-67d00e34458c9.jpg)
সদ্য শেষ হওয়া আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেরা একাদশ ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। একই সঙ্গে দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবেও রাখা হয়েছে একজনকে। এই দলে চ্যাম্পিয়ন ভারতের ছয়জন, রানার্স-আপ নিউজিল্যান্ডের চারজন ও আফগানিস্তানের দুজন খেলোয়াড় আছেন। দলের নেতৃত্বে থাকছেন নিউজিল্যান্ডের মিচেল স্যান্টনার।
আট দলের টুর্নামেন্টে সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা এবং গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়া বাংলাদেশ-পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের কোনো ক্রিকেটারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেরা দলে জায়গা হয়নি।
ওপেনার হিসেবে সেরা দলে আছেন নিউজিল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্র ও আফগানিস্তানের ইব্রাহিম জাদরান। টুর্নামেন্টে ৪ ইনিংসে ২টি সেঞ্চুরিতে সর্বোচ্চ ২৬৩ রান করেছেন রাচিন। তার গড় ৬৫.৭৫ গড় এবং স্ট্রাইক রেট ছিল ১০৬.৪৭। বল হাতেও ৩ উইকেট শিকার করে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন রাচিন।
৩ ইনিংসে ১টি সেঞ্চুরিতে ৭২ গড়ে ২১৬ রান করেন ইব্রাহিম। গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড গড়েন ইব্রাহিম।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেরা দলে ব্যাটিং অনুসারে তিন নম্বরে রাখা হয়েছে বিরাট কোহলিকে। ৫ ইনিংসে ১টি করে সেঞ্চুরি ও হাফ-সেঞ্চুরিতে ৫৪.৫০ গড়ে ২১৮ রান করেন তিনি। গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ১০০ এবং সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮৪ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেন কোহলি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরির ইনিংস খেলার পথে বিশ্বের তৃতীয় ও ভারতের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ১৪ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন কোহলি। তার আগে ওয়ানডেতে ১৪ হাজার রানের ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন ভারতের শচীন টেন্ডুলকার ও শ্রীলংকার কুমার সাঙ্গাকারা।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ভারতের মিডল অর্ডার ব্যাটার শ্রেয়াস আইয়ার। ৫ ইনিংসে ২ অর্ধশতকে ৪৮.৬ গড়ে ২৪৩ রান করেন তিনি। ফাইনালে হাফ-সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও ৪৮ রানে আউট হন আইয়ার।
আইয়ারের সাথে ভারতের মিডল অর্ডারে অন্যতম ভরসা ছিলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লোকেশ রাহুল। হাফ-সেঞ্চুরি বা সেঞ্চুরির ইনিংস না খেলতে পারলেও ছোট-ছোট ইনিংসে দলের জয়ে অবদান রাখেন তিনি। ৪ ইনিংসে ১৪০ রান করেন তিনি। ফাইনালে ৩৪ রানের অনবদ্য ইনিংসে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন রাহুল। এ ছাড়াও টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ৬ ডিসমিসাল ছিল তার।
স্পিন ও পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে দলে আছেন নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস ও আফগানিস্তানের আজমতুল্লাহ ওমরজাই। ব্যাট হাতে ১৭৭ রান ছাড়াও ২ উইকেট ও ৫টি ক্যাচ নিয়েছেন ফিলিপস। ওমরজাই ১টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১২৬ রানের সাথে বোলিংয়ে ৭ উইকেট শিকার করেন। গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচে ৫৮ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি।
দলে বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে আছেন স্যান্টনার ও ভারতের বরুণ চক্রবর্তী। স্যান্টনার ও বরুণ ৯টি করে উইকেট নেন। যা টুর্নামেন্টে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
পেস আক্রমণে রাখা হয়েছে নিউজিল্যান্ডের ম্যাট হেনরি ও ভারতের মোহাম্মদ সামিকে। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ১০ উইকেট শিকারী হেনরি। ইনজুরির কারণে ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে খেলতে পারেননি তিনি। গ্রুপ পর্বে ভারতের বিপক্ষে ৪২ রানে ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন এই ডান-হাতি পেসার।
সামির শিকার ছিল ৯ উইকেট। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ফাইনালের মঞ্চে মাত্র ১ উইকেট নেন সামি।
ব্যাট হাতে ১০৯ রান ও বল হাতে ৫ উইকেট নেওয়া ভারতের অক্ষর প্যাটেলকে দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে সেরা দলে রাখা হয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেরা দল
রাচিন রবীন্দ্র (নিউজিল্যান্ড), ইব্রাহিম জাদরান (আফগানিস্তান), বিরাট কোহলি (ভারত), শ্রেয়াস আইয়ার (ভারত), লোকেশ রাহুল (ভারত), গ্লেন ফিলিপস (নিউজিল্যান্ড), আজমতুল্লাহ ওমরজাই (আফগানিস্তান), মিচেল স্যান্টনার (নিউজিল্যান্ড, অধিনায়ক), মোহাম্মদ সামি (ভারত), ম্যাট হেনরি (নিউ জিল্যান্ড), বরুণ চক্রবর্তী (ভারত)।
দ্বাদশ খেলোয়াড় : অক্ষর প্যাটেল (ভারত)।
ডিআর/বিএইচ