মদিনা থেকে জেদ্দায় আসবেন ১১ জনের একটি ওমরাহ কাফেলা। কিন্তু তাদের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ নেই। এই পরিস্থিতিতে কাফেলার এক সদস্য কাবা শরিফে কর্মরত বাংলাদেশি প্রকৌশলি ইয়াহইয়া আল মাহবুবের সাহায্য চাইলেন। তিনিও সরল মনে স্বদেশি কাফেলাটির পাশে দাঁড়িয়ে তাদের ধার দিলেন ১ হাজার সৌদি রিয়াল। আর এটাই কাল হলো তার জন্য। আজ দেব কাল দেব করতে করতে ঘটনার পর প্রায় ১০ মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে কিন্তু এখনো ধার দেওয়া টাকা ফেরত পাননি আল মাহবুব।
কাফেলাটির ১১ জন সদস্যের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও দিনাজপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসম্পাদিকা মোমেনা আক্তার লিপি, তার তিন ছেলে ও এক পুত্রবধূ। লিপিই টাকাটি ধার নেন এবং ইয়াহইয়া আল মাহবুবকে এ মর্মে নিশ্চয়তা দেন যে, দেশে ফিরে টাকা পরিশোধ করে দেবেন তিনি। কিন্তু নানা তালবাহানা করে আজও সেই টাকা ফেরত দেননি ওই আওয়ামী লীগ নেত্রী।
এমনকি মক্কায় যে হোটেলে তারা উঠেছিলেন, সেই হোটেলের ভাড়াও পরিশোধ করেননি বলে মোমেনা আক্তার লিপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। মিসফালাহ তিলাল আল মাসাত নামের ওই হোটেলটির দায়িত্বশীলের নাম মোহাম্মদ শফি। তার দাবি- লিপি তার হোটেলের ভাড়া পরিশোধ না করেই দেশে চলে আসেন এবং এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ ঋণ পরিশোধ করেননি এই আওয়ামী লীগ নেত্রী। এখনো তার কাছে হোটেলটির পাওনা রয়েছে ওই সময়কার প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার বাংলাদেশি টাকা। শুধু তাই নয়; ওই সফরে এই নেত্রীর বিরুদ্ধে ট্যাক্সির ভাড়া আত্মসাতেরও অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে হাফেজ হাবিবুল্লাহ নামের খিদমাহ ট্যাক্সি সার্ভিসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, তিনিও মোমেনা আক্তার লিপির কাছে ১ হাজার সৌদি রিয়াল পাবেন। তার ভাড়াও পরিশোধ করেননি চতুর এ নেত্রী। তিনি জানিয়েছেন, প্রতারণার শিকার উপরোল্লিখিত বাংলাদেশি প্রবাসীরা নানাভাবে পাওনা টাকা আদায়ের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ নেত্রী লিপির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে বাংলাদেশের খবর। তাকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলেও রিসিভ করেননি তিনি। এমনকি একবার ফোন কেটেও দেন। ওয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিলেও তার কাছ থেকে ফিরতি কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এমএইচএস/বিএইচ