জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। দেশে হাসিনার নামে একাধিক হত্যা মামলা হয়েছে। এখন বন্দি বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে তাকে দেশে ফেরাতে চাইছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এদিকে, সম্প্রতি ফাঁস হওয়া বেশ কিছু ফোন কলে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা গেছে, তিনি যেকোনো মুহূর্তে হুট করে দেশে চলে আসতে পারেন। এতে আওয়ামী নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের আশার সঞ্চার ঘটেছে। শেখ হাসিনাকে ভারত কি সহসাই ফেরত দেবে? বা ইউনূস সরকার তাকে ফেরত আনতে পারবে কি না- এ নিয়ে জনমনে এখন কৌতূহল তুঙ্গে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত চেয়ে ঢাকার দেওয়া চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি।
তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত করছি, একটি প্রত্যর্পণের অনুরোধের বিষয়ে আজ বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে একটি কূটনৈতিক চিঠি পেয়েছি। তবে এই মুহূর্তে, এ বিষয় নিয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
ভারতের এমন মন্তব্যে হাসিনাকে দেশে ফেরানোর বিষয়টি খোলাসা হচ্ছে না। আদৌ কি হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে ভারত, নাকি পাঠাবে না? সময় বলে দিবে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিবে। তবে ভারতের মন্তব্যে বোঝা যায়, তারা হাসিনাকে বন্দি বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে দেশে পাঠানোর বিষয়ে আপাতত ভাবছে না।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে হত্যাকাণ্ড, গত ১৬ বছরে গুম-ক্রসফায়ার, পিলখানা হত্যাকাণ্ড এবং মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড মোটাদাগে এই কয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এসেছে। শেখ হাসিনা, তার মন্ত্রিসভা, বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানসহ অনেকের বিরুদ্ধে মামলা চলমান।
এনকেবি/এইচকে/এমআই/এনজে