অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ
দুর্দান্ত জয়ে ফাইনালে টাইগাররা
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:১৪
আফগানিস্তানকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে শুভসূচনা করেছিল বাংলাদেশ দল। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে টুর্নামেন্টের ফাইনালে পৌঁছেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। প্রথম সেমিফাইনালে শক্তিশালী পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে তামিম-শিহাবরা।
গত আসরে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে প্রথমবার এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছিল জুনিয়র টাইগাররা। এবার তাদের সামনে শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে ১১৭ রানের সহজ লক্ষ্য দিয়ে ব্যাটিং শুরু করে। জবাব দিতে নেমে ১৬৭ বল এবং ৭ উইকেট হাতে থাকতেই জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল কিছুটা ধীর। ১৪ বলে শূন্য রান করে সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার কালাম সিদ্দিকী। এরপর ২৫ বলে ১৭ রান করে তাকে সঙ্গ দেন আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরার।
চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক আজিজুল হক তামিম এবং শিহাব জেমস ভালো জুটি গড়েন। তবে শিহাব ইনিংস বড় করতে পারেননি, ৩৬ বলে ২৬ রান করে ক্যাচ আউট হন। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ৩৯ বলে ফিফটি তুলে নেন তামিম। শেষ পর্যন্ত রিজান হোসেনের ৫ রান এবং আজিজুল হক তামিমের অপরাজিত ৬১ রানের সাহায্যে ১৬৭ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের হয়ে আলী রাজা, আব্দুল শুবহান এবং নাভেদ আহমেদ একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান ভালো শুরু করতে পারেনি। ইনিংসের প্রথম ওভারেই উসমান খানকে সাজঘরে ফেরান মারুফ মৃধা। পরবর্তী ওভারে শাগজাইদকেও আউট করেন তিনি। দুজনেই শূন্য রানে আউট হন।
তিনে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মাদ রেজাউল্লাহ এবং সাদ বেগ দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন, কিন্তু দুজনেই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। সাদ বেগ ৪১ বলে ১৮ রান করে আউট হন, আর নাভেদ আহমেদ খান ২ রান করে রান আউট হন।
এরপর ৬৫ বলে ২৮ রান করে রিজাউল্লাহ আউট হলে দলীয় ৭৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান বিপর্যয়ে পড়ে। সপ্তম উইকেটে ফারহান ইউসুফ চেষ্টা করলেও ৩২ রান করার পর হারুন আর্শাদ ১০ রানে আউট হলে পাকিস্তান আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ওমার জাইব (১), আব্দুল সুবহান (০) এবং আলী রিয়াজ শূন্য রানে আউট হয়ে ১১৬ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন ইকবাল হোসেন। এছাড়া মারুফ মৃধা দুটি, আল ফাহাদ এবং দেবাশীষ দেবা নেন একটি করে উইকেট।
ডিআর/এমএইচএস