-67e21c1c57cee.jpg)
বাংলাদেশ ম্যাচের জন্য অবসর থেকে সাবেক অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীকে ফিরিয়েছে ভারত। এদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীকে অন্তর্ভুক্ত করেছে লাল সবুজ দল। প্রতিবেশী দুই দেশের আজকের ম্যাচ নিয়ে তাই উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শিলংয়ে হবে দুই দেশের ফুটবল লড়াই।
ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে দেশের ক্রীড়া বিষয়ক টিভি চ্যানেল টি স্পোর্টস। এ ছাড়া এর ইউটিউব চ্যানেলেও দেখা যাবে বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচ।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে ভারত। ভারতের র্যাঙ্কিং ১২৬, বাংলাদেশ আছে ১৮৫তম স্থানে। হেড টু হেডেও ভারতের চেয়ে অনেক পিছিয়ে জামাল-তপুরা। দুই দলের ৩১ বারের সাক্ষাতে ১৬ ম্যাচেই জয়ী হয়েছে সুনীল ছেত্রীরা। বাংলাদেশের জয় মাত্র তিনটিতে। ড্র হয়েছে ১২টি।
ভারত বাংলাদেশের প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছিল ১৯৭৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর, এশিয়ান গেমসে। সেই ম্যাচে ৩-০ জিতেছিল ভারত। বাংলাদেশ তাদের প্রথম জয় পায় ১৯৯১ সালের ২৬ ডিসেম্বর, দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে। সেবার লাল সবুজের প্রতিনিধিরা জেতে ২-১ গোলে। সর্বশেষ ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ভারতকে হারানেরা কীর্তি দেখাতে পেরেছিল। তাছাড়া শেষ পাঁচ লড়াইয়ে ভারতের জয় মাত্র এক ম্যাচে। বাকি চারটি ড্র হয়েছে।
এমন পরিসংখ্যান দেখলে হয়তো চিন্তায় আসবে, দুই দলের ম্যাচে এমন উত্তেজনা কিংবা সমানে সমানে লড়াইয়ের আভাস কেন? কিন্তু নানান কারণে এমনটি হয়ে আসছে। ভারত বেশি ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশ সবসময় তাদের বিপক্ষে লড়াই করে আসছে। অনেক সময় অল্পের জন্য ড্র হয়েছে ম্যাচ।
তাই তো তিন বছর ধরে বাংলাদেশ দলের কোচ হয়ে থাকা স্প্যানিশ হাভিয়ের কাবরেরাও বলছেন, ‘আমি মনে করি, এটা খুবই রোমাঞ্চকর ম্যাচ হবে। আমরা ভীষণ অনুপ্রাণিত। ইতোমধ্যে ২৪ দিন এই ম্যাচের জন্য কঠোর অনুশীলন এবং পরিশ্রম করেছি, যেটা লম্বা সময়। ভীষণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে। আশা করি, ভারতের জন্য সবকিছু কঠিন করে তুলতে পারবো আমরা।’ এখন দেখার অপেক্ষা কতটা তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ তুলতে পারে দুই দল?
ডিআর/বিএইচ