি ১ দশমিক ১৪ ট্রিলিয়ন বাথ (প্রায় ৩৩ বিলিয়ন ডলার) বিদেশী বিনিয়োগ পেয়েছে। গত বছর তাদের এফডিআই বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ, যা ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী থাইল্যান্ডের নীতি সুদহার ও মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশের ঘরে।
কেবল থাইল্যান্ড কিংবা কম্বোডিয়া নয়, বরং প্রতিদ্বন্দ্বী কিংবা এ অঞ্চলের বড় অর্থনীতির প্রতিটি দেশের নীতি সুদহার ও মূল্যস্ফীতি এখন বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত নীতি সুদহার (রেপো রেট) ১০ শতাংশ। অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশ ভারতের নীতি সুদহার ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, নেপালের ৬ দশমিক ৫ ও শ্রীলংকার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কেবল পাকিস্তানের নীতি সুদহার (১২ শতাংশ) এখন বাংলাদেশের তুলনায় বেশি। যদিও এক বছর আগে ছিল ২৩ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসার সঙ্গে সঙ্গে নীতি সুদহারও কমিয়ে এনেছে পাকিস্তান।
মুক্ত কর ফিলিস্তিন
গাজার পক্ষে ঢাকায় ‘বিশ্বের বৃহত্তম সমাবেশ’
আমার দেশের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, রাজধানী ঢাকা গতকাল পরিণত হয়েছিল বিশাল এক জনসমুদ্রে। তৌহীদি জনতার ঢল নেমেছিল ঢাকায়। মানুষের সব পথ মিলেছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। ‘মার্চ ফর গাজা’ র্যালিতে লাখো জনতার উপস্থিতি জানান দিয়েছে ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের সঙ্গে আছে গোটা বাংলাদেশ।
অসহিংস ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে বাংলার মানুষ সব ধরনের সহিংসতা ও হত্যাযজ্ঞকে ‘না’ করে দিয়েছে। আয়োজকরা বলেছেন, গাজার পক্ষে এটি বিশ্বের বৃহত্তম জমায়েত। সমাবেশে তারা বলেন, বাংলাদেশের সব দল, মত, চিন্তা ও দর্শনের মানুষ মজলুম ফিলিস্তিনের পাশে আছে, সহাবস্থান করছে। লাখো কণ্ঠে আওয়াজ উঠেছিল ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’ (মুক্ত কর ফিলিস্তিন)।
‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে এ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, আলেম-ওলামাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে এতে অংশগ্রহণ করেন। ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সংহতি ও ইসরাইলের বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ঢাকার চারদিক থেকে মিছিল নিয়ে সর্বস্তরের মানুষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এ র্যালিতে সমবেত হয়েছিলেন। দেশের সব অঞ্চল থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ এ র্যালিতে অংশ নেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা আবদুল মালেক এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিসহ ফিলিস্তিনের জনগণকে রক্ষা ও নিরাপত্তার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আদালতে অঞ্চলটিতে চলমান ইসরাইলি গণহত্যার বিচার দাবি করা হয়।
গাজার পাশে ঢাকা, জনতার মহাসমুদ্র
মানবজমিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। সব দল-মতের নেতারা একমঞ্চে। রাজপথে সাধারণ মানুষের স্রোত। সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান যেন জনসমুদ্র। ইসরাইলি বর্বরতার শিকার গাজাবাসীর পক্ষে হাতে হাত ধরে গর্জে উঠেছিল পুরো ঢাকা। এ যেন গাজার পাশে পুরো বাংলাদেশ। লাখ লাখ মানুষের মিছিল আর স্লোগানে শনিবার রাজধানী হয়ে উঠেছিল প্রতিবাদের নগরী। ফিলিস্তিন সলিডারিটি মুভমেন্টের আয়োজনে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি ঘিরে গতকাল সকাল থেকে সড়কে ঢল নামে সাধারণ মানুষের।
সব সড়কের স্রোত গিয়ে মিশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। বাসে, ট্রেনে, ট্রাকে করে হাজারো মানুষ রাজধানীর বাইরে থেকেও যোগ দেন এই মিছিলে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলা তিনটায় শুরু হওয়া জনজমায়েত ঠিক এক ঘণ্টার মধ্যে ঘোষণাপত্র পাঠ ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়। অনুষ্ঠান মঞ্চে জনপ্রিয় ধর্মীয় বক্তা, আলেমসমাজের প্রতিনিধি, বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ রাজনৈতিক দলের নেতারা দাঁড়িয়ে কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেন। সেখানে ছিলেন হেফাজতসহ বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের শীর্ষ নেতারাও।
বেলা চারটার কিছু আগে যখন গণজমায়েতে মোনাজাত শুরু হয় তখনো উদ্যানমুখী জনস্রোত আসছিল চারপাশ থেকে। জাতীয় পতাকা, ফিলিস্তিনের পতাকা, প্ল্যাকার্ড, ব্যানারসহ মিছিলে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। আয়োজকরা জানিয়েছেন, ৫ই আগস্ট পতিত শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ঢাকায় সবচেয়ে বড় গণজমায়েত হয়েছে গতকাল। লাখো মানুষের এই সমাগমে অনেকটা স্থবির হয়ে পড়ে রাজধানী। সড়কে যান চলাচলের সুযোগ ছিল না অনেক জায়গায়। সড়কে শুধু দেখা গেছে মানুষের স্রোত।
ইসলামিক ব্যক্তিত্ব ড. মিজানুর রহমান আজহারী ও শায়খ আহমদুল্লাহসহ কয়েকজন ধর্মীয় নেতার আহ্বানে আয়োজিত কর্মসূচিতে শিশু-কিশোর থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। মনুষ্যত্বের প্রশ্নে এক হয় এদেশের সব মতের মানুষ।
মার্চ ফর গাজা কর্মসূচি থেকে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। আর ঘোষণাপত্র পাঠ শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় কয়েক লাখ মানুষের এ সমাবেশ। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব আব্দুল মালেক মোনাজাত পরিচালনা করেন। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন লাখো মানুষ। সবার মোনাজাতে আকুতি ছিল ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলমানদের মুক্তির কামনা।