বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে
পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিটেই ফেসবুকে প্রশ্ন-উত্তর

ডিজিটাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩০

মামলার শিকলে বহু রাজনীতিক
বাংলাদেশের খবরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের সময় মামলা, গায়েবি মামলায় প্রায় ধ্বংসের পথে চলে গিয়েছিল জামায়াত ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের পরিবার। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পটপরিবর্তন হলেও এখনো এসব রাজনৈতিক মামলায়, আদালতের বারান্দায় ছুটতে হচ্ছে তাদের।
হাসিনার শাসনামলের ১৫ বছরে, বিরোধী রাজনীতি দমনে কতগুলো মামলা হয়েছিল তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বিএনপির মামলা তথ্য সংরক্ষণ সেলের তথ্য অনুসারে, আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বেশ কয়েকটি মামলার নিষ্পত্তি হলেও এখনো প্রায় দেড় লাখ মামলা রয়েছে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়ের করা এসব মামলাকে মিথ্যা ও গায়েবি বলে দাবি করে আসছে বিএনপি।
এরকমই এক ব্যক্তিকে সম্প্রতি দেখা গেছে ঢাকার আদালত পাড়ায়। তার নাম মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, পেশায় ব্যবসায়ী। পরিবার নিয়ে থাকেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রতিটি কোণা তার পরিচিত। গত দশ বছর ধরে নিয়মিত চলাফেরা করছেন আদালত চত্বরে। তার বিরুদ্ধে থাকা মামলায় অভিযোগ রয়েছে, তিনি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। যদিও তার দাবি রাজনৈতিক পরিচয়ই তার মূল অপরাধ।
মহিউদ্দিনের দাবি, পুলিশ তাকে বলত এমনভাবে মামলা দেবে, যাতে জামিন না পায়। আর সেটাই করেছে তারা। তাতে মহিউদ্দিনের অর্থ, মানসম্মান, কর্মক্ষেত্র সবই শেষ হয়ে গেছে। ১২ দিনের রিমান্ডে নিয়েও তার ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। তার দাবি, মিথ্যা স্বীকারোক্তি নিতেই রিমান্ডে নিয়ে ইলেকট্রিক শকসহ নানা ধরনের নির্যাতন করা হয়েছে।
বন্ধ হচ্ছে সরকারি চাকরিজীবীদের আন্দোলনের পথ
আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিজীবীদের দাবি-দাওয়া আদায়ে দলবদ্ধ আন্দোলনের পথ বন্ধ করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত বছরের ৫ই অগাস্টে সরকার পরিবর্তনের পর থেকে অনেক সরকারি কর্মচারী নানা কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলনে নামেন। এর জবাবে সরকার সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একটি নতুন অধ্যাদেশের খসড়া করেছে, যাতে তিনজনের বেশি কর্মচারী একসঙ্গে কোনো কর্মসূচি পালন করতে না পারেন। এই অধ্যাদেশ অনুমোদিত হলে আন্দোলন করা আর সম্ভব হবে না। অনেক কর্মকর্তাই এ বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য না করলেও সংশোধনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আইন পরিবর্তনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের গণতান্ত্রিক পথ বন্ধ হলে সরকারি কর্মচারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
বিশেষ করে এখন যারা সরকারের শীর্ষ পদে রয়েছেন, তারা অধিকাংশই চুক্তিভিত্তিক যাদের আর কোনো ব্যক্তিগত দাবিদাওয়া নেই। সরকার মনে করছে, গত অগাস্টে কর্মচারীদের কিছু অশোভন আচরণের পর এমন পদক্ষেপ নেওয়া যুক্তিযুক্ত।
বড় সাত শিল্প গ্রুপ
বেনামি ঋণ পৌনে ২ লাখ কোটি টাকা
যুগান্তরের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, ব্যাংক খাতে সাতটি বড় শিল্প গ্রুপের কমপক্ষে পৌনে ২ লাখ কোটি টাকার বেনামি ঋণের সন্ধান মিলেছে। ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে নিবন্ধন করা প্রতিষ্ঠান বা একেবারেই অস্তিত্বহীন কোম্পানির নামে এসব ঋণ নেওয়া হয়েছে। ঋণের একটি অংশ নেওয়া হয়েছে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট থেকে আমদানির নামে। ঋণ নিতে ব্যাংক কর্মকর্তারা গ্রুপগুলোকে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেছে।
ঋণের বড় অংশই বিদেশে পাচার করা হয়েছে। সেগুলো এখন আদায় না হওয়ায় খেলাপি হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেনামি ঋণের তথ্য পাওয়া গেছে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে। এর পরেই রয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপের নাম। এ প্রক্রিয়ায় আরও রয়েছে নাবিল গ্রুপ, নাসা গ্রুপ, আরামিট গ্রুপ ও সিকদার গ্রুপ। আরও একটি গ্রুপের নামে আমদানির আড়ালে বেনামি ঋণের সন্ধান মিলেছে। সেগুলোর বিষয়ে বিশদ তদন্ত হচ্ছে।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে ব্যাংক খাতে লুটপাটের বিষয়ে চলমান কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ) বিশেষ তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে। তদন্ত কার্যক্রম যতই এগোচ্ছে, ততই লুটপাটের নতুন নতুন তথ্য যেমন বের হচ্ছে, তেমনই বের হচ্ছে বেনামি ঋণের তথ্য। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বিএফআইইউ ঋণের নথিপত্র, লেনদেনের ধরন এবং ব্যাংক কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেনামি ঋণের মূল সুবিধাভোগী কারা, সেগুলো বের করছে। এর ভিত্তিতে বেনামি ঋণ সংশ্লিষ্টদের নামে দেখানোর নির্দেশ দিচ্ছে।
ভুয়া বা অস্তিত্বহীন কোম্পানির নামে নেওয়া কোনো ঋণকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বিএফআইইউ বেনামি হিসাবে রাখছে না। সেগুলোর সুবিধাভোগীদের বের করে ঋণের দায় তাদের নামে দেখানোর জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিচ্ছে। কয়েকটি গ্রুপ বেশকিছু বেনামি ঋণের দায় স্বীকার করে নিয়েছে। এর মধ্যে বেক্সিমকো, নাবিলসহ আরও দুটি গ্রুপের নাম রয়েছে।
আলোচনার পর উত্তাপ
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনায় একেবারেই সন্তুষ্ট নয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে সরকারপ্রধানের কাছে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সুস্পষ্ট ঘোষণা (ভোটের তারিখ) চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে কোনো ডেডলাইন দেননি প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বরাবরের মতোই ডিসেম্বর থেকে জুন মাসের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ডিসেম্বর নির্বাচনের কাট অফ সময়।
গতকাল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল গণমাধ্যমকে বলেন, সংসদ নির্বাচন কোনো অবস্থাতেই আগামী বছরের জুন অতিক্রম করবে না।
গোয়েন্দা প্রতিবেদন
এক লাখ কোটি টাকা পাচারে মেঘনা গ্রুপ
আমার দেশের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, দেশের বৃহৎ শিল্পগ্রুপগুলোর একটি মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)। এ গ্রুপের বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলও রয়েছে। বিলিয়ন ডলারের প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি তারা। কিন্তু এ শিল্পগ্রুপের মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে এক লাখ কোটি টাকারও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের অভিযোগ উঠেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে প্রতিষ্ঠানটির অর্থ পাচারের সব ধরনের গোয়েন্দা প্রতিবেদন থাকা সত্ত্বেও কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানটির সব অপরাধ যেন মার্জনীয়। সম্প্রতি রাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে মেঘনা গ্রুপের জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের তথ্য উঠে আসে।
এর প্রেক্ষিতে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সম্প্রতি এনবিআরের কাছে পৃথক আরেকটি চিঠি পাঠিয়ে মেঘনা গ্রুপের অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হলে তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছে।
এদিকে মেঘনা গ্রুপের অর্থপাচার ও রাজস্ব জালিয়াতির বিষয়ে এখনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান আমার দেশকে বলেন, ‘এনবিআরের দুর্বলতার সুযোগে দেশে রাজস্ব আদায়ের হার পৃথিবীর সর্বনিম্ন পর্যায়ে। তারা একেকজন মতিউর তৈরি করে বলেই ভ্যাট-ট্যাক্স ও অর্থপাচারের সুযোগ তৈরি হয়।’ জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগ বিষয়ে এনবিআরের বক্তব্য পাওয়া গেলেও আমাদের প্রশ্নের জবাব পাওয়া যায়নি মেঘনা গ্রুপের পক্ষ থেকে। তাদের বক্তব্য চেয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছিল আমার দেশ-এর পক্ষ থেকে।
সরকার বলছে ডিসেম্বর–জুনের মধ্যে নির্বাচন, ‘অসন্তুষ্ট’ বিএনপি
প্রথম আলোর প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় ও রোডম্যাপ জানতে চেয়েছিল।
কিন্তু প্রায় দুই ঘণ্টার আলোচনায় স্পষ্ট কোনো দিনক্ষণ না পাওয়ায় দলটি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে জুন ২০২৬-এর মধ্যে হতে পারে। কিন্তু বিএনপি বলছে, নির্বাচন এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই হওয়া উচিত। এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মনে করে, বিলম্বিত নির্বাচন দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট আরও বাড়াবে। তারা বলছে, সংস্কার প্রক্রিয়া নির্বাচনের আগে নয়, বরং নির্বাচিত সরকারই তা বাস্তবায়ন করবে। তবে এখনই আন্দোলনে নামবে না তারা। ঘরোয়া আলোচনা ও মতবিনিময় সভা চালিয়ে যাবে এবং সরকারের ওপর রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য চাপ বজায় রাখবে। ঈদ, ঝড় এবং বর্ষা মৌসুম সামনে থাকায় মাঠের কর্মসূচি এখন কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সরকার বলছে, নির্বাচন জুনের পরে যাবে না। কিন্তু নির্বাচনের সময় নির্ভর করবে সংস্কার কতটা সম্পন্ন হয়েছে তার ওপর।
ডিসেম্বর লক্ষ্যে জুলাইয়ে ভোটের কর্মপরিকল্পনা
সংবাদের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী ডিসেম্বর মাসকে লক্ষ্য ধরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ লক্ষ্যে জুলাই মাসে ভোটের একটি পূর্ণাঙ্গ কর্মপরিকল্পনা (ওয়ার্ক প্ল্যান) প্রকাশ করতে চায় ইসি।
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানিয়েছেন, এরইমধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আইন ও নীতিমালা সংস্কার, আসন বিন্যাস ও দল নিবন্ধনের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে।
ইসি জানিয়েছে, নির্বাচন আয়োজনের জন্য জুন-জুলাইয়ের মধ্যে কর্মপরিকল্পনার প্রিন্টেড কপি পাওয়া যাবে। এরপর অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে নতুন ও পুরানো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভা আয়োজনের পরিকল্পনা আছে।
এখন পর্যন্ত তিনটি নতুন দল নিবন্ধনের আবেদন করেছে, আর তাদের আবেদনের শেষ সময় ২০শে এপ্রিল। সংলাপের আগে নতুন দলগুলোকে নিবন্ধনের সুযোগ দিতে চায় ইসি, যাতে তারা আলোচনায় অংশ নিতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নে কমিশনার বলেন, রমজানে পরিস্থিতি আগের তুলনায় ভালো ছিল এবং ভবিষ্যতেও উন্নতির আশা করা যাচ্ছে। তাই ডিসেম্বরেই নির্বাচন করার ক্ষেত্রে তারা কোনো বড় বাধা দেখছে না। নির্বাচন কমিশন মনে করছে, আগামী ছয় থেকে আট মাসে পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল হবে, যা নির্বাচনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করবে।
ব্যবসা-বিনিয়োগে সংকট বাড়ছে
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বর্তমানে নানা সংকটে পড়েছে। উচ্চ ঋণের সুদ, জ্বালানির দাম, টাকার অবমূল্যায়ন এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ব্যবসায়ীরা চাপের মুখে।
বিশেষ করে গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় শিল্প খাতে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। এতে নতুন বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হচ্ছে এবং কর্মসংস্থানও ঝুঁকিতে পড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতীতে গ্যাসের দাম বহু গুণ বেড়ে গিয়েছিল, এবারও এই মূল্যবৃদ্ধি তাদের জন্য বাড়তি বোঝা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্যাসের দাম বাড়লেও সরবরাহ বাড়ছে না, যা শিল্প খাতের জন্য সমস্যা তৈরি করছে। এর ফলে মূল্যস্ফীতিও ১২ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে। আমদানি কমে যাওয়ায় শিল্পের কাঁচামাল সংকটেও পড়েছে। বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উৎপাদন ব্যয় কমানোর দাবি জানাচ্ছেন।
বেসরকারি সংস্থাগুলো বলছে, এই পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাবে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) মনে করে, গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক এবং পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন।
২০২৬ সালে রফতানি ছাড়াতে পারে ৫০ বিলিয়ন ডলার, আছে চ্যালেঞ্জও
বণিক বার্তার প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি ৫০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে। তবে এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ, বৈশ্বিক অর্থনীতির দুর্বলতা এবং বাজারে চাহিদা হ্রাস এই লক্ষ্যে বড় বাধা হতে পারে। মার্কিন বাজার বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় গন্তব্য, যেখানে নতুন শুল্কের কারণে রফতানি ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। এর ফলে অনেক আমেরিকান ক্রেতা অর্ডার বাতিল বা স্থগিত করেছেন।
এডিবি'র রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, ২০২০ সালে পোশাক রফতানি ছিল ২৭ বিলিয়ন ডলার, ২০২১ সালে তা বেড়ে হয় ৩৬ বিলিয়ন, এবং ২০২২ সালে ৪৬ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়ায় ৩৬ বিলিয়ন ডলারে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রফতানি ৩৪ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ না করে এবং বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম না বাড়ে, তাহলে ৫০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব। তবে সরকারকে আরও কার্যকর অর্থনৈতিক কূটনীতি ও নীতি সংস্কার নিতে হবে। এ ছাড়া রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনাও জরুরি।
অবরোধ যানজট বৃষ্টিতে ঢাকায় দিনভর দুর্ভোগ
সমকালের প্রথম পাতায় বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার ঢাকায় সারা দিনজুড়ে মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন অবরোধ, যানজট ও বৃষ্টির কারণে। সকাল ১০টা থেকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করেন ছয় দফা দাবিতে। সাতরাস্তা, মিরপুর-১০, মোহাম্মদপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই কারণে মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থাকতে হয়।
কেউ কেউ হেঁটে গন্তব্যে যান, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা ছিলেন বেশি বিপাকে। জরুরি সেবার গাড়িও বাধাপ্রাপ্ত হয়। মধ্য বিকেলে বৃষ্টি শুরু হলে ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়। রাস্তায় পানি জমে যান চলাচলে সমস্যা হয়। অফিস ছুটির সময় অনেকে কর্মস্থলে আটকে পড়েন, কেউ কাকভেজা হয়ে বাসায় ফেরেন। অনেক এলাকায় রিকশা ও গাড়ির চাকা একদম বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকা মহানগর পুলিশ জানায়, পুলিশ দিনভর চেষ্টা করেও যানজট সামাল দিতে পারেনি।
আন্দোলনকারীরা অনেক জায়গায় ফ্লাইওভার ও প্রধান সড়কে গাড়ি আটকে রাখে। সন্ধ্যা ৭টার পর শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিলেও যানজট পুরোপুরি কমেনি। মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষের কষ্ট দেওয়া অনুচিত। আন্দোলন যৌক্তিক হলেও এমন পদ্ধতিতে দুর্ভোগ তৈরি হওয়ায় অনেকে বিরক্ত ও হতাশ।
পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিটেই ফেসবুকে প্রশ্ন-উত্তর
দেশ রূপান্তরে বলা হয়েছে, আগের রাতে প্রশ্নফাঁস না হলেও এবার ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ভিন্নভাবে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। পরীক্ষা শুরুর ১০ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে প্রশ্নপত্র ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ছে, আর ৩০ মিনিটের মধ্যেই সমাধানও দেওয়া হচ্ছে। সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে এমন ঘটনার অভিযোগ ওঠে, যেখানে একটি ফেসবুক গ্রুপে ইংরেজি প্রথম পত্রের প্রশ্ন ফাঁস হয়। প্রশাসনের তৎপরতায় এটি মুছে ফেলা হয়, তবে বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রশাসনকে বিড়ম্বনায় ফেলে।
এছাড়া, বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের শিক্ষকরা ফেসবুক লাইভে প্রশ্নের সমাধান দিচ্ছেন। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, কেউ পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে প্রশ্ন ফাঁস করলে তা খতিয়ে দেখা হবে। এদিকে, টাঙ্গাইলে খোলামেলা বই দেখে পরীক্ষা দেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যা শিক্ষাব্যবস্থার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
- এটিআর