Logo

ভিডিও

বাংলাদেশের পত্রিকা থেকে

তীব্র খাদ্য সংকটে দেশের ২ কোটি ৩৬ লাখ মানুষ

Icon

বাংলাদেশের খবর

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৯

আতঙ্ক নয়, প্রয়োজন সতর্কতা

বাংলাদেশের খবর পত্রিকার প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির পর বিশ্বে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে মেটানিউমো ভাইরাস (এইচএমপিডি)। এ বছর চলতি মাসের শুরুতে চীনে প্রথম এর সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর জাপানে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। এখন এইচএমপিডির প্রাদুর্ভাব মালয়েশিয়া ও ভারতেও ছড়িয়েছে। সবশেষ গতকাল আমাদের দেশেও একজনের দেহে শনাক্ত হয়েছে ভাইরাসটি। 

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কেননা চীনের সরকার বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও কেউই এখনো আনুষ্ঠানিক সতর্কতা জারি করেনি। এই ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করবে কিনা সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরাও কোনো সতর্ক বার্তা দেননি। তবে, রোগটি যাতে না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এইচএমপিডি সংক্রমিত হলে সাধারণ জ্বর বা ফুর মতো উপসর্গ দেখা যায়। সঙ্গে কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। সঙ্গে চামড়ায় র‍্যাশ বা দানা দেখা দিতে পারে। 

গ্যাস-সংকট সামনে আরও ভোগান্তি

প্রথম আলো পত্রিকার প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের ব্যাপক সংকটে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। অনেক জায়গায় দিনের বেলায় গ্যাস থাকছে না। রান্নার চুলা জ্বালাতে রাতের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। প্রয়োজনীয় গ্যাস পাচ্ছেন না শিল্পের গ্রাহকেরাও। ফলে রপ্তানিমুখী কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

সাধারণত শীতের সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন অর্ধেকে নেমে যায়। এতে বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের চাহিদা কমে যায়। ফলে শিল্প, আবাসিক ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এবার গ্যাসের সরবরাহ কমে গেছে। দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন টানা কমছে। ফলে শীতেও গ্যাস–সংকট ভোগাচ্ছে গ্রাহকদের। বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, সামনে এটি আরও ভোগাবে।

দিনে এখন গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। দিনে সর্বোচ্চ ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ করা হলে পরিস্থিতি সামলানো যায়। তবে এখন সরবরাহ করা হচ্ছে ২৫০ কোটি ঘনফুট।

তীব্র খাদ্য সংকটে দেশের ২ কোটি ৩৬ লাখ মানুষ

আমার দেশ পত্রিকার প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, প্রয়োজনের তুলনায় খাদ্য আমদানির ঘাটতি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দেশের ২ কোটি ৩৬ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্যসংকটে ভুগছে। জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের (এফএও) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে সার্বিক অর্থনীতির স্থবিরতা ছিল। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বা প্রবৃদ্ধি অর্থনীতিতে খুবই সামান্য। বিনিয়োগ সে হারে নেই, কর্মসংস্থানও নেই। দুবছরের বেশি সময় উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে এমনিতেই আয় সংকুচিত হয়েছে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে খাদ্য নিরাপত্তায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সর্বশেষ ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) বিশ্লেষণ করে সংস্থাটি বলছে, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় দুই কোটি ৩৬ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং তার বেশি উচ্চস্তরের মুখোমুখি হয়েছে।

আইপিসির এর আগের প্রতিবেদনে এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এক কোটি ৬৫ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় পড়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ আইপিসির পূর্বাভাসের চেয়েও বেশিসংখ্যক মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটে পড়েছে।

ব্যবসা গোটাতে চান উদ্যোক্তারা

কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, বর্তমানে পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধির চাপে আছেন ব্যবসায়ীরা। এই সময় উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার কারণে পণ্য ও সেবা বিক্রি কমে যাওয়ায় বিপরীতমুখী চাপে আছেন তারা। এ পরিস্থিতিতে তাঁদের নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ নেই। বরং এখন কঠিন বাস্তবতার মুখে রুগ্ণ ও সংকটে থাকা ব্যবসা গুটিয়ে নিতে সরকারের কাছে নীতিমালা চান ব্যবসায়ীরা।

স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও বিনিয়োগবান্ধব হতে পারেনি দেশ। এখনো একজন বিনিয়োগকারীকে দেশে বিনিয়োগ করতে হলে ২৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪১টি ছাড়পত্র নিতে হয়। এই জটিলতার পরও সরকারের দেওয়া সেবার মূল্য ও কর বৃদ্ধি অব্যাহত। গত তিন বছরে গ্যাসের দাম ২৫০ শতাংশ থেকে প্রায় ৪৫০ শতাংশ বেড়েছে।

কোথাও নেই সুখবর

বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স সাড়ে পাঁচ মাসের বেশি। জুলাই বিপ্লব ও ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর নতুন সরকারের কাছে দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল অনেক। দীর্ঘ ১৫ বছরের বঞ্চনা দূর করে দেশবাসীকে একটু স্বস্তি দেবে- এমন আকাঙ্ক্ষা ছিল সবার। কিন্তু শেখ হাসিনার পতন ছাড়া আর কোনো সুখবর নেই। দিন যত যাচ্ছে সাধারণ মানুষের যন্ত্রণা তত বেশি বাড়ছে।

প্রত্যাশার শূন্যস্থান দুরাশায় পূর্ণ হচ্ছে। মনে হচ্ছে কোথাও কোনো সুখবর নেই। নানামুখী ষড়যন্ত্রের জালে সরকার আটকে পড়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে কমেনি মূল্যস্ফীতি। আইএমএফের চাপে ভ্যাট আদায় বাড়াতে শতাধিক পণ্যের শুল্ক-কর বৃদ্ধির ফলে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। ডলারের দাম বেড়েই চলেছে, ঠিকমতো ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। আশানুরূপ বাড়েনি রপ্তানি। শৃঙ্খলা ফেরেনি আর্থিক খাতে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো সন্তোষজনক নয়। বেড়েছে সব ধরনের অপরাধ। সরকারের প্রতি আস্থা কমছে রাজনৈতিক দলগুলোর। বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের মুদ্রানীতি, রাজস্ব নীতি এবং বাজার ব্যবস্থাপনায় কোনো সঠিক সমন্বয় নেই। জনগণের প্রকৃত প্রয়োজনের কথা বিবেচনায় নিয়ে কার্যকর ও সদর্থক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে সরকারকে সতর্ক থাকা উচিত। খাদ্য মূল্যস্ফীতি গত বছরের ডিসেম্বরে ছিল ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ। 

সুন্দরবনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন, প্রাণ-প্রকৃতির সর্বনাশ

সমকাল পত্রিকার প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন ভ্রমণে বাড়ছে ভ্রমণপিয়াসীদের ঝোঁক। সেখানে প্রতিবছর ছুটছেন দেশি-বিদেশি লাখ লাখ পর্যটক। মানুষের এই আগ্রহকে সামনে রেখে এগিয়ে এসেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। গেল ছয় বছরেই সুন্দরবন ভ্রমণে পর্যটক টানতে যুক্ত হয়েছে ২৯টি বিলাসবহুল নৌযান। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এসব নৌযানের কোনো কোনোটিতে সুইমিংপুলসহ তিনতারকা মানের সেবা দেওয়া হয়। এর পেছনে লগ্নি হয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। 

তবে সুন্দরবনে পর্যটকের পদচারণায় বনের জীববৈচিত্র্যের ওপর পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব। বিপন্ন হচ্ছে প্রাণ-প্রকৃতি। অতিরিক্ত নৌযান ও পর্যটকের চাপ বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের যাতে ক্ষতি না করে, এ জন্য ২০১৪ সালে সুন্দরবন ভ্রমণ নীতিমালা তৈরি করা হয়। এতে বনের অভয়ারণ্যের ওপর চাপ কমিয়ে প্রান্তসীমায় নতুন পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার পাশাপাশি জোর দেওয়া হয় প্রকৃতিবান্ধব পর্যটনে। তবে নীতিমালা উপেক্ষা করে এখন দৈনিক গড়ে ৩০টি নৌযান অভয়ারণ্যে দিনভর অবস্থান করে। ইকোট্যুরিজমের কথা বলা হলেও বন ভ্রমণের নামে পিকনিক পার্টি বসে নৌযানে।

বাংলাদেশ অংশে সুন্দরবনে ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের পুরোটাই সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর ৫৩ শতাংশ এলাকাকে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে সম্পদ আহরণ ও বনজীবীর প্রবেশ নিষিদ্ধ। সুন্দরবনের ভেতরে বন বিভাগের ১১টি পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে অভয়ারণ্য এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে চারটি।

দরপত্রে বেড়েছে তদবির

যুগান্তর পত্রিকার প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, রাজধানীর নগর সংস্থাগুলোর দরপত্রে নানামুখী তদবির বেড়েছে। কেনাকাটা, সেবা ও উন্নয়নকাজের দরপত্রে তদবিরের চাপে কাবু হয়ে পড়েছেন প্রকৌশলী-কর্মকর্তারা। সরকারের উচ্চপর্যায়ের বিভিন্ন ব্যক্তি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও নানাভাবে তদবির করছেন। কাজের তুলনায় তদবিরের পরিমাণ বেশি হওয়ায় আগ্রহীরা দরপত্র আহ্বানকারীদের ওপর অসন্তুষ্ট হচ্ছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এখন যারা দরপত্রে অংশ নিচ্ছেন, তাদের অধিকাংশেরই অভিজ্ঞতা নেই। কারও কারও কাজের ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণাও নেই। তবুও তারা কাজ পেতে চাচ্ছেন। যে কোনো মূল্যে কাজ দিতে প্রকৌশলী-কর্মকর্তাদের চাপ দিচ্ছেন আগ্রহী ঠিকাদাররা। এক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্তরা। বিভিন্ন দলের নেতারাও ওইসব ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার অনুরোধ করছেন। কেউ কেউ বড় নেতাদের নামও ভাঙাচ্ছেন। 

এছাড়া বিভিন্ন উপদেষ্টা, বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা অনেকের জন্য তদবির করেছেন। তদবিরগুলো অগ্রাহ্য করার মতো নয়, আবার আইন অনুযায়ী তাদের সুবিধা দেওয়া যায় না। এ ধরনের জটিলতার মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন নগর সেবা সংস্থার বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রকৌশলী-কর্মকর্তারা।

এনজে/এমআই

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর