Logo

খেলা

রোববার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে, পরিসংখ্যান কী

Icon

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:৩৪

রোববার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে, পরিসংখ্যান কী

রোববার সকাল ১০টায় সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে নামছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। 

ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হওয়ায় ফেভারিট বাংলাদেশ। তাই টেস্ট সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে টাইগাররা। অন্যদিকে প্রতিপক্ষের মাঠে নিজেদের সেরাটা দিতে মুখিয়ে আছে জিম্বাবুয়ে। 

মুখোমুখি পরিসংখ্যান
২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত টেস্টে ১৮বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। এর মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ৮ বার, জিম্বাবুয়ের জয় আছে ৭ বার। বাকি তিনটি ম্যাচ ড্র হয়। 

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ের দিক দিয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। ১০ ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশের জয় ৬টিতে ও হার ২টিতে। ম্যাচ ড্র হয়েছে ২টি। 

২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ তিন টেস্টের সবগুলোতেই জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১১ সালের জুলাইয়ে হারারেতে সর্বশেষ লড়াইয়ে জিম্বাবুয়েকে ২২০ রানে হারিয়েছিল টাইগাররা। 

ব্যাটিং পরিসংখ্যান 
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট সিরিজে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক ব্রেন্ডন টেইলর। ২৪ ইনিংসে ৫ সেঞ্চুরি ও ৪ হাফ-সেঞ্চুরিতে ১২৩৯ রান করেছেন টেইলর। 

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৮৩ রান করেছেন জিম্বাবুয়ের হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। ২০ ইনিংসে ৩টি শতক ও ৪টি অর্ধশতকে ৮৮৩ রান করেছেন মাসাকাদজা। 

পরের স্থানে আছেন বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম। ১৮ ইনিংসে ২টি সেঞ্চুরি ও ৩টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৮৫৭ রান করেছেন মুশি। 

এই সিরিজে মাদাকাদজাকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে ওঠার সুযোগ আছে মুশফিকের। এজন্য টেস্ট সিরিজে ২৭ রান প্রয়োজন মুশফিকের। 

সর্বোচ্চ রানের তালিকায় পরের তিনটি স্থানেই আছেন বাংলাদেশের মোমিনুল হক, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও হাবিবুল বাশার। মোমিনুল ১৪ ইনিংসে ৭৫৭ রান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১৫ ইনিংসে ৬১৫ রান এবং হাবিবুল ১৫ ইনিংসে ৫৭৮ রান করেছেন। 

সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান
সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস খেলেছেন বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম। ২০১৮ সালে মিরপুরে ২১৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। 

দলীয় সর্বোচ্চ রান 
সর্বোচ্চ দলীয় রান রয়েছে বাংলাদেশের। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিরপুরে ৬ উইকেটে ৫৬০ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল টাইগাররা। 

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় রান জিম্বাবুয়ের। ২০০১ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রামে ৭ উইকেটে ৫৪২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে জিম্বাবুয়ে। 

দলীয় সর্বনিম্ন রান
দলীয় সর্বনিম্ন রানের ইনিংস বাংলাদেশের। ২০০১ সালের নভেম্বরে ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ১০৭ রানে অলআউট হয়েছিল টাইগাররা। 

দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ১১৪ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। ২০১৪ সালের অক্টোবরে মিরপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঐ টেস্টটি। 

বোলিং পরিসংখ্যান
বোলিংয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছেন বাংলাদেশের বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ১২ ইনিংসে ৪১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। 

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ১৪ ইনিংসে ৩১ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁ-হাতি স্পিনার। 

এরপর আছেন জিম্বাবুয়ের পেসার কাইল জার্ভিস। ১০ ইনিংসে জার্ভিসের শিকার ২৪টি।

৬ ইনিংসে ২১ উইকেট নিয়ে তালিকার চতুর্থস্থানে আছেন বাংলাদেশের আরেক বাঁ-হাতি স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র। ২০টি করে উইকেট শিকার করেছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক হিথ স্ট্রিক এবং বাংলাদেশের মেহেদি হাসান মিরাজ।

ম্যাচে ১০ উইকেট 
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট সিরিজে এখন পর্যন্ত ম্যাচে ১০ বা তার অধিক উইকেট নিয়েছেন তিনজন বোলার। সেই তিনজনই বাংলাদেশি বোলার। এমনকি তিনজনই স্পিনার। ২০০৫ সালে ঢাকা টেস্টে এনামুল হক জুনিয়র ১২ উইকেট, ২০১০ সালে খুলনায় সাকিব আল হাসান ১০ উইকেট এবং ২০১৮ সালে সিলেটে তাইজুল ইসলাম ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন।

ডিআর/বিএইচ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর